ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৯ মার্চ ২০১৬

গলাচিপায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিভিন্ন ইউনিয়নে সাত বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থীসহ গলাচিপা উপজেলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় মোট ১২ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, গলাচিপার ১২ ইউনিয়নে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গে প্রথমে ১৬ নেতা বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী হয়েছিলেন। দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়ায় নয় বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারসহ দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। কিন্তু এর পরও দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে বিভিন্ন ইউনিয়নে সাত প্রার্থী বর্তমানে বিদ্রোহী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে গোলখালী ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলী আশরাফ, গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী ইসরাত হোসেন আব্বাস, চরকাজল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা, একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা এস্কান্দার মিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামান সোহাগ, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চিকনিকান্দী ইউনিয়নের বিদোহী চেয়ারম্যানপ্রার্থী সরদার আবদুর রহমান নয়াকে। কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ও চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম লিটনকে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে গলাচিপা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মানিক মিয়া, চরবিশ্বাস আওয়ামী লীগের নেতা হাজী জয়নাল আবেদীন, সাইদুর রহমান সাকু, ওলামা লীগের আহ্বায়ক মাওলানা নুরুল ইসলাম ও চরবিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক শহীদুল হাওলাদারকে। দলীয় সূত্র আরও জানায়, বহিষ্কারের পরও বিদ্রোহী প্রার্থীদের তৎপরতার কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত কয়েকজন চেয়ারম্যানপ্রার্থী বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারোরই জয়লাভের সম্ভাবনা দেখছেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এদিকে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে সামসুদ্দিন আবু মিয়ার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দাড়ভাঙ্গা গ্রামের বসতঘরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত আগুন দিয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজনের তৎপরতার কারণে তেমন ক্ষতি হয়নি। ওই সময়ে আবু মিয়া তার বাড়িতেই ছিলেন। তিনিই প্রথম ঘরের পাশে আগুন দেখতে পান। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফীন আগুনের সত্যতা স্বীকার করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আবু মিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী হতে চাইলেও তৃণমূল ভোটে হেরে যান। পরে তিনি গোপনে এক বিদ্রোহী প্রার্থীকে মাঠে নামান। এ নিয়ে সেখানে ব্যাপক সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
×