ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাপিকটার কার্যনির্বাহী কমিটির উদ্বোধনী সভায় প্রতিমন্ত্রী পলক

এশীয় দেশগুলো থেকেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রফতানি আয় বাড়বে

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ২ এপ্রিল ২০১৬

এশীয় দেশগুলো থেকেও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রফতানি আয় বাড়বে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের যে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে তার ৫০ ভাগ এশিয়ার দেশসমূহ বিশেষ করে এ্যাপিকটার সদস্য দেশগুলো থেকে অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার রজধানীর কাওরান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি এ্যালায়েন্স (এ্যাপিকটা)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বড় সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি এ্যালায়েন্স (এ্যাপিকটা)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ৫১তম এই সভায় বাংলাদেশসহ সংগঠনটির ১২টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৮ জন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ অংশ নিয়েছেন। দু’দিনব্যাপী এই সভা শেষ হবে শনিবার। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প নিয়ে কাজ করছে। এই সময়ের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য শুধু ইউরোপ আমেরিকা নয়, বরং এশিয়ার দেশসমূহ বিশেষ করে এ্যাপিকটার সদস্য দেশগুলো থেকেও ৫০ ভাগ অর্জিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অর্জন তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট সময়। মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে এ্যাকিপটার নির্বাহী কমিটির সভার আয়োজক হওয়া একটি বড় অর্জন ও অত্যন্ত আনন্দের বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। বেসিস সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এ্যাপিকটার চেয়ারম্যান ড. দিলীপা ডি সিলভা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি এ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। কার্যনির্বাহী কমিটির এ সভায় বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, চীন, চাইনিজ তাইপে, জাপান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, হংকং ও ভিয়েতনামের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিবিদগণ অংশ নিয়েছেন। এ্যাপিকটার চেয়ারম্যান ড. দিলীপা দি সিলভা বলেন, আমি মনে করি সরকারের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বেসিস যেভাবে একাত্ম হয়ে কাজ করছে তা এ্যাপিকটা সদস্যদেশগুলোর প্রতিনিধিদের জন্য একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো এ্যাপিকটা ইভেন্ট আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। বেসিস সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি প্রদান, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং সরকারের উদ্যোগে দক্ষ জনবল তৈরিতে বিপুল অর্থ বরাদ্দসহ ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় বাজার উন্নয়নে অন্তত ২ বিলিয়ন ডলার অর্থ বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে। বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে চীন ও ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এ খাতকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্ম কাজ করে চলছে। প্রসঙ্গত, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের এই জোট মূলত সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে নিজ নিজ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের কাঠামো গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে থাকে। এ ছাড়া সদস্য দেশগুলোর নিজস্ব তথ্যপ্রযুক্তিকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরা, তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতা উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি ইনোভেশনগুলোকে এগিয়ে নিতে বেশ শক্ত ভূমিকা রাখে এই জোট। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে গত বছর বেসিস এ্যাপিকটার সদস্যপদ লাভ করে।
×