ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকার শুরু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে

ঘুরে দাঁড়াতে চায় আজ ইংলিশরা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৮ মার্চ ২০১৬

ঘুরে দাঁড়াতে চায় আজ ইংলিশরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ মানেই যেন দু’দলের জন্য হতাশা! ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ইংল্যান্ড কেউ শিরোপা জিততে পারেনি। যদিও টি২০ বিশ্বকাপে সেই খরা কাটিয়েছে ইংল্যান্ড। ২০১০ সালের তৃতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি তারা। আর প্রোটিয়ারা ২০০৯ সালের দ্বিতীয় আসরে নিজেদের সেরা সাফল্য হিসেবে তৃতীয় হয়েছিল। এবার সেই ইংলিশদের বিপক্ষে ষষ্ঠ টি২০ বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে। ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই বুধবার এই একই ভেন্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেছে তারা ৬ উইকেটে। সেই বেদনা ভুলে যাওয়ার আগেই আবারও মাঠে নামতে হবে ইয়ন মরগানদের। সেমিফাইনালে ওঠার জন্য আজ ঘুরে দাঁড়ানো অতীব জরুরী। সেটা করতেই মরিয়া ইংলিশরা। গত বছর অক্টোবরেই ভারত সফর করে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে নাস্তানাবুদ হলেও টি২০ সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছিল প্রোটিয়ারা। তিন ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। তবে সেবার ধর্মশালা ও কটকে খেলার সুযোগ হয়েছিল। এবার ভিন্ন এক ভেন্যুতে। যেই ভেন্যুতে ইতোমধ্যেই ইংলিশরা পরাজয় দিয়ে শুরু করেছে। বেদনাটা একটু বেশিই তাদের। কারণ ১৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েও জেতা সম্ভব হয়নি। শুধু ক্রিস গেইলকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন দলের বোলাররা। তাই পরাজয়। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ তাদের জন্য। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের মাটিতে টি২০ রেকর্ডটা ভাল প্রোটিয়াদের। এমনকি ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ভাল। গত মাসে ঘরের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সম্প্রতিই পরস্পরের মধ্যে সিরিজ খেলার কারণে বর্তমান দলের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা সম্পর্কে উভয়েই ওয়াকিবহাল। এবার নিরপেক্ষ ভেন্যুর অচেনা পরিবেশে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। এর আগে দু’দল ১১ টি২০ ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয়ের পাল্লাটা ভারি দক্ষিণ আফ্রিকার, তারা জিতেছে ৭ ম্যাচ। আর ইংল্যান্ড ৩ বার জয় পেয়েছে, ১ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে দু’বার তারা মুখোমুখি হয়েছে গত টি২০ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে, সেখানে বিজয়ীর হাসি ছিল প্রোটিয়াদের মুখে। আর ২০১০ বিশ্বকাপে ব্রিজটাউনে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নিজেদের মাঠ বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পেরেছিল ইংলিশরা। এরপর আর জেতেনি। টি২০ বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানেও এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। চারবারের মোকাবেলায় তিনবারই ইংলিশদের পরাস্ত করেছে তারা, হেরেছে মাত্র একবারই। এসব কারণে আজকের ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকাকেই ফেবারিট মনে করা হচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের পর বেশ হতাশ ইংলিশরা। সেই হতাশাকে পেছনে ফেলতে হবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে। দলের ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেও বোলাররা সেটা ধরে রাখতে পারেননি। এরপর অধিনায়ক মরগানের উপলব্ধি হয়েছে ব্যাটিং থেকে আরও রান পেতে হবে। আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিনি ব্যাটসম্যানদের জন্য ন্যূনতম ২০০ রান করার টার্গেট দিয়েছেন। কারণ প্রোটিয়া শিবিরেও আছে ভয়ানক কয়েকজন ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ছাড়াও এবি ডি ভিলিয়ার্স, কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশোর ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংকে রুখতে হবে ইংলিশ বোলারদের। তারা সেটা ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পারেননি। রাতে শিশিরের একটি ব্যাপার থাকে। তাই টস ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করেন মরগান। তিনি বলেন, ‘টসের সময়ই আমি বলেছিলাম আমি জিতলেও ফিল্ডিং বেছে নিতাম। একই লক্ষ্য থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও।’ ক্যারিবীয় বোলারদের বিপক্ষে বড় কোন চ্যালেঞ্জে পড়তে না হলেও আজ প্রোটিয়াদের ভয়ানক পেস আক্রমণ মোকাবেলা করতে হবে। সেখানে আছে ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদার মতো ভয়ানক বোলাররা। এছাড়া স্পিন আক্রমণে ইমরান তাহিরও ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের শক্তি যাই হোক, মরগান মনে করছেন এই ম্যাচটা জিততেই হবে তার দলকে।
×