ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিএল শিরোপা মধ্যাঞ্চলের

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৮ মার্চ ২০১৬

বিসিএল শিরোপা মধ্যাঞ্চলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয়বারের মতো লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ড্র করার মাধ্যমে শিরোপা জয় করে তারা। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমেও শিরোপা জিতেছিল তারা। ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ৫ ড্র করে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারও চ্যাম্পিয়ন হলো তারা। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ দিনে বিসিবি উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ২৯৩ রান তুলে। তখনও জহুরুল ইসলাম ৯২ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ রান করে ব্যাট করছিলেন। তানভীর হায়দার ৬৬ রানে নেন ৪ উইকেট। ৩৬৬ রানের অসম্ভব জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছেন মধ্যাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু ৫৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৫৭ রান তোলার পর দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। ফলে ম্যাচটি ড্র হয়। দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মার্শাল আইয়ুব। তিনি মাত্র ৯৮ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। সৈকত আলী ৫৭ রান করে আউট হন। মার্শালের সঙ্গে ছিলেন রকিবুল হাসান। তিনি ৬৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ফতুল্লায় অপর ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পর চতুর্থ দিনে সেঞ্চুরি হাঁকান সোহাগ গাজীও। প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল আগের দিনের ৬ উইকেটে ৪২০ রান নিয়ে খেলতে নেমে সে কারণেই প্রথম ইনিংস শেষ করে ৬০১ রানে। মোসাদ্দেক ২৩১ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আর সোহাগ ঝড় তোলেন। তিনি ১৮১ বলে ১২ চার ও ৬ ছক্কায় ১৪৬ রান করেন। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের পক্ষে অলক কাপালি ৩টি এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি ও নাজমুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে যেটুকু সময় ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে পূর্বাঞ্চল সেটার সদ্ব্যবহার করেছে তারা। লিটন কুমার দাস ও ইরফান শুক্কুর রানোৎসব করেছেন। ৪১.৩ ওভারেই বিনা উইকেটে ১৮৯ রান তোলে পূর্বাঞ্চল। লিটন ১২১ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৩ এবং ইরফান ১২৮ বলে ১১ চারে ৭৫ রান করেন। এ ম্যাচটিও ড্র হয়। জুভেন্টাসকে কাঁদিয়ে শেষ আটে বেয়ার্ন স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিয়তির লেখন কেইবা খ-াতে পারে! তা না হলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে বেয়ার্ন মিউনিখের পরিবর্তে নাম লেখানোর কথা ছিল জুভেন্টাসের। কিন্তু না, শেষ ষোলো থেকেই কান্নাভেজা বিদায় নিতে হয়েছে আসরের বর্তমান রানার্সআপদের। তুরিনে প্রথম লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। বুধবার রাতে মিউনিখের এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় জার্মান ও ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন দল দুটি। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করে অতিথি জুভেন্টাস। বিরতির পর ৭৩ মিনিটে স্বাগতিকরা একটি গোল পরিশোধ করলেও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে পরের পর্বের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রির দল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলাও শেষ। শুরু হয় ইনজুরি সময়ের খেলা। সবাই ধরেই নিয়েছিল, শেষ আট থেকেই বিদায় বেয়ার্নের। কিন্তু চমকটা যে তখনও ছিল। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগমুহূর্তে বাভারিয়ানদের পক্ষে সমতাসূচক গোল করেন টমাস মুলার। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে খেলা শেষ হয় ৪-৪ গোলে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে প্রথম ১৫ মিনিট অমীমাংসিত। অনেকের ধারণা ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে গড়াচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু বিরতির পর চার মিনিটের ঝড়ে ল-ভ- হয়ে যায় অতিথি জুভেন্টাস। থিয়াগো আলকান্টারা ও কিংসলে কোম্যানের গোলে দুর্দান্ত জয় নিয়ে সেরা আটের টিকেট নিশ্চিত করে পেপ গার্ডিওলার দল। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও চার গোল করে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাভারিয়ানরা। দুই লেগ মিলিয়ে বেয়ার্নের জয় ৬-৪ গোলে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে কোণঠাসা জুভেন্টাস শেষ ৩০ মিনিটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। ফিরতি লেগে একই অবস্থা হয় বেয়ার্নের। আগের লেগের ফর্ম ধরে রেখেই যেন শুরু করেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। যার ফল হিসেবে পঞ্চম মিনিটেই দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। ডেভিল এ্যালাবা বক্সের মুখে বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে সতীর্থ পল পোগবার দিকে বল বাড়ান আলভারো মোরাটা। দৃষ্টিনন্দন শটে গোল করেন ফরাসী মিডফিল্ডার। ২৮ মিনিটে দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে অতিথিরা। নিজেদের সীমানা থেকে সঙ্গে লেগে থাকা এক জনকে পিছনে ফেলে বল পায়ে অদম্য গতিতে ছুটে আরও দুই জনকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিকে বল বাড়ান মোরাটা। তার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের মধ্যে একজনকে কাটিয়ে জোরালো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার জুয়ান কুয়াডরাডো।
×