ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে আরও বন্দী

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১ এপ্রিল ২০১৬

গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে আরও বন্দী

কিউবায় গুয়ানতানামো বে-কারাগার থেকে আরও প্রায় একডজন বন্দীকে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীদের বিশ্বের অন্তত দুটি দেশে পুনর্বাসিত করা হবে। খবর বিবিসির। আশা করা হচ্ছে, আসছে সপ্তাহগুলোতে এই বন্দীদের গুয়ানতানামো কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হবে। অবশ্য, মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দীদের গন্তব্য কোন কোন দেশে হতে যাচ্ছে সে ব্যাপারে কোনকিছু জানায়নি মার্কিন সেনাবাহিনী। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অনশনে থাকা ইয়েমেনি বন্দী তারিক বা ওদাহও মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি পাওয়া বন্দীশিবিরটিতে বর্তমানে ৯১ জন কারাবন্দী রয়েছেন। ২০০২ সালের ১১ জানুয়ারি গুয়ানতানামে কারাগারে প্রথম ২০ জন বন্দী পাঠানো হয়। ধীরে ধীরে বন্দীর সংখ্যা প্রায় আটশ’ জনে উন্নীত হয়েছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জানিয়েছেন, তিনি চান বন্দীদের নিজের দেশে অথবা মার্কিন সামরিক বা বেসামরিক কারাগারে হস্তান্তর করতে। প্রতিবছর গুয়ানতানামো বে-কারাগারের পেছনে প্রায় ৪৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার (৩১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড) ব্যয় হয়। আর এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। গুয়ানতানামো বে-কারাগারটি কিউবার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মার্কিন নৌঘাঁটিতে অবস্থিত। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াকার বুশ এটি স্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর বিদেশী সন্ত্রাসীদের এখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শত্রু শিবিরের যোদ্ধাদের আটক করে রাখা হয়। আটক বন্দীদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধেই কোন অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়নি কিংবা তাদের বিচার হয়নি। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ওবামা গুয়ানতানামো বে-কারাগার বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অবশ্য রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস বন্দীদের এ ধরনের পুনর্বাসনের ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। এ ধরনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণের অন্তত ৩০ দিন আগে পেন্টাগনকে এই মর্মে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে যে, মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দীরা মার্কিন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে না।
×