ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২০ মার্চ ২০১৬

পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের মূল্যসূচক। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। তবে গত সপ্তাহে বেশ কিছুদিন পর একদিন চারশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১ মিলিয়ন ডলার চুরির পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ওই পরিবর্তনের দিনে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও পরদিনই সূচক কমে যায়। তবে আস্তে আস্তে বাজারে এটির ইতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য বলে মনে করেন তারা। তাদের মতে, সদ্য বিদায়ী গবর্নর ড. আতিউর রহমান ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে গিয়ে পুঁজিবাজারের ওপর কিছুটা কঠোর হয়েছিলেন। আগামীতে এক্ষেত্রে নতুন নেতৃত্ব কিছুটা শিথিলতা দেখাতে পারে বলেন মনে করেন তারা। জানা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০৪ কোটি টাকার। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫১০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। আর গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক কার্যদিবস বেশি অর্থাৎ পাঁচ কার্যদিবস। সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিকে ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৩৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বা ২৭ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৫ দশমিক ১২ পয়েন্টে। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর লেনদেন হয়নি ৬টি কোম্পানির শেয়ার। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আমান ফিড, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, ওরিয়ন ফার্মা, এএফসি এ্যাগ্রো, সামিট পাওয়ার, কেয়া কসমেটিকস, ওরিয়ন ইনফিউশন, সিএমসি কামাল, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেয়া কসমেটিকস, আমান ফিড মিলস লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, এএফসি এ্যাগ্রো, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, নাভানা সিএনজি ও ফু-ওয়াং ফুড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড, এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, বাংলাদেশ স্টিল মিলস লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো লিমিটেড।
×