স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ছয় বছর পর বেইলী রোডের নাটক সরণির মহিলা সমিতির মঞ্চে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা-গড়া নাট্যোৎসবে ‘শেষ সংলাপ’ নাটকের ৭০তম প্রদর্শনী হলো। বেশ কিছুদিন বিরতীর পর নাটকটি উপভোগ করলেন ঢাকার দর্শকরা। ‘শেষ সংলাপ’ নাটকটি সময়ের ২৯তম প্রযোজনা। মিসরের নাট্যকার তাওফিক-আল-হাকিমের ‘সুলতানুজ জান্নাম’ অবলম্বনে নাটকটি যৌথভাবে অনুবাদ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ও ম. সাইফুল আলম চৌধুরী। নির্দেশনা দিয়েছেন আকতারুজ্জামান। শুক্রবার নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন- পাভেল ইসলাম, রিয়াজ মাহমুদ জুয়েল, আকতারুজ্জামান, রুমা, তোফায়েল সরকার, ফখরুল ইসলাম মিঠু, মাকসুদুল বারী টিপু, আনোয়ার, মাসুম, দাউদ, সানি, মৌসুমী, সোনিয়া প্রমুখ। নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনায় ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরিকল্পনায় কমল খালিদ, পোশাক পরিকল্পনায় আমিনুর রহমান মুকুল, আলোক পরিকল্পনায় আলমগীর হোসেন, পোস্টার ডিজাইন করেছেন শিল্পী ঢালী আল মামুন। নাটকের কাহিনীতে তুলে ধরা হয়Ñ মিসরের এক সুলতানের উত্তরাধিকারী হিসেবে তার পালিত পুত্র একজন ক্রীতদাস সেনাধ্যক্ষকে মনোনীত করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মৃত্যুকালে তিনি তার মসনদের উত্তরাধিকারী সুলতানকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে সুলতানের উত্তরাধিকারিত্বের বৈধতা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দেয় এবং জটিলতার সৃষ্টি হয়। সমস্যার সমাধান হবে কোন পথে? আইনী পদ্ধতিতে নাকি অস্ত্র প্রয়োগে? কোন পথ বেছে নেবে সুলতান? সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে নারী। যে নারী হবু সুলতানকে নিলামে ওঠায়। এই সমস্যারই এক জটিল শিল্পিত রসায়ন শেষ সংলাপ। ব্যতিক্রমী গল্প এবং শিল্পীদের প্রাণবন্ত অভিনয়শেলীর কারণে নাটকটি দেশ-বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিল। আর ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখ কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটার হলে অনীক আয়োজিত গঙ্গা-যমুনা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে নাটকটির আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হয়। এর পর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে নাটকটির নিয়মিত প্রদর্শনী হচ্ছে। ২০১০ সালের ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার মহিলা সমিতি মঞ্চে সর্বশেষ ‘শেষ সংলাপ’ নাটকের চতুর্থ প্রদর্শনী হয়।
