ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরএমপির উদ্যোগ আইপি ক্যামেরার আওতায় আসছে রাজশাহী মহানগরী

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২ এপ্রিল ২০১৬

আরএমপির উদ্যোগ আইপি ক্যামেরার আওতায় আসছে রাজশাহী মহানগরী

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ শহরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও যানজট কমাতে রাজশাহী নগরীকে আনা হচ্ছে ক্যামেরার আওতায়। প্রথম পর্যায়ে নগরীর বিন্দুর মোড়, সাহেববাজার, কলেজিয়েট স্কুলের মোড় ও লক্ষ্মীপুরে বসানো হলেও এখন পুরো নগরীকে এর আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে আরএমপির সদর দফতর থেকে খুব সহজেই অপরাধী শনাক্ত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ শামসুদ্দিন। এ ছাড়াও সর্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য নগরীর চার থানাতেও বসছে আইপি ক্যামেরা। কয়েক বছরে রাজনৈতিক কর্মকা-ের আড়ালে রাজশাহীতে ঘটেছে বেশ কিছু সহিংস ঘটনা। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও পড়তে হয় তোপের মুখে। ককটেল হামলায় মারা গেছেন পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ সরকার। পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন ও পিএসআই মকবুল হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। কিন্তু এসব হামলাকারীদের বড় একটি অংশকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। প্রেক্ষিতে গত বছর প্রথম পর্যায়ে রাজশাহী নগরীর চারটি পয়েন্টে বাসানো হয় ১৬টি আইপি ক্যামেরা। এতে নগরীর যানজট কমাসহ অপরাধের মাত্রাও কিছুটা কমেছে। তাই এবার নগরজুড়ে আইপি ক্যামেরা বসানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে আরএমপি। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ শামসুদ্দিন জানান, বিগত সময়ে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হতাহত হয়েছে। তবে ঘটনার পর প্রকৃত নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সঙ্গে যানজট নিরসনেও পুলিশকে পেরেশানিতে পড়তে হয়। তাই যানজট নিরসন ও অপরাধী চিহ্নিত করতে নগরীতে আইপি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে থানা পুলিশের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে আইপি ক্যামেরা বসানো হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাজশাহী কোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ও চারটি থানা আইপি ক্যামেরার আওতায় আনতে কোটি টাকার একটি প্রকল্প পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। তিনি বলেন, এর আগে প্রাথমিকভাবে নগরীর বিন্দুর মোড়, সাহেববাজার, কলেজিয়েট স্কুল মোড় ও লক্ষ্মীপুর মোড়ে ১৬টি আইপি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ওই চারটি পয়েন্ট মহানগর পুলিশ সদর দফতরে বসেই মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, নগরজুড়ে বসানো উন্নতমানের আইপি ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ঘটে যাওয়া নাশকতাসহ যে কোন ধরনের ঘটনায় জড়িতদের খুব সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এছাড়াও নগরীর যানজট নিরসনে এই পদক্ষেপ কার্যকরি ভূমিকা রাখবে।
×