ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মংলায় স্বাধীনতা স্তম্ভ উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৬ মার্চ ২০১৬

মংলায় স্বাধীনতা স্তম্ভ উদ্বোধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ২৫ মার্চ ॥ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মংলা বন্দরে প্রথমবারের মতো নির্মাণ করা হয়েছে স্বাধীনতা স্তম্ভ। প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এ স্বাধীনতা স্তম্ভটি মংলার শিশু পার্কের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে। এর গায়ে মার্বেল পাথর দিয়ে খচিত হয়েছে মুক্তিবাহিনীর প্রধান এমএ জি ওসমানীর নাম ও ছবি। এ ছাড়া রয়েছে সেক্টর ১ এর মেজর জিয়াউর রহমান, সেক্টর ২ এর খালেদ মোশারফ, সেক্টর ৩ এর মেজর সফিউল্লাহ, সেক্টর ৪ এর মেজর সি আর দত্ত, সেক্টর ৫ এর মীর শওকত আলী, সেক্টর ৬ এর উইং কমান্ডার বাশার, সেক্টর ৭ এর মেজর কাজী নুরুজ্জামান, সেক্টর ৮ এর মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, সেক্টর ৯ এর এম এ জলিল, সেক্টর ১১ এর মেজর আবু তাহেরের নাম ও ছবি । শুক্রবার বিকেল ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা, সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সরকারী বেসরকারী প্রতিনিধি, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে ফিতা কেটে, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দৃষ্টিনন্দন এ স্বাধীনতা স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় এমপি তালুকদার আব্দুল খালেক। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাবেক মংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে শত্রুমুক্ত হয় এ এলাকা। মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর কমান্ডার মেজর (অব) জলিল ও সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) জিয়াউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মংলা ও সুন্দরবনের বিশাল এলাকা হানাদারদের হাত থেকে মুক্তি করে। ৪৫ বছর পরে হলেও মংলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে স্বাধীনতা স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি খুব সম্মান বোধ করছি। এ কারণে মংলা পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। স্বাধীনতা স্তম্ভ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মংলায় অবস্থানরত পাকিস্তানী গোলাবারুদ ভর্তি এমভি মারকান নামক জাহাজ বিমান থেকে বোমবিং করে ডুবিয়ে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। যার একটি বোমা নবনির্মিত স্বাধীনতা স্তম্ভেব ওই জায়গায় পড়ে। তাই স্মৃতিটি ধরে রাখতে ওই স্থানে এমভি মারকান জাহাজের ডুবে যাওয়ার প্রতিকৃতি এবং তার মাস্তুলের ওপর দাঁড়িয়ে ক’জন মুক্তিযোদ্ধার উল্লাস সংবলিত স্বাধীনতা স্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছে । মেয়র আরো জানান, তবে এ স্বাধীনতা স্তম্ভের পুরো নকশা বাস্তবায়নে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সামনে চলে আসায় কিছু কাজ বাকি থাকলেও তড়িগড়ি করে স্বাধীনতা স্তম্ভটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
×