ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘সুন্দরবনের রক্ষাকবচ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল’

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৩ মার্চ ২০১৬

‘সুন্দরবনের রক্ষাকবচ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ স্থায়ী না হলে সুন্দরবনের ধ্বংস অনিবার্য। কোনো কারণে বিকল্প এই চ্যানেল ফের অচল হলে সুন্দরবনের শ্যালা নদী দিয়ে আবারো পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করবে এবং এর প্রাণ-বৈচিত্র্য প্রতিনিয়ত ক্ষতির শিকার হবে। তাই সুন্দরবনের স্বার্থেই যেকোনো মূল্যে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ সারা বছর সচল রাখতে হবে। বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের কমরেড মণি সিংহ সড়কের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় রাজনীতিবিদ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘মংলা-ঘষিয়াখালী নৌপথ স্থায়ী না হলে সুন্দরবনের ধ্বংস অনিবার্য’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশীষ কুমার দে। অনুষ্ঠানে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সুন্দরবনের মতো মংলা বন্দরও আমাদের জাতীয় সম্পদ। সুন্দরবন রক্ষায় এর ভেতর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বন্দরকে সচল রাখতে পণ্য পরিবহনের স্বার্থে বিকল্প চ্যানেল মংলা-ঘষিয়াখালীকে সারা বছর নৌ চলাচলের উপযোগী রাখতে হবে। বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, এই মুহূর্তে সুন্দরবনের রক্ষাকবচ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। এই নৌপথ স্থায়ীভাবে সচলকরণে বাধা সৃষ্টিকারীরা যতোই প্রভাবশালী হোক, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে ফয়লাহাট স্লুইসগেট অপসারণসহ পাউবো’র সকল বিতর্কিত প্রকল্প বাতিলেরও দাবি তোলেন সংস্থাটির এক সময়ের মহাপরিচালক ম. ইনামুল। জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ নুরুর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক পরিচালক এমদাদুল হক বাদশা, জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ শহীদ, সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুসার রেহমান ও পিসের মহাসচিব ইফমা হুসেইন।
×