ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জয়তু শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৭ মার্চ ২০১৬

জয়তু শেখ হাসিনা

সফলতা যে সহজেই ধরা দেয়, তা নয়। অনেক শ্রম, কর্মনিষ্ঠতা, কর্মকুশলতা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও একনিষ্ঠতার সমন্বয় ঘটলেই সাফল্য এসে ধরা দেয়। পাল্লাটা সাফল্যের দিকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। রাষ্ট্রনায়কোচিত আচরণের মধ্য দিয়ে তিনি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত এখন। ৬৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনা তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিন দশকের বেশি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালান তিনি। দারিদ্র্যসীমা থেকে মানুষকে বের করে আনছেন। দেশের ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। বর্তমানে দেশের দারিদ্র্যসীমা ২২ ভাগে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ বিশ্বস্বীকৃত। তাই বিশ্বের শীর্ষ পঞ্চাশ নেতার তালিকায় তাঁর অবস্থান দশম স্থানে। ‘ওয়ার্ল্ড গ্রেটেস্ট লিডার’ শিরোনামে ২০১৬ সালের তালিকায় ৫০ নেতার মধ্যে ২৩ জনই নারী। আর নারীদের মধ্যে শেখ হাসিনার অবস্থান পঞ্চম স্থানে। নিউইয়র্কভিত্তিক টাইম গ্রুপের বাণিজ্যবিষয়ক বিখ্যাত সাময়িকী ‘ফরচুন’ এই তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাস মার্চে। সমাজের নানা ক্ষেত্রে নিজের কর্ম দিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নত ও সহজতর করার কাজে নিবেদিত ব্যক্তিত্বের নিয়েই তালিকাটি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্যবসা, সরকার; মানবতাবোধ, কলা সব ক্ষেত্রে এই নারী ও পুরুষরা নিজেরা যেমন বিশ্বকে বদলাচ্ছেন, তেমনি অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করছেন। পঞ্চাশজনের এই তালিকায় মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনাই রয়েছেন। মুসলিম একটি দেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষা বিস্তারে শেখ হাসিনার কৌশলী পদচারণার বিষয়টি তুলে ধরেছে ফরচুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে সাময়িকীটি বলেছে, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর মধ্যে তিনিই একমাত্র নারী সরকারপ্রধান, যিনি ইসলামিক মূল্যবোধ ও নারীর অধিকারের বিপরীতমুখী চাহিদার মধ্যে কুশলতার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছেন। বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নারীর আইনী সুরক্ষা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষা, অর্থনৈতিক, স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেও তিনি নারীদের সহযোগিতা দিয়ে চলেছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী ন্যূনতম মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষায় শিক্ষিত। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে’ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভাল করেছে বাংলাদেশ। নারী-পুরুষ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে বাংলাদেশের উঠে আসার দিকটিও শেখ হাসিনার কৃতিত্ব অবশ্যই। শেখ হাসিনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা শাসনামলে কৃষি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ সঠিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এগিয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ, নাশকতা, নৃশংসতা, গণহত্যা মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা দেশে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন। দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত করাই তাঁর লক্ষ্য। স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বলেছেনও, এ দেশে একটি মানুষও থাকবে না গৃহহারা, প্রতিটি মানুষ পাবে চিকিৎসা। থাকবে না কেউ না খেয়ে। সব বাধা উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, লাখো শহীদের স্বপ্ন পূরণ হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায়, সেই মূল লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে শেখ হাসিনা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আগামীতে বিশ্বের সেরা ৫০ নেতার শীর্ষে অবস্থান নেবেনÑ এমনটাই মনে করে দেশবাসী। বিশ্ববাসীও ক্রমশ তা উপলব্ধি করবে। এই অবস্থানের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি রইল প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। জয়তু শেখ হাসিনা।
×