ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক মায়াবী স্বপ্নরাজ্যের খোঁজে প্রীতি আলী

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২৫ মার্চ ২০১৬

এক মায়াবী স্বপ্নরাজ্যের খোঁজে প্রীতি আলী

‘রঙের সঙ্গে রঙের মেলবন্ধন’ বিষয় নিয়ে কাজ করার যৌক্তিকতা কতটুকু? কোন শিল্পীর শিল্পকর্ম তৈরি কিন্তু তার স্মৃতি থেকে আর তার বহির্পকাশ তুলির আঁচড়ে। সবসময়ই শৈল্পিক কাজগুলো ভিন্ন চিন্তাশক্তি থেকে হয়। কবির কবিতা লেখা, কোন লেখকের গল্প লেখা, ক্যানভাসের বিমূর্ত আবেগ নিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রঙের আঁচড়-সবকিছুর মধ্যেই দৃশ্যমান বা অদৃশ্য কোন রং থাকে। আমি আবেগ বা কষ্টকে বরাবরই শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চেয়েছি আমার সৃষ্টির মধ্যে। তাই বলা যায়, এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রঙিন ভাবনা উঠে এসেছে আমার ‘পাওয়ার অব পেইন এ্যান্ড প্যাথজ’ প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনী ‘পাওয়ার অব পেইন এ্যান্ড প্যাথজ’ সম্পর্কে জানতে চাই? আমার জন্য এই প্রদর্শনী ‘পাওয়ার অব পেইন এ্যান্ড প্যাথজ’ আমার নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমি বাস্তববাদে আগ্রহী। এই আর্ট এক্সিবিশনে আমি কাজ করেছি প্রকৃতি আর মানুষের সার্বিক দুঃখবোধ আর সেখান থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে। দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রকৃতি আর তার মধ্যে বিদ্যমান রঙের মেলাকে বেইজ করে আমি ছবি আঁকছি। তারই প্রতিচ্ছবি আমার এই প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে আমার ৫০টি চিত্রকর্ম রয়েছে, যা বিভিন্ন টেক্চারে করা। বিভিন্ন মাধ্যমে আমি দীর্ঘ সময় নিয়ে এক একটা কাজ করেছি। আমার দেখা মনোজগত আর বাস্তবের বহির্প্রকাশ আমার এই শিল্পকর্ম। জানি না কতটুকু করতে পেরেছি। ‘পাওয়ার অব পেইন এ্যান্ড প্যাথজ’ আপনার এই এক্সিবিশনে কতটুকু দৃশ্যমান? আমার ছবির টুকরো অংশগুলো প্রতিনিধিত্ব করে আমার টুকরো ভাবনাগুলো। চিত্রকর্মের একেকটা রং আর স্পষ্ট টেক্চার মাধ্যম আহ্বান করে আমার বর্তমানকে। ক্যানভাসটা মূলত দুই সময় অর্থাৎ অতীত-বর্তমান এবং আমার মৌলিক আবেগ প্রকাশের উপযুক্ত স্থান। আর যাবতীয় দুঃখবোধকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রয়াস আগে থেকেই। আমি ছোটবেলা থেকে রঙের আঁচড়ে সৃষ্টি ভাবনাগুলো নিয়েই আছি। সেই সূত্রেই সকল ভাবনার প্রকাশ আমার প্রদর্শনী। আর আমি সবসময় নিজস্ব অনুভূতি নিয়ে কাজ করতে চাই। আপনার প্রথম প্রদর্শনীতে তো অনেক গুণী ব্যক্তিত্বদের সমাগম হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কেমন? আমার স্বপ্ন ছিল অনেক বড় করে আর গুণী ব্যক্তিদের নিয়ে প্রথম চিত্রপ্রদর্শনী করব। আমি বলতে পারি সফল হয়েছি। কারণ, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিরা এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ে উপদেষ্টা ড. গহর রিজভী, মাননীয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ ভারদান স্রিঙলা, স্বনামধন্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম এবং মাননীয় ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত কাম্পোস দ্য নবরেগাসহ দেশের গুণী সব ব্যক্তিবর্গ। আমার জেলা রাজবাড়ী থেকেও অনেকে এসেছে প্রদর্শনী দেখতে। সত্যিই এই আনন্দানুভূতি প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। আমি সবার নিকট শুধু আশীর্বাদ চাই।
×