ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যারাডোনা-মেসির কথা হয় না!

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩০ মার্চ ২০১৬

ম্যারাডোনা-মেসির কথা হয় না!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দিয়াগো ম্যারাডোনার পর আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার বলা হয় লিওনেল মেসিকে। দুই প্রজন্মের এই দুই তারকা ২০১০ বিশ্বকাপে জুটিও বেঁধে ছিলেন। ম্যারাডোনা ছিলেন কোচ, আর মেসি তার শিষ্য। কিন্তু এই দুই নক্ষত্র আর্জেন্টিনার হাহাকার ঘোচাতে পারেননি। ব্যর্থতার কারণে সে সময় ম্যারাডোনাকে ছাঁটাই করা হয় কোচ পদ থেকে। সেই থেকে না কি এখন পর্যন্ত ম্যারাডোনার সঙ্গে কথা হয়নি মেসির। অর্থাৎ ছয় বছর কথা নেই মেসি-ম্যারাডোনার। বিস্ময়কর তথ্যটি নিজেই জানিয়েছেন বর্তমান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভাল বলে জানিয়েছেন বার্সিলোনা তারকা মেসি। এ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, লম্বা সময় আমাদের কথা হয়নি। ২০১০ সালের পর থেকে আমাদের হয়ত দুই-এক বার দেখা হয়েছে। বর্তমান ফিফা সেরা ফুটবলার বলেন, তার নিজের জীবন আছে, ব্যস্ততা আছে। আর আমারও তাই আছে। আমাদের একে অপরের সঙ্গে কথা না হলেও তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দারুণ। অথচ একটা সময় আর্জেন্টিনায় সম্ভাবনাময় কেউ এলেই তার গায়ে ‘নতুন ম্যারাডোনার’ তকমা জুটে যেত। মেসি আসার পর সেই ধারাটা বন্ধ হয়ে গেছে। ম্যারাডোনা যখন নিজেই মেসিকে তার উত্তরসূরির প্রশংসাপত্র দিয়েছেন, তখন তো আর কিছু বলার থাকে না। আর্জেন্টিনার কোচ থাকার সময় মেসিকে শিষ্য হিসেবেও পেয়েছেন ম্যারাডোনা। অথচ দুজনের মধ্যে এখন কতটা ফারাক! ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ। ওই বিশ্বকাপে মেসিই ছিলেন তার তুরুপের তাস। শেষ পর্যন্ত কোচ হিসেবে ম্যারাডোনা জাদু দেখাতে পারেননি, জার্মানির কাছে হেরে আর্জেন্টিনা বিদায় নেয়া কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। বিশ্বকাপের পর ম্যারাডোনারও বিদায়ঘণ্টা বাজে। এর পর দুজনের মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চোখাচোখি বা সামান্য সৌজন্য বিনিময় হয়েছে। কিন্তু সেভাবে কোন কথাই হয়নি। বিষয়টি বেশ অবাক করার মতোই। অনেকেই তো এই ঘটনার পর বলছেন, নিশ্চিতকরেই এ দু’জনের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। মেসি যতই বলুক সম্পর্ক ভাল, নিন্দুকদের ভাষ্য হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় দেখা হলে দু’জনে কেন কথা বলবেন না! এ থেকেই অনেকে সন্দেহ করছেন, ফাটল আছে মেসি-ম্যারাডোনার সম্পর্কে। রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা মেসিকে তার ক্যারিয়ারের প্রায় শুরু থেকেই ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করে আসছে মানুষ। তবে আর্জেন্টিনার হয়ে কিছু জিততে না পারায় সমালোচনাও সইতে হচ্ছে বার্সিলোনা তারকাকে। ম্যারাডোনার সৌজন্যেই আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালে শেষ বিশ্বকাপ জয় করে। ২০১৪ বিশ্বকাপে মেসি দুই যুগের আক্ষেপ ঘোচানোর দ্বারপ্রান্তে এসেও ব্যর্থ হন। ফাইানালে তার অমার্জনীয় ব্যর্থতায় জার্মানির কাছে হেরে হৃদয়ভঙ্গ হয় আর্জেন্টিনার। আইনী জবাব দেবে বাফুফে স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের আইনী পদক্ষেপের জবাব আইনের মাধ্যমেই দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। শেখ জামালের আট ফুটবলারকে তাদের ক্লাবে ফিরিয়ে দিতে সোমবার বাফুফের প্রতি আদেশ জারি করেন হাইকোর্ট। যার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘সম্মানিত বিচারকদের রায়ের কপি এখনও আমরা হাতে পাইনি। কাল (মঙ্গলবার) হয় তো এটি আমাদের হাতে আসবে। এরপর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আইনী পদক্ষেপের বিপক্ষে আইন ছাড়া অন্য পথ তো নেই।’ উল্লেখ্য, বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার মামুনুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, শহীদুল আলম সোহেল, ইয়াসিন খান, সোহেল রানা, রায়হান হাসান, ইয়ামিন মুন্না ও আলমগীর কবির রানাকে শেখ জামালের পক্ষে খেলার এবং বাফুফেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। রায়ে আরও বলা হয়Ñ শেখ জামালের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া এসব ফুটবলার যাতে অন্য কোন ক্লাবের হয়ে মাঠে নামতে না পারে, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে। এর আগে শেখ জামাল ধানম-ি জানিয়েছিল আট ফুটবলারকে ফেরত পেতে তারা যে আবদেন করেছে, সে সম্পর্কে বাফুফে তাদের সিদ্ধান্ত না জানালে তারা আসন্ন স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলবে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাফুফের প্লেয়ার্স কমিটি সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এক জরুরী সভায় মিলিত হয়। সভা শেষে উপরোক্ত মন্তব্য করেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।
×