ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাতক্ষীরায় বোমা বিস্ফোরণ ॥ বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর, লুট অগ্নিসংযোগ

হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ৯ সমর্থক গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২০ মার্চ ২০১৬

হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ৯ সমর্থক গুলিবিদ্ধ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ ততই বাড়ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে হামলা, ভাংচুর, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা। নোয়াখালীর হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নয়জন গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন মেম্বার প্রার্থী বাহার উদ্দিন। ভোলা সদরের আলীনগর ইউপিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগানসহ দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং দু’জনকে আটক করে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনী সহিংসতায় ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এছাড়া নির্বাচনী সংঘর্ষের সময় এক পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পাঁচটি অফিস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাগেরহাটের শরণখোলায় নৌকা প্রতীকের অফিস ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এদিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের দিন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী। মোরেলগঞ্জে এক মেম্বার প্রার্থীর স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার দোকান লুট করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিনজনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দুইজনকে জরিমানা এবং একজনকে শোকজ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ও শনিবারে এসব ঘটনা ঘটে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতা ও স্টাফ রিপোর্টারদের। ভোলার আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হাজিরহাট বাজার এলাকায় মেম্বার প্রার্থী মাকসুদ ও হাসেমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রচারের সময় হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় হাসেমের লোকজন মাকসুদের কর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে মাকসুদের ভাই সাইফুল সিকদারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। অপরদিকে একই সময় আলী নগরের প-িতের পুল এলাকায় মেম্বার প্রার্থী আলী আনসার ও মাহাবুব খানের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউসুফ নামে একজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এসব সহিংস ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ছয়জনকে গুরুতর আহতাবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাইফুল সিকদার (৩৫), ইউসুফ (৩৫), বিল্লাল (২৮) ও হালিমাকে (৩০) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাতেই সাইফুল ও ইউসুফকে প্রেরণ করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে ও আলীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বশির আহমেদের ভাতিজা সম্রাট ও কর্মী ইসরাফিলকে ককটেলসহ গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ভোলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী আওলাদ হোসেনের সমর্থকরা মিছিল করে ওয়ার্ডের কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় এলে গোলাম রহমান নোমান সমর্থকদের সংঘর্ষে বাকবিত-া হয়। এক পর্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে আওলাদ গ্রুপের আলামিন (২৮), রুবেল (২০), সোহেল (২৭), শাহে আলম (৫০) ও হাসনাইন (২৫) আহত হন। অপরদিকে নোমান গ্রুপের মোবারক হোসেন (১২), পনির (৩০), সাগর (১৫) ও রাসেল (১৮) আহত হন। এছাড়া নুরুল ইসলাম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী আওলাদ হোসেন জানান, আমার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে ফেরার পথে প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থীর বাড়ির সামনে এলে তারা দলবল নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। মেম্বার প্রার্থী গোলাম রহমান নোমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওলাদ মেম্বারের লোকজন মিছিল নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে ১২ বছরের শিশুসহ পাঁচ সমর্থককে আহত করেন। হাতিয়া ॥ নোয়াখালীর হাতিয়ায় চরকিং ইউনিয়নের কিল্লার বাজারে শুক্রবার গভীর রাতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মহিউদ্দিন মুহিনের সমর্থকদের ওপর প্রতিপক্ষ হামলা চালিয়েছে। এ সময় মুহিনের ৯ সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের রাতেই হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী মহিউদ্দিন মুহিনের সমর্থকরা কিল্লার বাজারে মিছিল করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে নয়জন আহত হন। আহতরা হলেন আলমগীর হোসেন (১৬), জহির উদ্দিন (২০), মাইন উদ্দিন (২৮), আবুল কাশেম (৪২), আব্দুল মন্নান (৫৫), আব্দুল হক (৭২), সালাউদ্দিন (২৬), স্বপন উদ্দিন (১৮) ও মোঃ ইউনুছ (২০)। এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদকে দায়ী করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মুহিন। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। এদিকে হাতিয়া সদরের এমপির পোল এলাকায় শনিবার বিকেলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী বাহার উদ্দিন (৩৮)। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ব্যাপারে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হক জানান, পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ৩০/৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। এতে মেম্বার প্রার্থী বাহার আহত হন। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে সন্ত্রাসীরা মেম্বার প্রার্থী বাহারকে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে দু’হাত ভেঙ্গে দেয়। বাউফল ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে বেলা ১১টার দিকে নওমালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে নৌকা মার্কার সমর্থকরা বিদ্রোহী ঘোড়া মার্কার সমর্থক রব মৃধা, মোতাহার মৃধা, মন্নান মৃধা ও কোডন মৃধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলায় মন্নান মৃধার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪৫), মোতাহার মৃধার স্ত্রী রাহেলা বেগম (৫০) ও কোডন মৃধার স্ত্রী হেমেলা বেগম (৪০) আহত হন। একই দিন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শাহ আলমের দোকানের সামনে নৌকা মার্কার সমর্থকরা বিদ্রোহী ঘোড়া মার্কার সমর্থক খালেক প্যাদার ছেলে আল আমিন (৩৫), ফজলু প্যাদার ছেলে মিজান প্যাদা (৪৫) ও সানু ফরাজির ছেলে জামালকে (৩০) পিটিয়ে জখম করেছে। একই সময়ে ধুলিয়া হাই স্কুলের সামনে ধানের শীষের সমর্থক স্বপন ও সমীরকে পিটিয়ে জখম করেছে নৌকা মার্কার কয়েক সমর্থক। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর মধ্যে স্বপনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ হামলার কথা অস্বীকার করে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিচুর রহমান বলেন, ধানের শীষ মার্কার সমর্থক স্বপন ও সমীরের নেতৃত্বে তার ছেলে মান্নাসহ (৩০) নৌকা মার্কার সমর্থক আলকাস, ইলিয়াস, দুলাল ও মনিরকে পিটিয়ে জখম করে। সাতক্ষীরা ॥ ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দলীয় ও নির্বাচনী অফিসসহ পাঁচটি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শেখ জাকির হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থী খালিদুর রহমান বাবু’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় দুটি বোমার বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খালিদুর রহমান বাবু জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা তার চাকলা, কুড়িকাউনিয়ার কলতলা ও সুভদ্রকাটি গ্রামের নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালায়। তারা এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুর চাচা বিপুল তরফদারকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে গভীর রাতে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কর্মকারপাড়া ও হাইস্কুল মোড়ে অবস্থিত নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয় বাবু’র কর্মী-সমর্থকরা। ওই সময় তারা দুটি বোমারও বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানান আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ জাকির হোসেন। এদিকে কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা কবিরুজ্জামান মন্টুর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দুইটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। শনিবার দুপুরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বেলেডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে নৌকা প্রতীকের একটি অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার গভীর রাতে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মঠেরপাড় চৌমহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন মহিউদ্দিন বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির প্রার্থী মতিয়ার রহমান খান ও তার কর্মী-সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে মতিয়ার রহমান খান বলেন, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিকল্পিতভাবে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শরণখোলা থানার ওসি শাহ্ আলম মিয়া জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ ॥ দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শ্রীনগরে তিন বিদ্রোহী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার এই বহিষ্কার আদেশ শ্রীনগরে এসে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন। বহিষ্কৃতরা হলেন পাটাভোগ ইউপি বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ ডালু, তন্তর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী আলী আকবর, বাঢ়ৈখালী ইউপি সভাপতি ও বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম হোসেন তালুকদার। ১৮ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের হাতে পৌঁছলেও বিদ্রোহীরা এখনও এই চিঠি হাতে পাননি বলে প্রার্থীরা জানান। বহিষ্কৃত এই তিন নেতা স্ব স্ব ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। ঝালকাঠি ॥ নলছিটির ভৈরবপাশা ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ নুরুজ্জামান সেলিমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ এমপির স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কথা জানানো হয়। এদিকে সদর উপজেলার গাভা-রামচন্দ্রপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা মাসুম শেরওয়ানির নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন খলিল ও তার কর্মীরা। অন্যদিকে শনিবার বেলা ১২টায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লিটনের কর্মীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক মোঃ শহীদুল ইসলাম তারেককে কুপিয়ে আহত করেছে। একই সময় অপর বিদ্রোহী প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন খলিল আওয়ামী লীগ কর্মী মোঃ ফারুক ডাকুয়া ও নুর আলম ডাকুয়াকে কুপিয়ে আহত করেছে। কুড়িগ্রাম ॥ রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নে শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও উমর মজিদ ইউনিয়নে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরদারের (৬৫) অবস্থা গুরুতর। তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের রাজারহাট হাসপাতাল ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এবং কুড়িগ্রাম থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
×