ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজি আমদানিতে এক ধাপ অগ্রগতি

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১ এপ্রিল ২০১৬

এলএনজি আমদানিতে এক ধাপ অগ্রগতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুই বছরের মধ্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলো বাংলাদেশ। দেশের প্রথম ভাসমান গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পেট্রোবাংলা। প্রথমদিকে, দৈনিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হলেও, পরে দৈনিক ১শ’ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানির আশা করছে জ্বালানি বিভাগ। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের স্বল্প মজুদ ফুরিয়ে আসছে দিনকে দিন। অগ্রসরমান বাংলাদেশে শিল্পায়নসহ নানামুখী কাজে চাহিদা বাড়লেও দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন সেই হারে না বাড়ায় বিকল্প হিসেবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, আর দরকষাকষির পর্ব শেষে কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজির ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে আরও এক ধাপ এগিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে পেট্রোবাংলার সঙ্গে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকের মধ্যে টার্মিনালটির নির্মাণ শেষ করবে প্রতিষ্ঠানটি। জানানো হয়, জাহাজে করে এলএনজি এই টার্মিনালে খালাস করে সেখানেই বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা গ্যাসে রূপান্তর করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাঠানো হবে দেশের ভেতর। পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ড. ইশতিয়াক আহমদ বলেন, ‘মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত আমাদের কোন গ্যাস পাইপলাইন ছিল না। সেই গ্যাস পাইপলাইনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটারে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে নীতি-নির্ধারকরা জানান, এলএনজি আমদানির পাশাপাশি নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধানেও স্থল ও সমুদ্রে চালানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় মাটি পরীক্ষা ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ শেষে টার্মিনাল নির্মাণের মূল কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
×