ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মৃতি নাট্যোৎসবে নীলাখ্যান

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৩ এপ্রিল ২০১৬

সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মৃতি নাট্যোৎসবে নীলাখ্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৈয়দ বদরুদ্দীন হোসাইন স্মৃতি নাট্যোৎসবে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৩৬তম প্রয়োজনা ‘নীলাখ্যান’ নাটকের ১৩তম মঞ্চায়ন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টালথিয়েটার হলে ৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায়। কাজী নজরুল ইসলামের সাপুড়ে গল্প আশ্রয়ে নাটকটি রচনা করেছেন আনন জামান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন অধ্যাপক ড. ইউসুফ হাসান অর্ক। নাটকটি সম্পর্কে নির্দেশক জানান, বেদিয়ার সর্দার জহরের বিষ জয় সাধনায় মনসা কর্তৃক কাম নিষিদ্ধ বলে-তার ভাষে আভাসে প্রত্যাখ্যাত ভালবাসার মানুষ বিন্তী রানী আত্মহত্যা করে আড়ালি বিলে রাশি রাশি সাদা শাপলার বনে। বেদিয়া বহরে বেড়ে উঠা সাপে কাটা মান্দাস ভাসা বালিকা চন্দনের চুলের আড়ে বিন্তীর সুরভী পায় জহর। নারী নিষিদ্ধ বলে এ বালিকা বেড়ে উঠছিল বালকের বেশে। যাকে সন্তান করেছিল জ্ঞান- ঋতুমতি হয়ে উঠার পর তার প্রতি প্রবল রতি অনুভব করে জহর। বেদিয়া দলে তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় বিচিত্রমুখী সঙ্কট। চন্দনের যুবা সাজে তাকে প্রেম নিবেদন করে মৌটুসী আর চন্দন ঠোঁটে মালতী ফুলের লাল ডলে ঝুমরোর সামনে দাঁড়ায়। বেদিয়াদের উৎসবে চন্দনের নারিত্ব উন্মোচন হলে দলের অতিপ্রাকৃত বৃদ্ধ ঘণ্টাবুড়ো বেদিয়া দল ও জহরকে তিনটি অনিবার্য ভবিতব্যের ঘোষণা দেয়- ‘ভবিতব্যের তিনরূপ কহি- যে ভাতের পাতিল নেবার জন্য জলে ডুবেছে বিন্তী- তা অন্যরে দিতে চেয়ে পতিত হবি তুই। অথবা তোর আচরে বিন্তীর অনুগামী হবে চন্দনে। আর যদি না হয় তা- তবে আছে তৃতীয়জন- তার হবে মৃত্যু। মৃত্যু অনিবার্য- তবে তা কার হবে- তোর কার্যকরণ হবে থির। সামগ্রিক দৃশ্যকাব্যে ক্ষণে ক্ষণে তিনটি ভবিতব্য ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল হয়ে উঠে। যাকে পিতা মানে তাকে পতি মেনে নিতে পারে না চন্দন। ঝুমরোর জন্য জহরের ঝাঁপিতে আছে দাঁত না ভাঙা পোষা সাপ। শাওনের অখ- চাঁদের সাঁঝ বেলায় আকাশজুড়ে যেন মনসার নীল মুখচ্ছবি ভেসে ওঠে। জহরের অন্তরে তখন বাজে চন্দন চেয়েছিল গাঢ় নীল রঙের ফতুয়া। সে ক্ষণে একশতম সাপের দংশন নেবে জহর- মন্ময় নীলের দোলাচলে সে চিত্রল ফণায় টোকা দিয়ে সাপটিকে ক্রোধমত্ত করে তোলে। অভিনয় শিল্পীরা হলেন পলি বিশ্বাস, মনামী ইসলাম কনক, জেরিন তাসনীম এশা, কোনাল আলী চৈতী সাথী, শাহিনুর প্রিতী, তনু ঘোষ, নির্ঝর অধিকারী, আমিনুল আশরাফ, আসাদুজ্জামান রাফিন, মোহাম্মদ আহাদ, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, ইয়াছির আরাফাত, তৌহিদুর রহমান শিশির, রাসেল আহমেদ, ফেরদৌস ইকরাম, ইকবাল চৌধুরী, জাহিদুল কামাল চৌধুরী দিপু, মোঃ শাহনেওয়াজ এবং মীর জাহিদ হাসান।
×