ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

এইচ এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১৭ মার্চ ২০১৬

এইচ এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকৌশলী এস. এ. এহ্সান রাজন প্রভাষক ক¤িপউটার বিজ্ঞান বিভাগ খুলনা পাবলিক কলেজ, খুলনা। ই-মেইলঃ [email protected] I‡qetww w.ahsanrajon.wordpress.com (পূর্ব প্রকাশের পর) সি একটি মডুলার (সড়ফঁষধৎ) ভাষা সি প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী ঘোষিত ফাংশনের ব্যবহারের সুযোগ থাকায় ব্যবহারকারী রচিত একটি প্রোগ্রামের ফাংশন অন্য প্রোগ্রামে ব্যবহার করা যায় বলে অনেক ক্ষেত্রে প্রোগ্রামের বা প্রোগ্রামের অংশ বিশেষের পুনঃব্যবহারের (জবঁংধনষব ঈড়ফব) সুযোগ থাকায় সি এর মাধ্যমে প্রোগ্রামিং সহজ হয়। আদর্শ সি প্রোগ্রামের গঠন একটি আদর্শ সি প্রোগ্রামের শুরুতে (উড়পঁসবহঃধঃরড়হ ঝবপঃরড়হ) সাধারণত প্রোগ্রামটির ডকুমেন্টেশন স¤পর্কে উল্লেখ থাকে যেখানে প্রোগ্রামটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স¤পর্কে বিস্তারিত এবং প্রোগ্রামের ধাপগুলি স¤পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া থাকে। এরপর, (খরহশ ঝবপঃরড়হ) প্রোগ্রামটি যেসকল লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করে সেগুলি ধারণকারী লাইব্রেরি ফাইলের নাম (হেডার ফাইলের নাম ও অবস্থান) উল্লেখ করা হয়। অন্যান্য যে সকল ব্যবহারকারী ঘোষিত ফাংশন ব্যবহার করা হয় সেগুলির পরিচিতি (ফাংশন প্রোটোটাইপ-ঋঁহপঃরড়হ চৎড়ঃড়ঃুঢ়ব) এবং অন্যান্য বিভিন্ন লিংক স¤পর্কিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত হয়। প্রোগ্রামে কোন প্রি-ডিফাইন্ড ফাংশন, কনস্ট্যান্ট (চৎব-উবভরহবফ ঋঁহপঃরড়হং ্ ঈড়হংঃধহঃং) ব্যবহার করা হলে সেগুলিও (উবপষধৎধঃরড়হ ঝবপঃরড়হ) উল্লেখ করা হয়। প্রোগ্রামে গ্লোবাল চলক বা গ্লোবাল ধ্রুবক ব্যবহার করা হলে সেগুলি (এষড়নধষ উবপষধৎধঃরড়হ ঝবপঃরড়হ) এ পর্যায়ে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। প্রোগ্রামের প্রধান অংশই হল ফাংশন সধরহ () । সাধারণভাবে একটি প্রোগ্রামের নির্বাহ করা শুরু হয়ে থাকে প্রধান ফাংশন (সধরহ) থেকে। প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় চলক ঘোষণা এবং অন্যান্য যৌক্তিক কাজসমূহ এবং প্রোগ্রামের মূল কার্যাবলী প্রধান ফাংশনে বিদ্যমান থাকে বা থাকতে পারে। যে সকল ফাংশন বিভিন্ন কার্যার্থে ঘোষিত হয় সেগুলি এই প্রধান ফাংশনের মধ্যেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রোগ্রামকে সহজ করা, প্রোগ্রামের সহজবোধ্যতা নিশ্চিত করা এবং প্রোগ্রামের সার্বজনীনতার লক্ষ্যে প্রোগ্রামকে একাধিক ব্যবহারকারী ঘোষিত ফাংশনে (টংবৎ-উবভরহবফ ঋঁহপঃরড়হং / ঝঁনৎড়ঁঃরহব ঝবপঃরড়হ) বিভক্ত করা হয়ে থাকে। এই ধরণের ফাংশন স¤পর্কে প্রধান ফাংশনের পূর্বেই প্রধান ফাংশনের পূর্বে ফাংশন প্রোটোটাইপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ফাংশন ব্যবহারের মাধ্যমে কোডের পুনঃব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। একটি আদর্শ সি প্রোগ্রামের গঠন নিম্নরুপ-  একটি প্রোগ্রামের প্রত্যাশিত আদর্শ বৈশিষ্ট্যসমূহ  শুদ্ধতা / স¤পূর্ণতা (ওহঃবমৎরঃু) প্রোগ্রামের ওহঃবমৎরঃু বলতে একটি প্রোগ্রাম যে উদ্দেশ্যে লিখিত সেটি অর্জনে শুদ্ধতা, যথার্থতা, নির্ভুলতা বোঝায়। মূলত প্রোগ্রামে বিদ্যমান ঈধষপঁষধঃরড়হং সঠিক না হলে প্রোগ্রামের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। এ কারণে যে কোন প্রোগ্রামের প্রধান ও প্রথম বৈশিষ্ট্যই হল প্রোগ্রামের সঠিকতা ও স¤পূর্ণতা।  ¯পষ্টতা (ঈষধৎরঃু) ¯পষ্টতা বলতে যে কোন প্রোগ্রামের পঠনযোগ্যতা তথা প্রোগ্রামের অন্তর্নিহিত যুক্তিসমূহকে অনুধাবনের সক্ষমতাকে বোঝায়। যে কোন প্রোগ্রাম যাতে অন্য যে কোন প্রোগ্রামার সহজেই কোন সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত প্রচেষ্টা ছাড়াই তাঁর সাধারণ প্রোগ্রামিং ধারণার মাধ্যমে বুঝতে পারেন সেটি প্রতিটি প্রোগ্রামে অনুসরণীয়। এমনকি প্রোগ্রাম রচয়িতা যেন পরবর্তীতে যে কোন সময়ে প্রোগ্রামের অংশগুলি স¤পর্কে নিজে বুঝতে পারেন সেজন্যও প্রোগ্রাম সহজবোধ্য হওয়া উচিত। প্রোগ্রামের সহজবোধ্যতা বজায় রাখার জন্য প্রোগ্রামারকে সুনির্দিষ্ট শৃঙ্খলা বজায় রাখায় উচিত।  সরলতা (ঝরসঢ়ষরপরঃু) একটি প্রোগ্রামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সরলতা। একটি প্রোগ্রামকে যতটা সম্ভবত সহজভাবে সমাধান করা আদর্শ প্রোগ্রামারের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রোগ্রামের সরলতা প্রোগ্রামের নির্বাহের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।  দক্ষতা (ঊভভরপরবহপু) দক্ষতার মূল দিক হল প্রোগ্রামের সহজতম, দক্ষ, বহুমুখী নির্বাহ এবং প্রোগ্রামের সংশ্লিষ্ট মেমরীর যথাযোগ্য ব্যবহার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি প্রোগ্রামের সহজ ব্যবহার এবং প্রোগ্রামের সরলতার সাথে অনেকক্ষেত্রে প্রোগ্রামের নির্বাহজনিত দক্ষতা অর্জন সমার্থক না হয়ে পর¯পর সাংঘর্ষিক (ঞৎধফব-ড়ভভ) হতে পারে; সেক্ষেত্রে সাধারণ অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য প্রদানের মাধ্যমে (ঊীঢ়বৎরবহপব ধহফ ঈড়সসড়হ ঝবহংব) প্রোগ্রামকে বাস্তবায়ন করা উচিত।  বিশ্লেষণযোগ্যতা (গড়ফঁষধৎরঃু) একটি প্রোগ্রামকে বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করে প্রতিটি অংশকে সমাধান করে সেগুলি পুনঃএকত্রিত করে সার্বিক সমাধান নিশ্চিত করা একটি আদর্শ প্রোগ্রামের অন্যতম প্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্য। একটি প্রোগ্রামকে বিভিন্ন অংশে (ব্যবহারকারী ঘোষিত ফাংশনে) ভাগ করার মাধ্যমে যেমন একদিকে প্রোগ্রামটি নির্ভুল করা যায়, তেমনি প্রোগ্রামের পঠনযোগ্যতা (জবধফধনরষরঃু) বৃদ্ধি পায়; এবং প্রোগ্রাম সহজ হয়।  সার্বজনীনতা (এবহবৎধষরঃু) একটি আদর্শ প্রোগ্রামকে সাধারণভাবে বিভিন্নমুখী করার প্রয়াস রাখা হয় যাতে প্রোগ্রামটি একাধিক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হয়। সাধারনভাবে কোন নির্দিষ্ট মানের পরিবর্তে যে কোন ফাংশনকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যে যথাসম্ভব সাদৃশ্য রাখা উচিত।
×