স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় স্বামীর দেয়া গরম পানিতে দগ্ধ নূরজাহান আক্তার পূর্ণিমা (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কাছে হেরে গেছেন। ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে রবিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয। বার্ন ইউনিটে আবাসিক সার্জন ডাঃ পার্থ প্রতিম পাল জানান, র্পূণিমার শরীর ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত নিহতের স্বার্মী মিজানুর রহমান পালিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সতাল গ্রামে। তিনি উত্তর বাড্ডা হাউজ নম্বর ১০৮/১ এর পাঁচতালার একটি ফ্ল্যাটে স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনায় নিহতের মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে বাড্ডায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওসি জানান, গত ২১ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মিজানুর রহমান তার স্ত্রীর নূরজাহানের শরীরে গরম পানি ঢেলে দেন। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধ নূরজাহান সেই সময় জানিয়েছিলেন, আমি একটি হোটেলে সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে চাকরি করি। এ নিয়ে স্বামী তাকে সন্দেহ করতেন। তাই তাকে চাকরি ছাড়ার জন্য বলতেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায় কথা কাটাকাটি হতো। গত সোমবার সকালে মিজানুর রান্না ঘরে গিয়ে নূরজাহানে গায়ে গরম পানি ছুঁড়ে মেরে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে তাকে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: