ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্লোগানে স্লোগানে মুখর

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৭ মার্চ ২০১৬

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্লোগানে স্লোগানে মুখর

সৌমিত্র মানব, সাভার ॥ ‘বিচার চাই বিচার চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই’, ‘জামাত-শিবির-রাজাকার, এ মুহূর্ত্বে দেশ ছাড়’, ‘স্বাধীন এই বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই’- শনিবার সকাল থেকেই হাজারো মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠের এ সকল ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছিল সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। লাল-সবুজ পতাকা হাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যুবক থেকে বৃদ্ধ সকলেই কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে এ সকল সেøøাগান। এদিন জাতি মহান স্বাধীনতার ৪৫ বছর পালন করল। সকাল থেকে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছিল স্মৃতিসৌধের বেদী। একই সাথে দেশাত্মবোধক গান ও মুহুর্মুহু সেøাগানে মুখরিত হয়ে উঠছিল স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। শ্রদ্ধাবনত জাতি এদিন আবারও স্মরণ করল মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ অমর বীরসন্তানদের। সকালের প্রথম দিকে উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও ধীরে ধীরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমাগম বাড়তে থাকে। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম আর ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার এ মহান দিনে আত্মোৎসর্গকারী সেই সব শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাল। সেই সাথে রাজাকার, আলবদর ও যুদ্ধাপরাধী নির্মূল করে দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বিশেষভাবে দিনটি পালন করেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা ॥ মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি চৌকস দল তাঁদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর জাতীয় সংসদের স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাত ১২টার পর পর ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসটি উদ্যাপনের কার্যক্রম। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধের ভেতরে ও বাইরে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বিএনপি ॥ সকাল নয়টার দিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের স্মরণে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জিয়াউর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও এ সময় তাদের সাথে ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধে বিশ^াসী একটি দল। আজকে আমাদের স্বাধীনতার ৪৫ বছর হতে চলেছে। এখন সময় এসেছে নতুন সমাজ ও নতুন দেশ গড়ার জন্য বেগম জিয়া যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। খন্দকার মোশাররফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন দেশ গড়া। গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের যে কাজ আমরা করে যাচ্ছি স্বাধীনতা দিবস সেই কাজকে আরও বেগবান করবে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এদিন সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীরসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক ও ডিইউজের একাংশের সভাপতি শাবান মাহমুদসহ অন্যরা। সর্বস্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ এদিন বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর হলসমূহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি, দুর্নীতি দমন কমিশন, সাভার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও এর হলসমূহ, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফতর- ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা প্রতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট, গণবিশ্ববিদ্যালয়, গণবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংঘ, গণবিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী). জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, জাতীয় পার্টি (জেপি) কেন্দ্রীয় কমিটি, কর্মসংস্থান ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক অফিসার্স এ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ-কর্মসংস্থান ব্যাংক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও এর হলসমূহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি), কর্মজীবী নারী, সাভার পৌরসভা, সাভার প্রেসক্লাব, আশুলিয়া প্রেসক্লাব, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা-সাভার উপজেলা শাখা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখা, বিসিএস (কৃষি) এ্যাসোসিয়েশন, বিসিএস (লাইভ স্টক এ্যাসোসিয়েশন, উপাচার্য- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি, ভালুম আতাউর রহমান খান কলেজ-ধামরাই, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরশন অব বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা জেলা ছাত্রদল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নজরুল ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ আইন সমিতি, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশন, দি খ্রীস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ, ঢাকা, এডাব., সাভার উপজেলা এনজিও পরিষদ, সোস্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস), সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)- সাভার, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, তেজগাঁও, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ (বায়েসা), ইনস্টিটিশন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইসিডিইবি), বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, সড়ক ও জনপথ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি, সাভার ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিও), বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, একাত্তর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ন্যাশানাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ছাত্র সমিতি, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ, কৃষি বিভাগীয় প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট, বিআইএসএফ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, এনজিও ফেডারেশন (এফএনবি), বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি), জনতা ব্যাংক, আতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগর ওল্ড বয়েজ এ্যাসোসিয়েশন, ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বচিপ), বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ), সৃষ্টি সেন্ট্রাল কলেজ- আশুলিয়া, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতি, গণফোরাম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মোটরচালক লীগ, পাবনা সমিতি- ঢাকা, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম.এল.), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় মহিলা সংস্থা, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা সম্প্রীতি মঞ্চ, সাভার পৌরসভা, ঢাকার শিবগঞ্জ (চাঁপাই-নবাবগঞ্জ) ছাত্র কল্যাণ সমিতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি- ঢাকা, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসাদ), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ঢাকা মহানগর আইনজীবী সমিতি, গণসংহতি আন্দোলন, প্রয়াস, বিজেএমসি কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংসদ (সিবিএ), চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা, বাংলাদেশের উইনাইটেড কমিউনিটি লীগ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন প্রমুখ। লাল-সবুজের পতাকা আর নানান রঙের ফুল হাতে নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ এদিন অর্পণ করেন তাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। বিনম্র্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ‘স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বৃথা যেতে দিব না’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘বীর বাঙালীরা গর্জে উঠুক আরেকবার’ প্রভৃতি সেøøাগানে মুখরিত হয়ে উঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। অভ্যাগতদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিটিই ওঠে সবচেয়ে বড় করে এবং বার বার।
×