ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী;###;ঢাকার দীর্ঘদিনের ‘মগবাজার যানজট’ অবসান;###;প্রথমদিন ছিল দর্শক আর গাড়িতে পরিপূর্ণ

ঘুচল দুর্ভোগ ॥ মগবাজার তেজগাঁও ফ্লাইওভার চালু

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৩১ মার্চ ২০১৬

ঘুচল দুর্ভোগ ॥ মগবাজার তেজগাঁও ফ্লাইওভার চালু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অপেক্ষা যেন কিছুতেই শেষ হয় না। রাস্তায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা। তাতে কি। একটু পরেই খুলবে উড়াল সড়ক। এক ঘণ্টার রাস্তা পার হওয়া যাবে মাত্র পাঁচ মিনিটে। এ জন্যই বর্ণাঢ্য আয়োজন। সকল আনুষ্ঠানিকতা ও ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দ্বার খুলল মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্পের একাংশের। এর পর পরই হাজারো গাড়ির ভিড় উড়াল সড়কে। সকলেই মহা আনন্দে প্রথম দিনের সাক্ষী হতে চাইলেন। গাড়ির ব্যাপক চাপে এক পর্যায়ে সড়কে যানজট লেগে যায়। তাতে কি। তবুও নতুন পথ ধরে চলতে উৎসাহের কমতি ছিল না কারও মধ্যে। বুধবার দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বহু আলোচিত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশ উদ্বোধনের পর খুলে দেয়া হয়েছে যানবাহন চলাচলের জন্য। সকাল সাড়ে দশটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ফ্লাইওভারের রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তেজগাঁও অংশে উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল প্রান্তে পৌঁছান। এরপর বেইলি রোড অফিসার্স ক্লাবে মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, ঢাকা শহরের সৌন্দর্য বর্ধন ও নগরবাসীর যাতায়াত সহজ করতে কাজ করছে তার সরকার। ঢাকা যেহেতু রাজধানী শহর তাই এখানে মানুষের আগমনও বাড়ছে। বাড়ছে যানজটও। সেই সঙ্গে সঙ্গে দেখতে হবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে, জীবনমান উন্নত হচ্ছে, আর্থিক সচ্ছলতা বাড়ছে, গাড়ি কেনাটাও বেশি বেড়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যানজট নিরসনে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করব। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি। রাজধানীর একদিকে সৌন্দর্য বর্ধন করা, অপরদিকে মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজ করা এবং যোগাযোগটা আরও উন্নত করা, এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছি এবং যা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকার দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন উপলক্ষে তিন-দিন ধরেই বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয় পুরো এলাকা। সিটি কর্পোরেশনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরা হয় এলাকাজুড়ে। নানা রঙের কাপড় দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় উড়াল সড়ক। সড়কের দু’পাশে দেয়া হয় সাদা, লাল, হলুদসহ রকমারি পতাকা। সেই সঙ্গে ককসিটের মধ্যে বিভিন্ন রং ব্যবহার করে লেখা হয় ‘শুভ উদ্বোধন- মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার।’ উপরে দেয়া হয় জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এ ছাড়াও পুরো এলাকায় উপরে ও নিচের অংশে জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানাতে দেখা গেছে। সাতরাস্তা এলাকায় ণির্মাণাধীন পাঁচ তারকা হোটেল ‘হলি ডে ইন’-এর দেয়ালে দেখা গেছে ১৫০ ফুট লম্বা ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এবং অভিনন্দন। এই হোটেল ছাড়াও আশপাশের ভবনগুলো সাজানো হয় বর্ণাঢ্য সাজে। উদ্বোধনের পর স্থানীয় জনতাকে হাতি নিয়ে উড়াল সড়কে উল্লাস করতে দেখা যায়। বাদ্য বাজনার তালে তালে পরিবেশন করা হয় গানও। অনেকে খোলা ট্রাকে গানের আয়োজন করেন। এসব কিছুই চলছিল সকাল থেকেই। পথচারী ও অযান্ত্রিক পরিবহন উড়াল সড়ক ব্যবহার করতে পারবে না এমন নির্দেশনার দেয়া হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গতিসীমার নির্দেশনাও। সাদা সাইনবোর্ডে বৃত্তের মধ্যে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের ছবি দিয়ে লাল রংয়ে ক্রস চিহ্ন দেয়া রয়েছে। অর্থাৎ উড়াল সড়ক দিয়ে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ। সাদা রং দিয়ে লেন চিহ্নিত করা হয়েছে। দু’পাশে আঁকা হয়েছে বর্ডার। রয়েছে ওঠা ও নামার নির্দেশনাও। নিচে সড়কদ্বীপে লাগানো হয়েছে নানা জাতের ঘাস। কোথাও কোথাও গাছ লাগানোর কথাও জানালেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে ফলক উন্মোচনের সময় রাস্তার দু’পাশে ছিল হাজারো মানুষের উপস্থিতি। তাদের কেউ উৎসুক জনতা। অনেকেই দলীয় নেতাকর্মী। এ সময় চলছিল একের পর সেøাগান। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে অনেকে সরকারে উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের চিত্র তুলে ধরেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানিয়েছেন, উড়াল সড়কের এই অংশটি চালু হওয়ার ফলে মগবাজার রেল ক্রসিং এড়িয়ে এক টানে মগবাজার পার হওয়া যাবে। আগে সাতরাস্তা থেকে রমনা আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগত, এখন লাগবে পাঁচ মিনিট। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিন দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজের মধ্যেই নক্সায় ত্রুটি নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ, সমালোচনা। তার পরও নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকায় বিশাল নির্মাণ কাজের ভোগান্তি আর যানজটের ধকল থেকে রেহাই পেতে নাগরিকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) এলজিআরডির প্রকৌশলী নাজমুল আলম বলেন, উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যাবার পর ফ্লাইওভারের প্রথম অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। বাকি কাজের মধ্যে হাতিরঝিল থেকে এফডিসি অংশের র‌্যাম্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুতই শেষ হবে জানান এই ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক। পুরো প্রকল্পের ৭০ ভাগের মতো কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকৌশলী নাজমুল বলেন, তিন ধাপে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলামোটর থেকে মৌচাক অংশ আগামী জুনে খুলে দেয়া হবে। আর বাকি অংশটুকু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে খুলে দেয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। মেয়াদ বাড়ার সমান্তরালে প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে সরকার। সব মিলিয়ে প্রায় নয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র‌্যাম্প রাখা হয়েছে। ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড উড়াল সড়কটির নির্মাণ কাজ করছে। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) এই প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। সংস্থা দুটির ৫৭২ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার কথা থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ৭৭৬ কোটি টাকা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমাণ ২০০ কোটি ৪৭ লাখ টাক থেকে বাড়িয়ে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা শহরের সৌন্দর্য বর্ধন ও নগরবাসীর যাতায়াত সহজ করতে কাজ করছে তার সরকার। দেশের দীর্ঘতম এই ফ্লাইওভারের রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরা¯স্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তেজগাঁও অংশে উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল প্রান্তে পৌঁছান। এরপর অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদে নির্মিত হাতিরঝিল প্রকল্প, কুড়িল-বিশ্বরোড বহুমুখী ফ্লাইওভার, মিরপুর-বিমানবন্দর জিল্লুুর রহমান ফ্লাইওভার, বনানী ওভারপাস, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ শুরুর কথাও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু অবকাঠামো নয়, নাগরিক সুবিধা বাড়াতে ই-টিকেটিংয়ের কাজও চলছে। সবকিছুতেই ডিজিটাল সিস্টেম আমরা নিয়ে আসতে চাই। ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পরিবহনে একই টিকেটের মাধ্যমে যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা ই-টিকেটিং ও ই-ক্লিয়ারেন্স হাউস স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা যতই উন্নত করতে পারব আমাদের দেশের মানুষের ততই আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়ে থাকা মানুষগুলো; তারা সেখানে বসে জীবনযাত্রার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী নিতে পারবে, বিভিন্ন কাজ করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই সরকার সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌযোগাযোগ উন্নত করার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। শুধু দেশের ভেতরেই নয়, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকা- বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত ও চীনসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গেও কাজ চলছে বলে জানান তিনি। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে নগরবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধি ও ট্রাফিক আইন মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, ট্রাফিক রুলসটা সকলেরই জানা এবং মেনে চলা উচিত। নিয়ম মেনে রাস্তা পারাপারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যত্রতত্র হঠাৎ করে রাস্তার মাঝ দিয়ে দৌড়ে পার হতে যাওয়া এগুলো বন্ধ করতে হবে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই কিন্তু এ কারণে ঘটে থাকে। নাগরিকরা যাতে এভাবে রাস্তা পার না হয় সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশও সচেতন থাকবে। এ ছাড়া ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করে তোলার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা হলে কী কারণে হলো সেটা না দেখেই অনেক যানবাহনের ওপর হামলা, আগুন দেয়া, ড্রাইভারকে পিটিয়ে মেরেই ফেলা হয়। সবার আগে দেখবেন, এক্সিডেন্টটা কার দোষে হলো। শুধু চালককে দোষ না দিয়ে দুর্ঘটনা হলে তার কারণ খতিয়ে দেখতে হবে। আমি মনে করি দেশের যারা জনগণ তাদের ধৈর্য ধরতে হবে। দেখতে হবে, কোন্ দোষে, কী কারণে দুর্ঘটনা হলো। এই নাগরিক সচেতনতাটা খুব বেশি দরকার।
×