ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ষড়যন্ত্র থামেনি ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৯ মার্চ ২০১৬

ষড়যন্ত্র থামেনি ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রা কেউ যাতে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ষড়যন্ত্র সবভাবেই হয়েছে, এখনও দেশে ষড়যন্ত্র যে কমে গেছে তা নয়। পরাজিত শক্তিরা এখনও তাদের পুরনো প্রভুদের ভুলতে পারেনি। দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে সবভাবেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ‘সততাই বড় শক্তি’- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততাই শক্তি। সততা থাকলে জোর গলায় কথা বলা যায়। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। আর সততা ছিল বলেই বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও আমরা মোকাবেলা করতে পেরেছি। ষড়যন্ত্র দূর করেই পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে পারছি, ওই একটাই কারণে। তিনি বলেন, বাঙালী জাতি হিসেবে এটা আমাদের গর্ব ও চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করছি। ষড়যন্ত্র সবভাবেই হয়েছে- মানুষ পুড়িয়ে, সম্পদ ধ্বংস করেও দেশের ভেতরে ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি-জামায়াত। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে নাকে খত দিয়েই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ঘরে ফিরতে হয়েছে। তাই ষড়যন্ত্র থেমে গেছে, তা কিন্তু নয়। শুক্রবার বিকেলে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বানচাল ও আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়াল অগ্নিসন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে বলেন, জনগণের কল্যাণ নয়, খুন-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ সৃষ্টি- দুর্নীতি- এতিমের টাকা মেরে খাওয়া এসবই হচ্ছে বিএনপির নীতি। এরা এখনও পরাজিত পাকিস্তানের পুরনো প্রভুদের ভুলতে পারে না। খালেদা জিয়া বলেছিলেন- বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে না হটিয়ে ঘরে ফিরে যাবেন না। এ জন্য তিনি ৯২ দিন ধরে নিজ অফিসে বসে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করলেন, দেশের সম্পদ ধ্বংস করলেন। কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে খেললে আল্লাহও যে নারাজ হন, তা খালেদা জিয়ার ভাবা উচিত ছিল। এ কারণেই তাঁকে নাকে খত দিয়েই ঘরে ফিরে যেতে হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শান্তিময় উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। এভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশে কোন জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কারোর কাছে হাত পেতে নিতে দারিদ্র্য পালন নয়, সত্যিকারভাবেই দেশকে দারিদ্র্যতাকে দূর করতে চাই। বঙ্গবন্ধু একটি কথা বলতেন- ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না। তাই আমরা কারোর কাছে হাত পেতে চলতে চাই না, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব। স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলব। আর পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তাঁর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবÑ আজকের দিনে এই হোক আমাদের শপথ। জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সতীশ চন্দ্র রায়, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মাহবুব-উল আলম হানিফ, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ ও হাবিবুর রহমান সিরাজ। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সভার শুরুতেই জাতির পিতার স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে আরও বলেন, তাদের আন্দোলন মানেই নির্বিচারে মানুষ খুন। আন্দোলনের নামে তারা আড়াই শ’ মানুষকে হত্যা করেছে। ট্রেন, লঞ্চ, হাজার হাজার যানবাহন ধ্বংস করেছে। জীবন্ত মানুষকে পৈশাচিকভাবে পুড়িয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা আর কী হতে পারে? সেই কাজটিই খালেদা জিয়া দিনের পর দিন করে গেছেন। দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ তাদের ধ্বংসযজ্ঞ সমর্থন না করে উল্টো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এই নির্বাচন রুখে দিতেও তো কম ষড়যন্ত্র হয়নি। শুধু মানুষ হত্যাই নয়, ৫৮২টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর আঘাত করেছে। সবকিছুই আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে। আর নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই তো মানুষের সেবা করতে পারছি, দেশের এত উন্নয়ন করতে পারছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের চরিত্রই হচ্ছে অপরাধী-খুনী এদের রক্ষা করা, মদদ দেয়া ও তাদের নিয়ে চলা। খুন ও অপরাধমূলক কর্মকা- করা। এরা তো দেশের কল্যাণে কোন কাজ করতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলবে, এটাও বোধহয় তাদের পছন্দ না। ওই পরাজিত শক্তি, পুরনো প্রভুদের তারা ভুলতেই পারে না। এটা সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের। তিনি বলেন, দেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে গেছেন খালেদা জিয়া। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তারা দেশে বাংলা ভাই ও জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করে। ক্ষমতায় থাকতে পাঁচটি বছর দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অর্থ পাচার, এতিমের টাকা মেরে খাওয়াসহ এমন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করেনি। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে তারা হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট দিনে-দুপুরে আমাকে হত্যার জন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে ২২ জন মানুষকে হত্যা করেছে। একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া রাজনৈতিক জনসভায় একের পর এক ১৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ অতীতে কোন দেশে হয়নি। এ ধরনের জঘন্য ঘটনাগুলোও তারা ঘটিয়েছে। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করতে জিয়াউর রহমান হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার ও সৈনিককে হত্যা করেছে। একমাত্র বিমান বাহিনীতেই ৬৬৮ জন সামরিক অফিসার ও সৈনিককে হত্যা করা হয়। জেনারেল জিয়া একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, অন্যদিকে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের হাতে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একে একে ধ্বংস করে দিয়েছে। জেনারেল জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের যাতে বিচার না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়া। আর তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়াও একই কাজ করেছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনীকে এমপি বানিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে জাতীয় পতাকাও তুলে দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী। দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি এসব করতেই ব্যস্ত ছিলেন, দেশের কোন উন্নয়ন করেনি। আগামী ৩ বছরের মধ্যে দেশের প্রত্যেক গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে একটি পরিসংখ্যান এসেছে যে দেশের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ গৃহহীন রয়েছে। আমি নির্দেশ দিয়েছি সবার জন্য একটি টিনের ঘর হলেও করে দিতে হবে। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সালের মধ্যেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে শান্তিময়, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াবই। অসীম ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, এখন তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমরা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু-কিশোর সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের উচ্ছলতার কথা তুলে ধরে বলেন, ১০ বছর আগে আমাদের শিশুদের চেহারা কেমন ছিল? এখন কোন শিশুর চেহারায় বিষণœতা নেই। তারা এখন অনেক সুস্থ, অনেক এ্যাডভান্সড। এটাই হচ্ছে সারা বাংলাদেশের চিত্র। মানুষের এই চিত্র, ছায়া পরিবর্তন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ আজ রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক সবভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি ঢাকা শহরের বস্তিগুলোতে যান, সেখানে কিন্তু ছেলেমেয়ে, শিশুদের চেহারায় কোন বিষণœতা নেই। দ্রুত গতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মের সঙ্গেই বাঙালী জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা জড়িত। সেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজিত শত্রুরা বাংলাদেশকে আবারও পরাধীনতার জিঞ্জির পড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। আজ বঙ্গবন্ধুৃর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বাঙালীরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই। যতদিন এ দেশের মাটি-মানুষ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির হৃদয়ে চির জাগরূক রয়েছেন, থাকবেন। বঙ্গবন্ধু একটি মাত্র ভাষণে নিরস্ত্র বাঙালী জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পেছনে কারা কীভাবে ছিল তা খুুঁজে বের করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা তদন্ত কমিশন নামে এই কমিশন গঠন করা হোক। বিএনপির কাউন্সিলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিয়ের আগেই কাবিননামার মতোই কাউন্সিলের আগেই খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক জিয়া নেতা বনে গেলেন। এমন আজব কা- অতীতে কেউ কোন দিন দেখেনি। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, মার্চ মাস হলো বাঙালীর জীবনে অনেক কিছু পাওয়ার মাস। ৭ মার্চ ভাষণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, আর এই ১৭ মার্চ হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের জন্ম হয়েছিল। সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুৃর স্বপ্নের সোনার বাংলা যেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা গড়ে তুলতে পারেন- এ জন্য আল্লাহর দরবারে সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
×