যান্ত্রিক এই কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের প্রতি খেয়াল করার সময় কোথায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসের জন্য প্রস্তুতি, তারপর তাড়াহুড়া করে অফিসে পৌঁছা। সারাদিন কাজের ব্যস্ততা আর দিন শেষে যখন বাসায় ফেরা হয় তখন রাত ৮টা। এত ব্যস্ততার মধ্যে নিজের দিকে তাকানোর সময় হয়ে ওঠে না। বলছিলেন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিংয়ে কর্মরত জুয়েল আহমেদ। তাঁর মতো এমন হাজারও ব্যক্তি রয়েছেন, যারা কাজের ব্যস্ততার জন্য নিজের শারীরিক অবস্থার দিকে তাকাতে পারেন না। এদিকে বাড়ছে বয়স! চিন্তায় পড়ে গেছেন আপনিও। কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললেই বয়সের ছাপ আপনাকে বুড়িয়ে দিতে পারবে না। চাঙ্গা ভাব নিয়ে কাজ করতে পারবেন সব সময়। এ জন্য আপনার যা যা করতে হবে
১.সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: আপনার খাদ্য তালিকায় ফল, শাকসবজি বেশি রাখুন। কম ক্যালরিযুক্ত সুষম খাদ্য খান। সপ্তাহে একদিনের বেশি মাংস এবং দু’দিন মাছ খেতে চেষ্টা করুন। বিয়ে বা এ জাতীয় কোন প্রোগ্রামে গেলেও জিহ্বার স্বাদকে সংবরণ করুন।
২.ব্যয়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করুন: ব্যয়াম আর শারীরিক পরিশ্রমের কথা বললেই আপনি হয়ত বলবেন, এটা জানি। কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম আর ব্যয়াম করার মতো সময় আমার নেই। ভাল থাকার জন্য কষ্ট করে হলেও প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট হাঁটুন কিংবা একস্থানে দাঁড়িয়ে জগিং করুন। এক্ষেত্রে যোগ ব্যয়াম সবচে কার্যকর।
৩.ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন: দিনের বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি ফল খাবার অভ্যাস করুন। সবুজ-সতেজ ফলে ফলিক এ্যাসিড আপনার প্রাণচাঞ্চল্য বাড়িয়ে তুলবে এবং শরীরের বয়স বৃদ্ধি রোধ করবে।
৪. শরীরে রোদ লাগান: বাসার ছাদে কিংবা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন সকালে গোসলের আগে ১০ মিনিটের সূর্যস্নান আপনার বয়সকে কমিয়ে দেবে অনেকখানি। তাছাড়া সূর্যের তাপ ভিটামিন ‘ডি’ হাড়ের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
৫.চর্বিযুক্ত খাবার নিষিদ্ধ করুন: আপনার পরিবারে এবং আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে চর্বিযুক্ত খাবার নিষিদ্ধ করুন। মনে রাখবেন, চর্বিযুক্ত খাবার হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: শরীরের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা ২৪০ মিলিগ্রামের কম রাখুন। আপনার বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন।
৭. বিশ্রাম নিন: প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যে একটু কষ্ট করে হলেও কমপক্ষে ১৫মিঃ বিশ্রাম নিন। এতে কাজের গতিও বাড়বে আবার আপনার মনও হবে ফুরফুরে। রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠতে চেষ্টা করুন।
৮.মেডিটেশন করুন: মেডিটেশন আপনার দেহকে প্রশান্ত করবে, আপনার কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং প্রতিদিনের কর্মময় ক্লান্তি নিমিষেই দূর করবে। মেডিটেশন আপনার নিজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি করবে। ফলে আপনার প্রতিটি কাজ হবে পরিকল্পিত আর বয়সকে পুরে ফেলতে পারবেন আপনার হাতের মুঠোয়। প্রতিটি ধর্মেরই মূল উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ধর্মচর্চার মাধ্যমেও আপনার বয়সে আনতে পারেন সৌন্দর্যের ছাপ।
ছবি : আরিফ আহমেদ
মডেল : আইরিন
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: