ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে বাধা

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩১ মার্চ ২০১৬

বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে বাধা

নিজস্ব সংবাদাতা, বাঁশখালী, ৩০ মার্চ ॥ উপজেলার গ-ামারা ইউনিয়নে এস আলম গ্রুপ ও চায়না সেবকো এইচটিজি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র। পাশাপাশি এই প্রকল্পকে নিয়ে কুচক্রী মহল রক্তক্ষয়ী খেলায় মেতেছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই কর্মকাণ্ডে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কুচক্রী মহল। কয়লা বিদ্যুতের লাভ-ক্ষতি সম্পর্কে এলাকাবাসীর মধ্যে আদৌ সঠিক ধারণা নেই। এলাকার নিরীহ জনগণকে পুঁজি করে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামানোর পাঁয়তারা করছে সরকারবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। বুধবার উপকূলীয় এলাকা গ-ামারায় গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে কয়লা বিদ্যুতের ক্ষতি সম্পর্কে কোন ধরনের বর্ণনা দিতে পারেনি। পাশাপাশি এলাকাবাসী অভিযোগ করেন কয়েক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির পাঁয়তারায় আন্দোলন নেমেছে তারা। নির্মিতব্য কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখতে ও সঠিক বিষয়টি জনগণের সামনে নিয়ে আসার বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান এলাকার সাধারণ জনগণ। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে বাঁশখালীর গ-ামারায়। বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ ৭০% ও চায়না সেফকো এইচটিজি-৩ কোম্পানির ৩০% যৌথ চুক্তিতে এই প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। রমনা কালীমন্দিরে গণহত্যা দিবস পালিত গত রবিবার রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমের শহীদ বেদিতে রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম ও ১৯৭১ সালের ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন কমিটির উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী এ মন্দির ও আশ্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে। আশ্রমের সেবায়েতসহ শতাধিক পরিবারের সদস্য এবং মন্দিরের তীর্থে আসা পুণ্যার্থীদের হত্যা করে। এ দিবসকে স্মরণ করার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মন্দির প্রাঙ্গণে সংগঠনের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি মিন্টু রায়ের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের সাধারণ সম্পাদক সুভাস বড়াল, শহীদ পরিবার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলীপ দাস, বিকাশ রায়, হিমাংশু সিংহ, পিন্টু মিশ্র, প্রদীপ দাস, দুলাল সাহা, বিকাশ রায়সহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। -বিজ্ঞপ্তি
×