মাকসুদ আহমদ, ফেনী থেকে ফিরে ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে চলছে গাড়ি চলাচলে চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা। এদিকে চালকরা ভুলপথে ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। জেলা ট্রাফিক পুলিশ অথবা হাইওয়ে পুলিশ ফৌজদারহাট থেকে ফেনী পর্যন্ত কোথাও কর্তব্যরত রয়েছেÑ এমন নজির নেই সড়কের কোন স্থানে। তবে সীতাকু- ও মীরসরাই থানা পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
অভিযোগ রয়েছে, সরকার যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ধীরগতি এড়াতে মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রোড ডিভাইডার দিয়ে মহাসড়ককে দুইভাবে বিভক্ত করে আপ-ডাউন দুদিকে সাদা রেখা দিয়ে চারলেনে রূপ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সড়কে অঙ্কিত এসব রেখা মেনে চলছে না দ্রুতগামী ও ধীরগতির যানবাহনগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভুল ও অনিয়তান্ত্রিক ওভারটেকিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে চালকরা জানিয়েছেন।
সোনাগাজীগামী যাত্রীবাহী বাসের চালক আসাদুজ্জামান জানান, মূলত সড়কের দুটি ভাগেই দাগ টেনে চারটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। ডিভাইডার সংলগ্ন দুটি দিকই দ্রুতগামী গাড়ির জন্য নির্ধারিত। কিন্তু সড়কে উঠলেই দেখা যাচ্ছে কমগতি সম্পন্ন গাড়িগুলো রাস্তার ডানদিক দখল করে চলছে। অথচ বামদিক দিয়ে দ্রুতগামী গাড়িগুলো এসব কমগতির গাড়িকে ওভারটেক করে যাচ্ছে। এ ধরনের ওভারটেকিং মূলত ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ঘটনার কারণ।
চট্টগ্রাম-ফেনী সড়কের বিভিন্ন অংশে সরেজমিন দেখা গেছে, যানবাহনের উর্ধমুখী-নিম্নমুখী কোথাও কোথাও চারলেন সড়কের একলেন দিয়েই চলছে। রাস্তা মেরামত কিংবা সংস্কার কাজের কারণে এ ধরনের চিত্র স্বাভাবিক হলেও অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে। বাস, ট্রাক এমনকি লরিগুলো পাল্লা দিয়ে চলছে ওভারটেকিংয়ের মাধ্যমে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওভারটেকিং চলছে বামদিক দিয়ে। ভারি যানবাহনগুলো রাস্তার ডানদিক দখল করে চলার কারণে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবি করছেন চালকরা। এদিকে মহাসড়কে কম দূরত্বে থ্রি হুইলার ও যাত্রীবাহী ছোট ছোট গাড়ি চলাচলের কারণে সড়ক অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: