ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন- ১১ বীর নারীকে সম্মাননা প্রদান

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৩১ মার্চ ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন- ১১ বীর নারীকে সম্মাননা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো এবং গড় আয়ুতে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। দেশের এই অর্জনে নারীদের অবদান অপরিসীম। মহান মুক্তিযুদ্ধেও পুরুষের পাশাপাশি নারীরা জীবন বিপন্ন করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাদের অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাস কখনও ভুলে যাবে না। বুধবার বিকেলে রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ১১ বীর নারীকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবসের ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৭১ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্মাননাপ্রাপ্ত নারীরা হলেন- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব (মরণোত্তর), মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানম, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, ড. ভ্যালোরি এ. টেইলর, মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ বেগম, মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির, মুক্তিযোদ্ধা লুবনা মরিয়ম, মুক্তিযোদ্ধা শিলা মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা সুলতানা কামাল এবং মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা হান্নানা বেগম। সম্মাননা হিসেবে প্রত্যেককে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয় এবং হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্মারক সম্মাননা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে পৌঁছে দেয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মাননা প্রদান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ খালেদ শওকত আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পীকার কর্নেল শওকত আলী এবং সাংবাদিক আবেদ খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের কথা স্মরণ করেন। রাজনীতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা স্মরণ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভাড়া দিতে না পারায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কার্যালয় ছেড়ে দেয়ার উপক্রম। আবদুর রাজ্জাক তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি এবং রাজ্জাক ভাই গেলাম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে। ৬০ টাকা করে তিন মাসের ভাড়া ১৮০ টাকা বাকি ছিল। বেগম মুজিব আমাদের ২০০ টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আগে বঙ্গবন্ধুকে বলা বেগম মুজিবের কথাগুলোও তাৎপর্যের দাবি রাখে। এ সময় মন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, আজ দুঃখ হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যাকে খালেদা জিয়া বিতর্কিত করতে চাইছেন। পাকিস্তান ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা স্বীকার করে না, খালেদা জিয়াও স্বীকার করেন না। এর মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানকেই সমর্থন করলেন। বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রত্যেক নারীর ওপর তৈরি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
×