ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইফোন হ্যাকিং নিয়ে এ্যাপল-এফবিআই লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৯ মার্চ ২০১৬

আইফোন হ্যাকিং নিয়ে এ্যাপল-এফবিআই লড়াই

টেক জায়েন্ট এ্যাপল ও এফবিআই’এর দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। গত ডিসেম্বরে সান বার্নারডিনোর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত একজন সন্ত্রাসীর লকড্ আইফোনের তথ্য-উপাত্ত বের করার জন্য এফবিআই এ্যাপলকে ঐ আইফোনটি হ্যাাক করতে বলেছিল। এ্যাপল তাতে রাজি হয়নি। এরপর এক ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইফোনের তথ্য বের করতে এ্যাপলকে নির্দেশ দেন। এ্যাপল প্রধান বলেছেন যে, তিনি ফেডারেলের এই দাবির বিরুদ্ধে লড়বেন, এবং বাস্তবে তিনি লড়ছেনও। এ্যাপল-এফবিআইয়ের এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস ব্যবহারকারীদের স্বার্থরক্ষায় কোম্পানিগুলোর গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থা কতখানি অটুট এবং বিশেষ অধিকার লাভে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কতটুকু কি করতে পারে তা নিয়ে বৃহত্তর বিতর্কের প্রতিফলন ঘটেছে। এ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক সম্প্রতি কোম্পানির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা কড়াভাষায় লিখিত এক খোলা চিঠিতে বলেন, এফবিআইয়ের পেশাদারদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা আছে এবং আমরা বিশ্বাস করি তাদের উদ্দেশ্য সৎ। এই পর্যায় পর্যন্ত আমরা আমাদের ক্ষমতা ও আইনের গ-ির মধ্যে তাদের সাহায্য করার জন্য সাধ্যমতো করছি। কিন্তু এখন সরকার আমাদের কাছে এমন কিছু চেয়েছে যা সোজা কথায় আমাদের নেই এবং যা তৈরি করা আমরা খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করি। এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি বলেন, সংস্থার তদন্তকারীরা সান বারনার্ডিনোর সেই হামলাকারীর লক করা ফোন খুলতে পারেনি বলেই এ্যাপলের সাহায্য চেয়েছে এবং এ ব্যাপারে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এক শুনানিতে আদালতের নির্দেশ আদায় করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে পাল্টা আর্জি জানিয়ে এ্যাপল ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেটকে লকড্ আইফোন হ্যাক করে তথ্য বের করার জন্য তাদের প্রদত্ত আদেশ বাতিল করার আবেদন জানায় এবং অভিযোগ করে যে, ফেডারেল সরকার আদালতের মাধ্যমে বিপজ্জনক ক্ষমতা করায়ত্ত করার এবং সেসঙ্গে কোম্পানির সাংবিধানিক অধিকার পদদলিত করার চেষ্টা করছে। এ্যাপলের এ্যাটর্নিরা আরও বলেন, বিচার বিভাগ আইফোন আনলক করার আদেশ দিয়ে আইনের নজিরবিহীন ও সীমাহীন ব্যাখ্যা দিয়েছে যা বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এ্যাপল চাইছে যে আইফোন হ্যাকিং সংক্রান্ত বিতর্ক কংগ্রেস নিষ্পত্তি হোক।
×