ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পর্ক উন্নয়নে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং গুয়ানতানামো নৌঘাঁটি ফেরত দেয়ার দাবি কিউবার

মানবাধিকার ইস্যুতে ওবামা রাউলের মতবিরোধ

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৩ মার্চ ২০১৬

মানবাধিকার ইস্যুতে ওবামা রাউলের মতবিরোধ

গুয়ানতানামো বেতে মার্কিন কারাগার ও কিউবার রাজনৈতিক বন্দীসহ মানবাধিকার ইস্যুতে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রো ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে। কিউবার রাজধানী হাভানায় সোমবার ঐতিহাসিক এক সংবাদ সম্মেলনে দুনেতা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। ওবামা দুইদিনের কিউবা সফরে গিয়েছেন। খবর বিবিসি ও এএফপির। ৮৪ বছর বয়সী রাউল সংবাদ সম্মেলনে ওবামাকে বলেন, আপনি রাজনৈতিক বন্দীদের বিষয়ে যেন কি বলেছিলেন? আপনি কি রাজনৈতিক বন্দীদের বিষয়ে পুনরায় প্রশ্নটি করবেন। তিনি বলেন, যদি তাকে রাজনৈতিক বন্দীদের একটি তালিকা দেয়া হয় তবে তিনি ‘আজ রাতের (সোমবার) মধ্যেই তাদের মুক্তি দেবেন। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ভিন্নমতালম্বীদের তালিকা কিউবার কাছে আগেই দেয়া হয়েছে, তবে সেসব বন্দীদের ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে দেখেন না রাউল। ওবামা ও রাউলের বৈঠকের মধ্যদিয়ে মার্কিন-কিউবা সম্পর্কের নতুন যুগের সূচনা হয়। এই যৌথ সংবাদ সম্মেলন ছিল দুই সংস্কৃতি, দুই রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও দুই প্রজন্মের নেতার এক বিস্ময়কর মুখোমুখি অবস্থান। কিন্তু এটি ছিল কখনও বিরোধপূর্ণ এবং প্রায়শই বিব্রতকর। রাউল বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কিউবার ওপর ৫৪ বছর ধরে আরোপ করে রাখা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং গুয়ানতানামো নৌ-ঘাঁটি কিউবাকে ফেরত দিতে হবে। গুয়ানতানামো বের দাবির বিষয়ে ওবামা কোন উত্তর দেননি। তবে কিউবার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। ওবামা বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাচ্ছে। তবে কখন, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ওবামা বলেন, কিউবার ভবিষ্যৎ যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কেউ নির্ধারণ করবে না। কিউবার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে কিউবাবাসী, অন্য কেউ নয়। কিউবার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যার দিকে আঙুল তোলেন রাউল। তিনি বলেন, আমরা মানবাধিকার রক্ষা করি, আমাদের দৃষ্টিতে বেসামরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আলাদা করা যায় না। এগুলো পরস্পর নির্ভরশীল এবং বিশ্বব্যাপী তা সত্য।
×