ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াতি করে ঋণ না পেয়ে রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ৩০ মার্চ ২০১৬

জালিয়াতি করে ঋণ না পেয়ে রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রূপালী ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে ঋণ না পাওয়ার কারণে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছেন কামরুজ্জামান সোহাগ নামে এক ব্যক্তি। তিনি শুধু রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই ক্ষান্ত হননি, সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধেও বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এসব ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঋণ নিচ্ছেন তিনি। আর ঋণ দেয়া না হলে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সূত্রে জানা গেছে, রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল কর্পোরেট শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাইভ এস ট্রেডিং কর্পোরেশন কামরুজ্জমান সোহাগের একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এসএমই ঋণের আওতায় কিছু শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। কিছু শর্ত শিথিল করার জন্য শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। শর্ত শিথিলের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন থাকাবস্থায় জানা যায়, একই নামের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাইভ এস ট্রেডিং কর্পোরেশন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কামরুজ্জামান সোহাগ ও মৃণাল কান্তি দেব রমনা কর্পোরেট শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু একই নামে একক মালিকানা প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারি প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে কি-না ও এর অনুকূলে ঋণ দেয়ার বিষয়ে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এসএমই বিভাগের কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করার জন্য ব্যাংকের সকল বিভাগীয় কার্যালয় এবং আইন বিভাগে চিঠি প্রদান করেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, মেসার্স ফাইভ এস ট্রেডিং কর্পোরেশন ও এর মালিকদের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের নামে রূপালী ব্যাংকের ঋণ আছে কি-না জানতে চাওয়া হয়। এ খবর মেসার্স ফাইভ এস ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক কামরুজ্জামান সোহাগ খান জানতে পেরেই রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করেন। প্রকৃত ঘটনা, একই নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের (মেসার্স ফাইভ এস ট্রেডিং কর্পোরেশন) বিপরীতে অবৈধভাবে ঋণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে কামরুজ্জামান সোহাগ রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে। গরমের শুরুতে বেড়েছে এসির চাহিদা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এ বছর একটু আগে ভাগেই শুরু হয়ে গেছে গরম। প্রতিদিনই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই দেশব্যাপী বাড়ছে এয়ার কন্ডিশনার বা এসির চাহিদা। গরমের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে গ্রাহকরা ভিড় করছেন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসির শোরুমগুলোতে। তবে, গ্রাহকদের পছন্দে এবার ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বছর দেশীয় ব্র্যান্ডের এসিতে গ্রাহকদের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে বাজারে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন এসির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, হঠাৎ অসহনীয় গরম পড়লে বাজারে এসির চাহিদা বেড়ে যায়। তখন চাহিদা মেটাতে বিক্রেতাদের হিমশিম খেতে হয়। যে কারণে এ বছর ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ এসির মজুদ বাড়িয়েছে। এ বছর ওয়ালটন এসি বিক্রিতে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের দাবি, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট), গোল্ডেন ফিনের ব্যবহার, দামে সাশ্রয়ী, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি থাকায় গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে এখন ওয়ালটন। এদিকে গত বছর বাজারে ওয়ালটন এসির ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে চলতি বছর প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি এসি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে চলতি মাসের এসি বিক্রিতে।
×