ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এখন যানজটমুক্ত

প্রকাশিত: ০৬:১১, ২ এপ্রিল ২০১৬

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এখন যানজটমুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নগরজীবনে ‘যানজট’ শব্দটি এখন সবচেয়ে বেশি অসহনীয়। রাত পোহালেই কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে নগরবাসী। অথচ প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও শুধুমাত্র যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অযথা নষ্ট হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে ট্রাফিক বিভাগের সামান্য সুনজরই যে রাজধানীবাসীকে অনাকাক্সিক্ষত এই যানজট থেকে মুক্তি দিতে পারে, তার বাস্তব দৃশ্য দেখাল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের প্রচেষ্টায় রাজধানীর যানজটপূর্ণ এলাকা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এখন আগের চেয়ে অনেকটাই যানজটমুক্ত। লেন বিভাজনের কারণেই দ্রুত সময়ে এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাতিরঝিলসহ নাবিস্কো থেকে আফতাব নগর এবং নাবিস্কো থেকে মগবাজার রেললাইন পর্যন্ত স্থানসমূহ এখন তুলনামূলক কম যানজটপূর্ণ এলাকায় রূপান্তরিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড্ডা-হাতিরঝিল সংযোগ সড়কে লেন পৃথকীকরণের ফলে এক ঘণ্টার যানজট কয়েক মিনিটে রূপান্তরিত হয়েছে। হাতিরঝিল হয়ে মগবাজারের দিকে আসতে পুলিশ প্লাজার পর হাতিরঝিলে এখন আর আগের মতো লম্বা যানজটে পড়তে হচ্ছে না বলে কয়েক গাড়ি চালক জানিয়েছেন। এছাড়াও মেয়র আনিসুল হকের উদ্ধার করা তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড এখন বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের রাস্তা উদ্ধারের ফলে। কাঁচাবাজারের দখলে থাকা রাস্তা থেকে প্রতিদিন দখলদারদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। ফলে যানজটে আটকে থাকা এফডিসির রাস্তায় না গিয়ে ছোট গাড়িগুলো ট্রাকস্ট্যান্ডের রাস্তা দিয়ে কারওয়ান বাজার হয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিটেই সোনারগাঁও পৌঁছুতে পারছে। কীভাবে এটা সম্ভব হলো?- জানতে চাইলে ডিসি ট্রাফিক উত্তর প্রবীর কুমার রায় বলেন, দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিক পন্থায় লেন বিভাজন করতে পারলে তা খুবই কার্যকরী হয়। সোনারগাঁওয়ের লেন বিভাজন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ট্রাফিকের মাঠ পরীক্ষার ফল বলা যেতে পারে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার (এসি) আবু ইউসুফ বলেন, নাবিস্কো থেকে মহাখালী ও গুলশান লিংক রোডে যাওয়ার জন্য পৃথক লেন করে দেয়া হয়েছে। এ কারণেই গাড়ি মহাখালীর দিকে না গেলেও গুলশান লিংক রোডে যেতে অপেক্ষা করতে হয় না। তিনি আরও বলেন, রাস্তার খানাখন্দ তাৎক্ষণিক মেরামত করতে ভাঙা ইট-পাথর মজুদ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেরুল বাড্ডা ও সাতরাস্তা-হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের খানাখন্দ তাৎক্ষণিক মেরামত করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক মোটর কিনে রাস্তার পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। তিনি জানান, হাতিরঝিলসহ নাবিস্কো থেকে শুটিংক্লাব হয়ে আফতাবনগর এবং নাবিস্কো থেকে মগবাজারের রাস্তায় গাড়ির জন্য এখন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় না।
×