ঢাকার যানজট কমাতে তিন বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ নতুন কিছু প্রকল্পসহ কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা এসটিপির সংশোধনী প্রস্তাব জমা দিয়েছে জাইকা। যাতে নতুন পাঁচটি এমআরটি ও ২টি বিআরটি লাইন এবং ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোকে সংযুক্ত করে ৩টি বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। রাজধানী ও এর প্রবেশপথগুলো যানজটমুক্ত করতে ২০ বছরমেয়াদি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা এসটিপি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় ২০০৯ সালে। গত ৬ বছরে দু’-একটি উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া এক রকম অকার্যকরই ছিল এসটিপির বাস্তবায়ন। নির্মাণাধীন মেট্রো সিক্সসহ আরও ৪টি মেট্রোরেল নির্মাণের সুপারিশ আছে জাইকার সংশোধনী প্রস্তাবে। রয়েছে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোকে সংযুক্ত করে ২টি বিআরটি লাইন ও ৩টি রিংরোড নির্মাণের প্রস্তাবও। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বাজেটের এই প্রকল্পগুলো। ডিটিসিএএর নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসেন বলেন, ‘রিভিশন, ড্রাফট ফাইনাল ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। আমরা মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপনের জন্য এক্সিকিউটিভ সামারি তৈরি করেছি। অনুমোদনের পরে ঢাকা শহরের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আশা করি এটা এপ্রিলের মধ্যেই আমরা অনুমোদন পেয়ে যাব।’ প্রস্তাবিত আরএসটিপির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০৩৫ সাল। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর বর্তমান যানজট ও জনসংখ্যা বিবেচনায় নতুন নতুন পরিকল্পনা নয় এসটিপিতে বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করা উচিত। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘২০৩৫ সালে ৫টি মেট্রো এবং ২টি বিআরটি করবে। তাহলে আমি ২০৩৫ পর্যন্ত আমি কি করব? ২০৩৫ সালে লোকসংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি চলে যাবে।’ অনুমোদিত প্রোজেক্ট এসটিপিকে কেন্দ্র করে কাজ শুরু হয়েছে। কোন প্রোজেক্টকে বাদ না দিয়ে এগুলোকে কিভাবে আরও উন্নত করা যায় সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমি পরামর্শ দেব। নতুন নতুন স্টাডির আর প্রয়োজন নেই।’ ২০২৫ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনার অধীনে মেট্রো ১ ও মেট্রো ৫ এর কাজ শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএ।