ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিরাট বন্দনায় মাতোয়ারা ভারত

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ২৮ মার্চ ২০১৬

বিরাট বন্দনায় মাতোয়ারা ভারত

অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশীয় মিডিয়াগুলো তো বটেই, বিদেশি মিডিয়াগুলোতেও এখন বিরাট-বন্দনা চলছে। রবিবার রাতের ওই মুহূর্তটার কথা ভাবুন। শেষ চার ওভারেই অজিদের শেষ করে দেন বিরাট একাই। বেশ কিছু দিন আগে এক সাক্ষাত্কারে ধোনিকে বিরাটের সাফল্যের চাবিকাঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ওই দিন ধোনি জানিয়েছিলেন যে, বিরাটের রানের খিদে অস্বাভাবিক। প্রতিমুহূর্তে নিজেকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ধোনি এটাও জানান, চাপের মধ্যে কী ভাবে প্রতিপক্ষকে পাল্টা চাপে ফেলতে সেটা বিরাট ভাল রপ্ত করেছে। সিঙ্গলসকে ডাবলে পরিণত করে বোলার আর ফিল্ডারদের উপর চাপ বাড়ানোই তাঁর লক্ষ্য। সে কারণেই ভাল সিঙ্গলস নিতে পারে এমন পার্টনার তাঁর সব সময় পছন্দ। রবিবার রাতেও সেই একই ধারা বজায় রেখে অস্ট্রেলিয়াকে দেশে পাঠিয়ে ছাড়ল বিরাট। অজিরা প্রথম দিকে যে ভাবে মারা শুরু করেছিল, তাতে প্রোজেক্টেড স্কোর ২০০-র উপর ছিল। কিন্তু যুবরাজের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট অজিদের রানের গতি কমিয়ে দেয়। যুবরাজের বলে অজি অধিনায়ক স্মিথ কট বিহাইন্ড হওয়ার পরেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিছু ক্ষণ মাঠে দাঁড়িয়েও ছিলেন। বার বার মাথা নাড়াতেও দেখা যায়। স্মিথের এই আউট নিয়ে অজি মিডিয়াগুলোতে হইচই পড়ে যায়। পাশাপাশি, বিরাট যে এ ভাবে অজিদের উড়িয়ে দেবে সেটাও প্রশংসিত হয়েছে ওই মিডিয়াগুলোতে। মোহালির যুদ্ধের আগে বিরাটকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতা ছিল স্মিথ-ওয়াটসনদের। কারণ বিরাট যে কোনও মুহূর্তে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তা হলে প্রশ্ন উঠছে বিরাটের প্রতি বাড়তি ফোকাসেই কি কাল হল স্মিথদের? তবে চাপের মুখে বিরাট যে জ্বলে ওঠেন রবিবার রাতের মোহালি-সহ গোটা ভারতবাসী ফের দেখল। যুবরাজের উইকেটটা পড়ে যাওয়ার পর অনেকটাই চাপে পড়ে যায় ভারত। গোটা দেশবাসীর প্রার্থনা যেন আছড়ে পড়েছিল মোহালিতে। ধোনি ব্যাট করতে এলেন। বিরাটের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াটা অনেক ভাল। তাই যে ভাবে দু’জনে সিঙ্গলসগুলোকে ডাবলস করেছে, তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল স্মিথবাহিনী। আর এই পাল্টা চাপের সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠিয়েছেন বিরাট। তাঁর অর্ধশত রান যখন পূরণ হল, তখন কিন্তু ব্যাট তুলতে দেখা যায়নি বিরাটকে। কিন্তু যখনই তিনি ওভারবাউন্ডারি হাঁকালেন, লাফ মেরে বোঝাতে চেয়েছেন ‘আই ক্যান ডু’। আর সেটাকেই মন্ত্র করে পর পর কয়েকটা বাউন্ডারি মেরে জেতার দোরগোড়ায় ম্যাচটাকে নিয়ে যান। চার মেরে ফাইনাল টাচ দেন ধোনি। সূত্র : আনন্দবাজার
×