ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ॥ রংপুর হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৮ মার্চ ২০১৬

নীলফামারীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ॥ রংপুর হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ও রংপুর ॥ নীলফামারীর পল্লীতে নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক পিকআপচালকসহ তিন যুবক তাকে জোরপূর্বক একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের পর পালিয়ে গেছে। ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে জেলার কিশোরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের পক্ষে ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এলাকাবাসী জানায়, জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টোটুয়াপাড়া গ্রামের ভটভটিচালক মহির আলীর মেয়ে জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর ইউছুফিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। সে জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের নানা মনছুর আলীর বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করত। বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর সে হেঁটে একাই নানার বাড়ি ফিরছিল। পথে তার সঙ্গে দেখা হয় পূর্বপরিচিত মারুকুল ইসলাম (৩০) নামের এক পিকআপচালকের। ওই পিকআপচালক বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রীটির মামা সেলিমের আলু পিকআপে করে হিমাগারে সংরক্ষণের জন্য পরিবহন করে আসছে। ছাত্রীটি যেহেতু মাদ্রাসা ছুটি শেষে নানার বাড়ি যাচ্ছিল, সেহেতু চালকের কথায় সরল বিশ্বাসে পিকআপে উঠে বসে। এ সময় পিকআপে থাকা আরও দুই যুবক ও পিকআপের চালকসহ তারা তিনজন মেয়েটিকে অবিলের বাজারের অদূরে এক ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকার এক ফেরিওয়ালা বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীদের জানালে তারা মেয়েটির বাবাকে খবর দেয়ার পর ভুট্টাক্ষেত থেকে বিবস্ত্র ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এর পর এলাকাবাসীর সহায়তায় সন্ধ্যায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে মেয়েটি চিকিৎসাধীন। কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, তিনি নিজেই ঘটনাটি তদন্ত করছেন এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছেন। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার তার দেহে প্রচুর রক্ত দেয়া হয়েছে। সে এখন অনেকটা সুস্থ আছে। এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোন মামলা করা হয়নি। মেয়েটির বাবা মহিদুল ইসলাম জানান, মেয়েকে সুস্থ করে তোলার পরই তিনি মামলা করবেন।
×