ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিনেট শুনানিতে বেরিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক চক্রের সংশ্লিষ্টতার নতুন নতুন তথ্য

রিজার্ভ চুরিতে জড়িত ফিলিপিন্সের ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকও

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৮ মার্চ ২০১৬

রিজার্ভ চুরিতে জড়িত ফিলিপিন্সের ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুটের ঘটনায় শুধু ফিলিপিন্সের আরসিবিসি ব্যাংক নয়, ইস্ট ওয়েস্ট নামে আরও একটি ব্যাংকও জড়িত। ওই ব্যাংকেও স্বাক্ষর জাল করে এ্যাকাউন্ট খোলেন রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া স্যানটোস দেগুইতো। পরে ৮১ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরে মধ্যস্থতা করেছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকের এক শাখা ম্যানেজার। বৃহস্পতিবার ফিলিপিন্সের গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক চক্রের হয়ে কাজ করেছেন আরসিবিসি শাখা ম্যানেজার। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় অধিকতর তদন্তে দেশটির আরও কয়েকটি ব্যাংকের নামও আসতে পারে। এদিকে বৃহস্পতিবার সিনেট কমিটির দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি নিজের চোখে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক মাইয়া স্যানটোস দেগুইতোর গাড়িতে ২০ মিলিয়ন পেসো তুলতে দেখেছেন। এ অভিযোগ স্বীকার করে দেগুইতো বলেছেন, হয় আমাকে এ অর্থ ছাড় করতে হবে, নতুবা আমি অথবা আমার পরিবার খুন হব। তবে কারা তাকে এ হত্যার হুমকি দিয়েছিল সে বিষয়ে তিনি শুনানিতে কিছু বলেননি। এদিকে ফিলিপিন্সের এ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলে (এএমএলসি) আরসিবিসির জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ যে বাংলাদেশ ব্যাংকের, সেটি তিনি জানতেন। জেনেও অর্থ সরিয়ে নিতে তিনি সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের রাজকোষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে ফিলিপিন্সের আরেকটি ব্যাংকের নাম। এতদিন আলোচনায় ছিল শুধু আরসিবিসি ব্যাংক। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক। এ ব্যাংকের একটি শাখা ম্যানেজার বাংলাদেশী ৮০০ কোটি টাকা স্থানান্তরে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী উইলিয়াম সো গো। তার এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশী টাকা যেসব এ্যাকাউন্টে গেছে তার একটির মালিক উইলিয়াম সো গো। তিনি বলেছেন, ওই এ্যাকাউন্ট তিনি খোলেননি। আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখা ম্যানেজার মাইয়া সান্তোষ দেগুইতো তার স্বাক্ষর জাল করে এ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এর পর এ কার্যক্রমে তাকে জড়াতে দেগুইতোর সঙ্গে তার একটি বৈঠকের মধ্যস্থতা করেন ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংকের ব্যানিফ্যাসিও গ্লোবাল সিটি শাখা ম্যানেজার এলান পেনালোসা। একপর্যায়ে সো গো ২০০ মিলিয়ন পেসো উপার্জন করতে চান কি-না তা জানতে চান পেনালোসা। ওই বৈঠকে সো গোকে ঘুষও প্রস্তাব করা হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক তাদের তদন্ত শুরু করেছে। এরই মধ্যে এ অর্থ চুরির জন্য সবাই যার দিকে আঙ্গুল তুলছে তিনি হলেন আরসিবিসির জুপিটার শাখার ম্যানেজার দেগুইতি। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর অন্যতম উইলিয়াম সো গো। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মাইয়া দেগুইতো ও উইলিয়াম সো গোর মধ্যে যে বৈঠক ইস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক-বারগোস সার্কেলের স্টোরপ্রধান (ম্যানেজার) এলান পেনালোসা আয়োজন করেছিলেন বলে বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই। ব্যাংকের অফিসার হিসেবে তার যে দায়িত্ব তার সঙ্গে উইলিয়াম সো গোর সঙ্গে পেনালোসার জড়িত হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও ব্যাংক বলেছে, এসব রিপোর্ট আমরা তদন্ত করব। ব্যাংকের বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। দিগুয়েতোর গাড়িতে টাকা তুলতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ॥ বৃহস্পতিবার ফিলিপিন্সের ইংরেজী দৈনিক ইনকোয়েরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ২০ মিলিয়ন পেসো ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের ম্যানেজারের গাড়িতে তোলা হয়েছে বলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দিয়েছেন। রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ম্যানেজার মায়া সান্তোস দিগুয়েতোর গাড়িতে নিজের চোখে ওই টাকা তুলতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের সাবেক কাস্টমার সার্ভিস হেড রোমুলডো আগারাডো। রোমুলডো আগারাডো সিনেট কমিটির দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে বলেন, আমি নিজের চোখে মায়া সান্তোস দিগুয়েতোর গাড়িতে টাকা তুলতে দেখেছি। আমি যে টেবিলে বসেছিলাম, তার প্রধান দরজার কাচের ভেতর দিয়ে বাইরের সব দেখতে পাচ্ছিলাম। তিনি সিনেট কমিটিকে জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি কাগজের ব্যাগে পেঁচিয়ে ২০ মিলিয়ন পেসোর গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে ক্যাশ সেন্টারে সহকারী ব্যবস্থাপক এ্যাঞ্জেলা টোরেস এই টাকা তোলার কথা জানালে গাড়িতে করে শাখায় টাকা আনা হয়। এর পর সেই টাকা গুনে একটি বক্সে করে প্রথমে মায়া সান্তোসের রুমে রাখা হয়। পরে সেটি আবার কাগজের ব্যাগে ঢুকিয়ে সন্ধ্যার দিকে ম্যানেজারের গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। তিনি বলেন, যদিও এ সময় মিজ দিগুয়েতো ব্রাঞ্চে ছিলেন না। অর্থ ছাড় না করলে হত্যার হুমকি মায়া দেগুইতোকে ॥ এদিকে ফিলিপিন্সে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে ব্যাংক কর্মকর্তা রোমাল্ডো অগার্ডো সিনেটরদের জানান, রিজাল ব্যাংকের জুপিটার শাখায় টাকা হস্তান্তরের সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছিলেন রিজাল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো। অগার্ডো আরও বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি একটি ব্যাগে করে দেগুইতোর গাড়িতে যে ২০ মিলিয়ন ডলার তোলা হয়েছিল সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া টাকা বলে তাঁর ধারণা। তবে অগার্ডোর বক্তব্যের প্রতিবাদ করে দেগুইতো বলেন, তিনি তাঁর বক্তব্যের সময় এ বিষয়টি খোলাসা করবেন। মায়া সান্তোস দেগুইতোর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ফিলিপিন্সের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। দেগুইতো বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, হয় আমাকে এ অর্থ ছাড় করতে হবে, না হয় আমি বা আমার বাবা খুন হব। অগার্ডো বলেন, কারা তাঁকে মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে সে বিষয়ে আমি জিজ্ঞাসা করিনি। সিনেটরদের ওই বৈঠকে ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গোমেজ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থ চুরির এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ১৪টি দেশ ফিলিপিন্সের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। দেশটি তাদের ব্যাংকিং খাত নিয়ে ভাবমূর্তির সঙ্কটে পড়েছে। ফলে ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার এবং জড়িতদের চিহ্নিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। আন্তর্জাতিক চক্রই জড়িত বলে মনে করছে এএমএলসি ॥ ফিলিপিন্স মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের সন্দেহ, জালিয়াতির এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক চক্রই জড়িত। এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া ব্যাকি এ্যাবাড বলেন, এ ঘটনার পরিকল্পনা হয় অনেক আগেই। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা হয় ২০১৫ সালের মে মাসে। এসব হিসাবে চুরি করা অর্থ রাখার পর ধাপে ধাপে সরানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অর্থের সবশেষ অবস্থান এখন ক্যাসিনোতে। এক চীনা নাগরিকের এ্যাকাউন্টেও গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা, যার পরিমাণ এক কোটি আট লাখ ডলার। অর্থ যে বাংলাদেশ ব্যাংকের, জানতেন দেগুইতো ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্স থেকে পাচার হওয়ার জন্য রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) জুপিটার শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে দায়ী করেছে ওই ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ। ফিলিপিন্সের এ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলকে (এএমএলসি) আরসিবিসির জমা দেয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আরসিবিসির অভ্যন্তরীণ তদন্তে মায়া সান্তো দেগুইতোকে ঘটনার জন্য দায়ী করে বলা হয়েছে, মাকাতি শাখার অন্য কর্মীদের সহায়তায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। নিজ উদ্যোগেই ভাউচার তৈরি করে দ্রুতই চুরি হওয়া টাকার লেনদেন সম্পন্ন করেন মায়া সান্তোস দেগুইতো। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অর্থ যে বাংলাদেশ ব্যাংকের, সেটি তিনি জানতেন। জেনেও অর্থ সরিয়ে নিতে তিনি সহায়তা করেছেন। আরসিবিসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের মে মাসে খোলা চারটি হিসাবে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার জমা করা হয়। এর মধ্যে জেসি ক্রিস্টোফারের হিসাবে জমা হওয়া তিন কোটি ডলারের মধ্যে দুই কোটি ২৭ লাখ ডলার একই দিনে উত্তোলন করে উইলিয়াম এস গো নামের আরেক ব্যবসায়ীর হিসাবে জমা করা হয়। উইলিয়াম গোর হিসাব থেকেই এই অর্থ পরবর্তীকালে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের হাতে চলে যায়। চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা কম ॥ বাংলাদেশের চুরি যাওয়া ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই টাকা এরই মধ্যে ‘কালো গহ্বরে’ পতিত হয়েছে। কালোপথে চলে গেছে বিভিন্ন ক্যাসিনোতে। সেখান থেকে এ টাকা তুলে আনার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণÑ এমন সতর্কতা দিয়েছেন ফিলিপিন্সের বিশেষজ্ঞরা। দেশটির সিনেটর ওসমেনা বলেছেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুরি যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, এ অর্থ এরই মধ্যে দেশের বাইরে চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এখন এ অর্থ উদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করে ক্যাসিনোগুলোর সহযোগিতার ওপর। সিনেটর ওসমেনা বলেন, আমরা ক্যাসিনোগুলোর কাছ থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করব। আমরা সোলাইয়ারের প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। কারণ, তিনি ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি আরও বলেন, ক্যাসিনোগুলোর কাছে জানতে চেষ্টা করা হবে টাকাগুলো কোথায় গেছে। এ বিষয়ে তাদের রেকর্ডও চাওয়া হবে, যাতে বোঝা যায় তারা কী পরিমাণ অর্থ পেয়েছে এবং তার মালিক কে। এছাড়া ক্যাসিনোগুলো থেকে টাকাগুলোর স্থানান্তর নিয়ে ‘ইলেক্টোরাল ট্রায়াল’ খোঁজা হবে। সিনেটর ওসমেনা বলেন, আমি আশা করি ক্যাসিনোগুলো ইলেক্ট্রনিক ট্রায়াল সরবরাহ করবে। আমরা জানি না তারা কিভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে। এখানে আইনের রয়েছে অনেক ফাঁকফোকর। এসব ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যেতে পারে। ক্যাসিনোগুলো আইনের দোহাই দিয়ে কি কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারেÑ এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিনেটর ওসমেনা বলেন, দেশের আইন সরকারের চেয়ে অপরাধীদের বেশি রক্ষা করে। ফিলিপিন্সের প্রবাসী শ্রমিকরা ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে পারবেন না ॥ বিশ্বের ১৭টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ফিলিপিন্সের প্রবাসী শ্রমিকরা ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে পারবেন না। নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফিলিপিন্সে অর্থ লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে দেশগুলো। তালিকায় রয়েছেÑ যুক্তরাজ্য, যক্তরাষ্ট্র, হংকং, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স ও কমনওয়েলথভুক্ত উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের সাইপান অঞ্চল। এদিকে, ফিলিপিন্সের সিনেটর প্রার্থী সুসান টুটস সে দেশের গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ইস্যুতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফিলিপিন্সের শ্রমিকরা। আর সিনেটর মিরিয়াম ডেফেনসর সান্তিয়াগো বলেছেন, ক্যাসিনোকে মুদ্রাপাচার আইনের আওতায় আনা না হলে বড় ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে ফিলিপিন্সের জন্য।
×