ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বান্দরবানে পাচার ১১ আদিবাসী তরুণী মিয়ানমারে উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২০ মার্চ ২০১৬

বান্দরবানে পাচার ১১ আদিবাসী তরুণী মিয়ানমারে উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ১৯ মার্চ ॥ রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে পাচার হওয়া ১১ আদিবাসী তরুণীকে মিয়ানমার থেকে উদ্ধার করে শনিবার দুপুরে বান্দরবানে আনা হয়েছে । গত জানুয়ারি মাসে রোয়াংছড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের অনাথ আশ্রমে রাখার কথা বলে প্রথমে রাঙামাটির মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায়, পরে পাচারকারীরা সেখান থেকে মিয়ানমারে পাচার করে দেয়। উদ্ধার হওয়া তরুণীরা হলেন, হ্লা সুই প্রু মার্মা, সোজো মার্মা, পাইনুচিং মার্মা, সিং দাইংউ মার্মা, থুইয়ো মার্মা, ম্যামাচিং মার্মা, ম্যাংজাই মার্মা, ম্য চিংনু মার্মা, নুন যে ক্রো মার্মা, মে থুই চিং মার্মা ও সানুচিং মার্মা। তাদের সবার বয়স ১১ থেকে ১৯ বছর। তাদের সবার বাড়ি জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ ঘটনায় ১১ মার্চ জেলার রোয়াংছড়ি থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হলে বান্দরবান ডিবি পুলিশ মিয়ানমারের মং-ু শহরতলীর কাছে নেজাদো মন্দির থেকে তাদের উদ্ধার করে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে শনিবার দুপুরে বান্দরবানে নিয়ে আসে। পাচার হওয়া তরুণীরা জানায়, তাদের বন্ধ ঘরে রেখে নির্যাতন করা হতো। রোয়াংছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হ্লাথোয়াই হ্রী মারমা বলেন, তাদের উদ্ধার করে আনার কারণে মেয়েদের অভিভাবকরা অনেক খুশি। গত ১২ মার্চ রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ বিহার থেকে মানবপাচারের অভিযোগে পুলিশ উচরি ভান্তে এবং উসা থোয়াই নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বান্দরবান সদর থানায় এনে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাজবাড়ীতে চুরির ঘটনায় যুবক নিহত নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী, ১৯ মার্চ ॥ মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে মাইনুদ্দিন গাজী (১৮) নামের এক যুবক নিহত ও নজরুল (১৯) নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছে। আহত নজরুলকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। নিহত মাইনুদ্দিন একই গ্রামের খলিল গাজীর ছেলে। সদর থানা পুলিশ জানায়, একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মাইনুদ্দিন গাজীর সঙ্গে একই এলাকার ফয়সালের ঝগড়া হয়। রাত ১০টার দিকে ফয়সাল দলবল নিয়ে মাইনুদ্দিন ও নজরুলকে ধরে একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে। পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মাইনুদ্দিন গাজীর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভোরের দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে। এরা হলো ফয়সাল, জনি, বাবু, নেসার ও ইসহাক। এদের সবার বাড়ি একই গ্রামে।
×