ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাগেরহাটে আহত ৫০

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৫ মার্চ ২০১৬

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে ১১টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনোত্তর সহিংসতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাংচুর, হামলা, সংঘর্ষ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও মহিলাসহ অর্ধশত ব্যক্তি কমবেশি আহত হয়েছেন। মোরেলগঞ্জের পুটিখালী, বারইখালী, চিংড়াখালী, জিউধরা ও সদর ইউনিয়নে সহিংসতায় নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৪টি বসতবাড়ি ও ৬টি দোকান ভাংচুর ও মালামাল লুট হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পুটিখালী ইউপিতে বিজয়ী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহচান মিয়া শামীমের বিজয় মিছিলে হামলা করে পরাজিত বিএনপি প্রার্থীর কর্মীরা। হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল গফ্ফার শেখ, জাকির মল্লিক, মিলন শেখ, নাসির শেখ ও রিয়াজ শেখ (২০) আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মহসিন ও বাবুল খান নামে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে থানার ওসি তারেক বিশ্বাস জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়ার চরকাঠি সাহাপাড়ায় বিজয়ী মেম্বার প্রভাষ সাহা ও পরাজিত বিষ্ণুপদের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৭-৮ জন আহত হন। এ সময় মহিলাদের শ্লীলতাহানিসহ ঘরবাড়ি এবং দোকান ভাংচুর করা হয়। বিজয়ী প্রভাত সাহাকে আহত অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রভাষ ও বিষ্ণুপদ একে অপরকে দায়ী করেছেন। এদিকে মোরেলগঞ্জের জিউধরায় বরইতলা গ্রামে জালাল হালদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রীকে মারপিটের পর ঘরে আগুন দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন। এখানে কাদের ও মিলন হাওলাদারের ৪টি মহিষ ধরে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। রাতে চিংড়াখালী ইউপির নারিকেলবাড়িয়া বাজারে কবির হাওলাদার, শামীম বক্স, আলীম হাওলাদারের দোকান ভাংচুর করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর কর্মীরা। এ ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত রফিকুল হাওলাদার ও হালিম হাওলাদারকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় রফিকুল ইসলামের বসতঘরটি ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চিতলমারীর চরবানিয়ারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অনুরূপ সহিংসতায় বাড়িঘর ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ৫টি বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে। আহত হয় ৬ জন। মুন্সীগঞ্জে টেঁটাবিদ্ধ ৫ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দীবাজারে এ ঘটনা ঘটে। তন্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতাকর্মীদের হামলায় জখম হয়েছে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মী। হাসাড়া ইউনিয়নেও অওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজনের হামলায় আহত হয়েছে দুই কর্মী। পৃথক এ হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সিরাজদিখানে নির্বাচনপরবর্তী সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ আহত হয়েছে ৫ ব্যক্তি। জানা যায়, কুকুটিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঃ কাদির লিটনের কর্মী যুবলীগ নেতা আমিন উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল হোসেন বাবুকে এক সমর্থকের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে বিবন্দীবাজারে বাবুর ক্যাম্পটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং পর পর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমিনউদ্দিন গ্রুপ পাচলদিয়া গ্রামে গিয়ে তা-ব চালায়। অপরদিকে তন্তর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আকবরের কর্মী রুহুল আমীন মোল্লাকে (৬৫) কুপিয়ে জখম করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেনের কয়েকজন কর্মী। এদিকে সিরাজদিখান উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের রাজনগর ও ছোট মধ্যনগর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে বিজয়ী ও পরাজিত দুই মেম্বার প্রার্থী গ্রুপের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় বিজয়ী মেম্বার সমর্থক আফজাল হোসেনের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নে রাজনগর ও ছোট মধ্যনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তেঁতুলিয়ায় তা-ব ॥ পাঁচ পুলিশ আহত স্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড় থেকে জানান, তেঁতুলিয়ায় পরাজিত আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর মহিলা কর্মী-সমর্থকরা ফল বাতিল ও পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে ইউএনও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল, ভাংচুরসহ ব্যাপক তা-ব চালিয়েছে। এতে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরদিকে বিজয়ী এক বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকরা পরাজিত বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বেধড়ক মারপিট করেছে। নির্বাচনপরবর্তী সহিংস ঘটনা দুটি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটেছে। সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনী ফল বাতিল ও ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে তীরনইহাট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী তাহমিদ মিল্টনের শতাধিক মহিলা কর্মী-সমর্থক তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অফিস মিছিল নিয়ে ঘেরাও করে। মহিলা কর্মী-সমর্থকরা ফলাফল বাতিল ও পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানায়। উপজেলা নির্বাচন অফিসার নিয়ম অনুযায়ী তাদের প্রার্থী আবেদন করলে বিষয়টি বিবেচনা করার আশ^াস দিয়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপস্থিতিতেই ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়ে হৈ-হুল্লোড় করে সিঁড়ি বেয়ে ইউএনও অফিসের দোতলায় ওঠার চেষ্টা করলে পুলিশ গেট বন্ধ করে দেয়। এ সময় কর্মী-সমর্থকরা আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে গেট ভেঙ্গে ওপরে উঠতে চায়। পুলিশ তাতে বাধা দেয়। তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ইউএনও অফিস সংলগ্ন হলরুম, অফিসার্স ক্লাব ও পাবলিক লাইব্রেরির জানালার গ্লাস ভাংচুরসহ ব্যাপক তা-ব চালায়। অপরদিকে ভজনপুর দেবনগর ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনুল হকের কর্মী সমর্থকরা বৃহস্পতিবার দুপুরে লতিফগঞ্জে পরাজিত আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ছলেমান আলীকে বেধড়ক মারপিট করেছে। আহত তিন আ’লীগ নেতা জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার থেকে জানান, কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরং ইউনিয়নে জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের হামলা ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইয়াহিয়া খান কুতুবী। এদিকে সশস্ত্র শিবির ক্যাডারদের গুলিতে আহত মৎস্য বিভাগের কর্মচারী একে খান কুতুবী, আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া ও লিয়াকত আলী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এদের মধ্যে একে খান কুতুবীর এখনও জ্ঞান ফেরেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। সশস্ত্র জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচনের দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় কুতুবদিয়া আজগরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ তা-ব চালিয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইয়াহিয়া খান কুতুবীর পিতা ছৈয়দ মিয়া বাদী হয়ে অসংখ্য মামলার আসামি জামায়াত নেতা শাহরিয়ার চৌধুরীসহ ৩৩ জনকে আসামি করে বুধবার রাতে স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মহেশখালীতে আ’লীগ অফিস ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা মহেশখালী থেকে জানান, কক্সবাজারের মহেশখালীর কতুবজোমে বিএনপি ও জামায়াতের একদল দুর্বৃত্ত রাতের আঁধারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর ও শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকায়। ডুমুরিয়ায় ৮ জনের দ- খুলনা অফিস জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা বেড়ে চলেছে। শোভনায় একটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী এক প্রিসাইডিং অফিসারকে বুধবার রাতে মারপিট করা হয়েছে। শরাফপুর, খর্নিয়া, গুটুদিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকদের মারপিট ও বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। সহিংস এ ঘটনায় এলাকার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহিংসতা প্রতিরোধে তারা ব্যাপক তৎপর। ইতোমধ্যে শরাফপুর ইউনিয়নে দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটজনকে জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে। জানা যায়, মঙ্গলবার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নারকীয় তা-ব চলে শরাফপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, ভুলবাড়িয়া, আঁকড়া, সেনপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে। ওই এলাকায় শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন এই ভাংচুর করে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বুধবার রাতে মাদারতলা গ্রামের বাসিন্দা পল্লীশ্রী কলেজের প্রভাষক অম্বরিশ রায়কে মারপিট করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুটুদিয়া ইউনিয়নের গুটুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেবু ম-লকে মারপিট করা হয়েছে। মারপিট করা হয় মেম্বার বায়েজিদ হালদার, অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক কুলটি গ্রামের বাসিন্দা কমল কান্তি ম-লকে। বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন এই হামলা চালায় বলে এলাকাবাসী জানায়। এদিকে বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত আট যুবককে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়। ভোলায় শতাধিক আহত নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা থেকে জানান, ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী গত দুই দিনে সহিংস হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে গুরুতর রোগীরা হাসপাতালেও সিট পাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাপ্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ইউপি মেম্বার প্রার্থী মোঃ ফারুকের লোকজন প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী নীরব হোসেনের সমর্থক মোশারেফ হোসেনের বাড়িতে বুধবার গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর করে। এ সময় কয়েক দফায় মোশারেফ হোসেন ও তার ছেলে জাকির হোসেনকে মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় এম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে নেয়ার সময় দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয়। এ সময় মোশারেফ হোসেনের অপর ছেলে মনির হোসেন (৩৫) কে এম্বুলেন্স থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গেলে মনির হোসেনের স্ত্রী সুরমাকে লাঞ্ছিত করা হয়। রাতভর এলাকার সাবেক মেম্বার জয়নালের বাসায় একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করে সকালে চৌদ্দঘর এলাকায় ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে আহতরা এখন ভোলা সদর হাসাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহতরা জানান, সাবেক মেম্বার জয়নাল হোসেনের ভাতিজা রিপন শিকাদার, রাজু, কাঞ্চন ও সাজুসহ কয়েকজন কয়েক দফা মারধর করেছে। এদিকে একই উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামে সাজিবাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরাজিত সদস্য প্রার্থী মাইনুদ্দিন সাজি (মোরগ) ও মোঃ ইউসুফের সমর্থকদের মধ্যে (টিউবওয়েল) সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাদ্রাজ গ্রামে সদস্য প্রার্থী বিজয়ী ফারুক শিকদারের লোকজনের সঙ্গে পরাজিত কামরুল ইসলামের লোকজনের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। একই উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের হামিদপুরের বিজয়ী সদস্য আক্তার চৌকিদারকে ভোট না দেয়ায় পরাজিত সদস্য প্রার্থী জাকির হোসেন মাঝির সমর্থকদের পিটিয়ে ২০ জনকে জখম করেছে।
×