ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যান্ড্রে পিটারসন

ব্লিম্প নিয়ে এত লঙ্কাকাণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৭ মার্চ ২০১৬

ব্লিম্প নিয়ে এত লঙ্কাকাণ্ড

গত শরতে মার্কিন সামরিক বাহিনী মানববিহীন একটি গোয়েন্দা ব্লিম্প বা বেলুনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। জেপেলিন ধরনের এই বেলুনটি মেরিল্যান্ডর একটি ঘাঁটিতে নোঙ্গর করা ছিল। এক সময় নোঙ্গর ছিঁড়ে এটি ভেসে চলে এবং পেনসিলভানিয়ার ওপর শ’ খানেক মাইন ভেসে যায়। তবে যাওয়ার পথে ধ্বংসেরও স্বাক্ষর রেখে যায় যা এমনিতে হবার কথা নয়। ব্লিম্পের সঙ্গে যে মোটা তার বাধা ছিল নোঙ্গর থেকে ছিঁড়ে যাওয়ার পর সেই তার ব্লিম্পের সঙ্গে ঝুলে ঝুলে চলতে থাকে। এই তারের সঙ্গে ঝটকা লেগে অনেক বিদ্যুত লাইনে শর্ট-সার্কিট হয়। হাজার হাজার লোকের বিদ্যুত সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এভাবে ৯১১টি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কলেজের ক্লাস বাতিল হয়ে যায়। ব্লিম্পটিকে খুঁজে বের করে আনার জন্য জঙ্গী জেটও মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এতসব লঙ্কাকা- হতো না যদি মৌলিক ধরনের একটা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কেউ করত। সেটা হলো স্মোক ডিটেক্টরকে সচল রাখা ব্লিম্পে স্বয়ংক্রিয় ডিফ্লেশন ডিভাইসে শক্তি যোগানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারি কেউ ভরে রাখেনি। ব্লিম্পটির স্থির হয়ে থাকার কথা। মোটা তার দিয়ে ওটা নোঙ্গরের সঙ্গে শক্ত করে বাঁধা ছিল। সেই তার দিয়ে স্থলের সঙ্গে ঐ বিশালকায় বেলুনের বিদ্যুত ও ড্যাটা স্থানান্তর হতো। শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মতো জিনিসগুলোর হদিস বের করার উদ্দেশ্যে এক পরীক্ষামূলক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই এ্যারোস্ট্যাটটি ১০ হাজার ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে যেতে পারে। এটির নাম দেয়া হয়েছে গ্লেনস্। পেন্টাগনের এক তদন্তে দেখা গেছে কিছু কারণে এই বিপর্যয়টা ঘটেছে। প্রথমত, ব্লিম্পের ভেতরে থাকা বায়ুচাপ মাপার একটি যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করেনি। সেই কারণে বাতাসের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে ফ্যানগুলোর চালু হবার কথা ছিল সেগুলো চালু হতে পারেনি। এবং ক্লিম্পের ভেতর বায়ুর চাপ কমে যায়। ভারি দমকা বাতাসে ব্লিম্পটি উল্লম্বভাবে দাঁড়িয়ে যায়। তাতে এর সঙ্গে বাঁধা তারের ওপর আরও অনেক বেশি চাপ পড়ে। সেই চাপ সইতে না পেরে তারটি ছিঁড়ে যায় এবং ব্লিম্প সেই ঝুলন্ত লম্বা তার নিয়ে ভেসে ভেসে চলে। ওয়াশিংটন পোস্ট
×