অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নানা অনিয়ম দুর্নীতি, উৎপাদন বন্ধ ও নিয়মিত লোকসানের কারণে ১৯৯৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়েছে ৩৬টি কোম্পানি। এসব কোম্পানিতে আটকে আছে বিনিয়োগের ১৩১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আইনের ফাঁকফোকর আর নানা অজুহাতে পার পেয়ে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো। ২২ বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরে পুঁজি না পেয়ে অসহায় বিনিয়োগকারীরা।
তালিকাচ্যুত কোম্পানিতে বিনিয়োগ উদ্ধারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন আইন বা নীতিমালা নেই। এই দূর্বলতার কারণে কোম্পানির বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা নিতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একদিকে আইনি দুর্বলতায় পার পাচ্ছে কোম্পানিগুলো অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা বলছেন, কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী কোনো কোম্পানি অবলুপ্ত হলে শেয়ারহোল্ডারদের দায়-দেনা মিটিয়ে দিতে পরিচালনা পর্ষদ বাধ্য থাকবে। না দিলে আদালতে যাবে বিনিয়োগকারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিপুল অঙ্কের এ টাকা তালিকাচ্যুত কোম্পানির শেয়ারের ফেসভ্যালু হিসেবে। তবে তালিকাচ্যুতির সময় ওই সব কোম্পানির শেয়ারের দর আরো বেশি ছিল। একইসঙ্গে ওই সব কোম্পানির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ হিসেবে ধরলে আটকে পড়া বিনিয়োগের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হবে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, তালিকাচ্যুত কোম্পানির অর্থ ফেরতের বিষয় সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। এক্ষেত্রে বিএসইসির কোনো ক্ষমতা নেই।
তিনি আরও বলেন, কোন কোম্পানি তালিকাচ্যুত হলে অর্থ উত্তোলনে বিনিয়োগকারীদের প্রথমে আদালতে যেতে হবে। আইন অনুয়ায়ী কোম্পানি দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ শেয়ার হোল্ডারদের মাঝে বন্টন করবে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, তালিকাচ্যুত ৩৬টি কোম্পানির দুই কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ২২৫টি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে। যার বাজার মূলধন ১৩১ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫শদ টাকা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: