ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবরুদ্ধ দেশে প্রতিরোধ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৯ মার্চ ২০১৬

অবরুদ্ধ দেশে প্রতিরোধ

(শেষাংশ) গোয়ালখালী গ্রাম নিবাসী জনৈক বৃদ্ধ জানায় যে, সেই গ্রামে পঞ্চাশ জন গ্রামবাসী জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ও রাজাকারের গুলিতে নিহত হয়। এবং সম্পূর্ণ গ্রামটি একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নওয়াবগঞ্জ ও মোহাম্মদপুরের বিপরীত দিকে অবস্থিত কামরাঙ্গীরচরে প্রধানত মোহাম্মদপুর হতে আগত অবাঙালীরা লুটতরাজ হত্যা এবং অগ্নিসংযোগ করে এক বিভীষিকার সৃষ্টি করে। প্রাণভয়ে ভীত পলায়নরত লোকদের উপরে নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি করা হয় এবং পরে মৃতদেহগুলো নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এই সমস্ত ধ্বংসলীলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় এই অপরাধে যে গ্রামগুলোতে নাকি মুক্তিফৌজ লুকিয়ে ছিল। অথচ এই সমস্ত গ্রামগুলো থেকে পাকফৌজ বা রাজাকারদের উপর উল্লেখযোগ্য কোনো হামলা চালানো হয়নি। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর এই ধরনের পৈশাচিক হামলা এটাই নিরূপণ করে যে, পাকিস্তানের সামরিক সরকারের মানবতাবোধ বলে কিছুই নেই। আর যদি মুক্তিফৌজ থাকার অপরাধেই গ্রামগুলোকে এভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার আয়োজন করা হয় তাহলে পুরো বাংলাদেশেরই রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুক্তিফৌজ রয়েছে রক্তবিন্দুর মতো, তাদের ধ্বংস করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোনো শক্তিরই নেই। ষষ্ঠ সপ্তম সংখ্যার শিরোনামÑ‘খুনিরা জবাব দাও’। এখানে নরসিংদীর বিভিন্ন গ্রামের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ছাপা হয়েছে যা আগে উল্লেখ করেছি। নরসিংদীর ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেয়ার পর লেখা হয়েছিল “হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যুদ্ধের পর গ্রাম বাংলায় সুখ শান্তি ফিরিয়ে দিতে হবে। গ্রামের মানুষদের চেতনায় সমাজতন্ত্রের অধিকার বোধ সংক্রামিত করে দিতে হবে। এই হচ্ছে কর্তব্য ও দায়িত্ব প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার। প্রতিটি বিপ্লবীর।” এর পরের নিবন্ধের শিরোনাম ‘রক্ত ঝরছে কিন্তু কেন?’ সম্পাদকীয়ের শিরোনামÑ‘মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি’। সম্পাদকীয়ের মূল বক্তব্যÑ“মুক্তাঞ্চলের প্রশাসনিক ব্যবস্থার সমাজতান্ত্রিক ভিত্তির প্রসারণা হচ্ছে ভবিষ্যত বাংলার বীজস্বরূপ। যেন এক আদর্শ-জনসাধারণের আশা ও উদ্দীপনার আলো কিংবা যেন এক আগুন ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে; জনসাধারণের মধ্যে আদর্শের বীজ বুনে যেতে হবে মুক্তাঞ্চল। গ্রামঞ্চলে শহরাঞ্চলে ঐ আগুনের শিখা জ্বেলে দিতে হবে বিপ্লবীদের, মুক্তিযোদ্ধাদের। আমাদের মুখ ফেরাতে ১৯৪৭ সালে নয় কিংবা ২৫ মার্চ ১৯৭১ এর পূর্বেকার সময়ে নয়, আমাদের মুখ ফেরাতে হবে স্বাধীনতার আগুনে দীপ্ত সমাজতন্ত্রের দিকে।” ভাষা দেখে মনে হয় তা বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের লেখা। শেষ পাতায় বিভিন্ন নেতার ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ সম্পর্কিত কিছু বিবৃতি ও সংবাদ দেয়া হয়েছে প্রতিরোধ পাকজঙ্গী শাহী বেসামাল হয়ে পড়েছে মুক্তিবাহিনীর সমাচার গত ঈদের শেষরাতে মুক্তিবাহিনী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় রকেট সেলিং করে। ৩৫ জন খান সেনাকে হত্যা করে। উক্ত আক্রমণে ২৭ জন খান সেনা গুরুতর রূপে আহত হয়েছে। বিমান ধ্বংস মুক্তিবাহিনী এ পর্যন্ত হানাদার বাহিনীর ৪টি যুদ্ধ বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সান্ধ্য আইনে প্রথম সান্ধ্য আইনের দিনে যাত্রাবাড়ীতে এক হামলায় মেজর সাহেবদাদসহ তিনজন পাক সেনা নিহত হয়। কালিয়াকৈরে টাঙ্গাইলের পথে কালিয়াকৈরের কাছে এক মাইন বিস্ফোরণে হানাদার বাহিনীর এক ক্যাপ্টেনসহ দুইজন নিহত হয়। টাঙ্গাইল জেলা সম্পূর্ণ মুক্ত। কুমিল্লার বিটঘরে বিটঘরে গত ২৪ নভেম্বর এক সংঘর্ষে একজন অফিসারসহ ১৫ জন খান সেনা ৫ জন রাজাকার নিহত হয়। স্বাধীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ মুজিবনগরে এক বিবৃতিতে বলেন, ইসলামাবাদের জঙ্গীশাসকচক্র মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহায়তায় পাক-ভারত যুদ্ধ সম্পর্কে যতই অপপ্রচার করুক না কেন বিশ্ববাসীকে তারা আর বোকা বানাতে পারবে না। বিশ্ববাসী আজ বুঝে গেছে যে, এ যুদ্ধ পাক-ভারত যুদ্ধ নয়। এটা বাংলার মুক্তিকাক্সক্ষী জনতার সঙ্গে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ। বাংলাদেশ ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীদের হাতে চরম মার খেয়ে খেয়ে বর্তমানে পাক-ভারত যুদ্ধের ধ্বনি তুলছে। হানাদার বাহিনী যত চেষ্টাই করুক না কেন বাংলাদেশের জনগণকে তারা আর বোকা বানাতে পারবে না। সিন্ধু কমিউনিস্ট পার্টির বিশিষ্ট নেতা জনাব জামশাহী পশ্চিম পাকিস্তানের জনসাধারণকে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে নয় বরং পাকিস্তানের সামন্ত প্রভুদের বিরুদ্ধে একান্ত হওয়ার জন্য সিন্ধুর জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেন ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করেনি, পাক বাহিনীই বাংলাদেশে আক্রমণ করেছে। ঐক্যবদ্ধ মুক্তিসংগ্রামের শুভ উদ্যোগ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ছাত্রইউনিয়ন যুক্ত বিবৃতি আকাশবাণী ও স্বাধীন বাংলাদেশের খবরে প্রকাশ সম্প্রতি বাংলাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ হইতে যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হইয়াছে। তাহারা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে জোরদার করার জন্য জনগণ ও ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। আজকের ডাক শোষণমুক্ত স্বাধীন বাংলা কায়েম কর। গণবাহিনী গঠন কর। দালাল সব খতম কর। ভাড়াটিয়া নেতা খতম কর। হানাদার বাহিনী খতম কর। সমাজতন্ত্র কায়েম কর। সর্বস্তরে সার্বিক ঐক্য কায়েম কর। মুক্তি বাহিনীকে সর্বাত্মক সাহায্য কর মুক্তি বাহিনীর খবর গোপন রাখুন। এই সংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ ‘মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি’। যারা প্রতিরোধ প্রকাশ করেছেন তাদের মূল বক্তব্য বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, তবে তা হবে, সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এবং এখন থেকেই মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সে নিয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল “মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি আছে। এই রাজনীতি সম্বন্ধে সচেতন হওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। বাংলার মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র হচ্ছে পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং এই সংগ্রামের লক্ষ্য সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। সেজন্য বাংলার মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্র পরস্পর প্রবিষ্ট, একে অপরের সম্পূরক, এবং একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি নয়; স্বাধীনতা আগে পরে সমাজতন্ত্র নয়। স্বাধীনতা এবং সমাজতন্ত্র এক সঙ্গে; পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মানুষে মানুষে অঞ্চলে অঞ্চলে বৈষম্য হ্রাস করতে হবে। সেজন্য মুক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য পাকিস্তান রাষ্ট্র শক্তি বিনাশ কেবল নয়, নতুন সমাজের প্রতিষ্ঠাও। জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে সেজন্য শ্রেণী সংগ্রামও শ্রেণী বৈষম্য হ্রাসের সংগ্রামও। জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম কেন? বাংলার এই সর্বাত্মক লড়াই বাঙালী জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াই, একটি রাষ্ট্রীয় সীমার জন্য বাঙালী জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াই।” এ সংখ্যায় আবদুল গফুরের (হয়ত ছদ্মনাম) একটি দীর্ঘ প্রবন্ধও ছাপা হয়েছিল নামÑ‘পাক-ভারত যুদ্ধ ও বাংলার মুক্তিযুদ্ধ।’ অষ্টম বা শেষ সংখ্যা আমি পাইনি। জার্নাল ৭১-এ এই সংখ্যার সম্পাদকীয়টি উদ্ধৃত হয়েছে। এখানে তা উদ্ধৃত করে প্রবন্ধের পরিসমাপ্তি টানছি “প্রতিরোধের সম্পাদকীয় : বিজয়ের পূর্বক্ষণ। ঢাকা শহর মুক্ত হতে চলেছে। বহু মৃত্যু, ইস্পাত দৃঢ় প্রতিরোধ, রক্ত উজ্জ্বল বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে বিজয়ী জনতা আজ ঢাকা শহর ঘিরে ধরেছে। ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের শক্ত ঘাটি, তাবেদারদের ডেরা, দালালদের বাসস্থান ঢাকা আজ আতঙ্কে শিহরিত; সেই সঙ্গে মুক্তির আনন্দে উদ্বেল, কারণ ঢাকা বিপ্লবের জননী, বিদ্রোহের পতাকা; কারণ চিরকালই বিদ্রোহী সম্মানে সমুন্নত। এই সম্মান চিরকাল অটুট থাক, চিরকাল নিষ্কলঙ্ক থাক, কোনদিনও যেন ঢাকা শহর তার মাথা না নোয়ায়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর দৃপ্ত কুচকাওয়াজ ঢাকা শহরের চারপাশে; তারা এগিয়ে আসছে ডেমরা থেকে, টঙ্গী থেকে, সাভার থেকে, জিঞ্জিরা থেকে, তাদের সঙ্গে আসছে সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর আশা আকাক্সক্ষা ভবিষ্যত, বাংলাদেশের বিপ্লব। এই বিপ্লব কোনো দলের নয়, সকল বাঙালীর; এই বিপ্লবের অধিকার কোনো দলের নয়, সকল বাঙালীর; বাঙালী জনসাধারণ তাদের রক্ত দিয়ে, প্রতিরোধ দিয়ে, মৃত্যু দিয়ে বিপ্লবের সামাজিক ভিত্তি গড়ে তুলেছে, সেই ভিত্তি হচ্ছে সমাজতন্ত্র এবং স্বাধীনতার ও সামাজিক ভিত্তি হচ্ছে সমাজতন্ত্র। বাংলাদেশের বিপ্লবের লক্ষ্য সমাজতন্ত্র এবং বাঙালী জনসাধারণের স্বাধীনতার উদ্দেশ্য সমাজতন্ত্র; ঢাকা শহরের আসন্ন মুক্তির পূর্বক্ষণে এই সত্য আজ অনুভব করতে হবে। সমাজতন্ত্রের রাষ্ট্রনৈতিক ভিত্তিতে আছে সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদ বিরোধী চেতনা; সমাজতন্ত্রের অর্থনৈতিক ভিত্তিতে আছে সর্ব প্রকার শোষণ বিরোধী চেতনা; সমাজতন্ত্রের মতাদর্শগত ভিত্তিতে আছে মনুষ্যত্বের চেতনা; বাংলাদেশের বিপ্লবের পশ্চাদপট এ সবই। এই কারণে বাংলাদেশের বিপ্লবের আন্তর্জাতিক সমর্থন মিলেছে সোভিয়েট ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্রগুলো থেকে, ভারত থেকে, সারা পৃথিবীর শোষণ বিরোধী ও মনুষ্যত্বের চেতনা থেকে। আর বাংলাদেশের বিপ্লবের বিরোধিতা এসেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ থেকেও মনুষ্যত্ব বিরোধী চীন রাষ্ট্র থেকে।... কোনো দল যদি সমাজতান্ত্রিক সহযোগিতার বদলে রাজনৈতিক মোড়লগিরি ব্যবহারের চেষ্টা করে তার বিরোধিতা করতে হবে; কোনো দল যদি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বদলে সৈন্যতন্ত্র প্রবর্তনের চেষ্টা করে তার বিরোধিতা করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের বিপ্লবের বর্তমান পর্যায়ের প্রেক্ষিত হচ্ছে সমগ্র দেশ; এই বিপ্লবের বৈপ্লবিক মিত্রতার শ্রেণীগত ভিত্তিতে আছে বিপ্লবীরা, কৃষক, শ্রমিক, মধ্যবিত্ত; এই বিপ্লবের দুশমন হচ্ছে ঔপনিবেশিকতাবাদের দালালরা, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও অন্যান্যর ক্রমবর্ধমান জাতীয় স্বার্থ এবং দেশের মধ্যকার আধা সামন্ততান্ত্রিক স্বার্থ, উঠতি বাণিজ্যিক স্বার্থ; এই বিপ্লবের বাণিজ্য ও কূটনীতির ক্ষেত্র হচ্ছে ভারত, সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ; এই বিপ্লবের মতাদর্শে আছে সকলের জন্য স্বাধীনতা সকলের জন্যে রুটি। পরাধীনতা থেকে মুক্তি স্বাধীনতার প্রথম পর্যায়, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থার প্রবর্তনা স্বাধীনতার অন্তিম লক্ষ্য; এই কারণেই এই যুদ্ধের শেষ নেই। এই কারণেই আমাদের প্রত্যেককে বিপ্লবী হতে হবে এবং বিপ্লবীর একাগ্রচিত্ততা নিয়ে দেশের পুনর্গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজতান্ত্রিক পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবকে সক্রিয় রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত বিপ্লবের মশাল জ্বেলে তাকিয়ে আছে দূরে, দিগন্তে ও ভবিষ্যতে।”
×