ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৭ মার্চ ২০১৬

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনী এলাকায় যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউপির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আসন্ন হওয়ায় এসব নির্বচনী এলাকায় যান ও নৌচলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের তিনদিন আগ থেকে ভোট গ্রহণের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এছাড়া ভোটগ্রহণের আগের দিন মধ্যরাত ১২টা থেকে ভোটগ্রহণের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচলের ওপর নিষেজ্ঞরা আরোপ করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রথম দফায় সারাদেশে ৭২২ ইউপি পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রথমধাপে ২৩ মার্চে টাঙ্গাইল জেলার নাগপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ করা হবে। আগামী সপ্তাহের মঙ্গল ও বুধবারের এসব ইউপির ভোটগ্রহণ করা হবে। এ হিসেবে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের আর মাত্র ৪ দিন সময় বাকি রয়েছে। ইসি জানিয়েছে প্রথম দফায় প্রার্থীদের ৩২ ঘণ্টা আগেই সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন। এরপর ভোট কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। ইসি জানিয়েছে নির্বাচনের আগে পরে মোট পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে এ মাসের ৩১ তারিখে। ইসির উপসচিব সামসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে নির্বাচনের আগের পরে মোটরসাইকেলসহ বেবী ট্যাক্সি, মাইক্রেবাস, জিপ, কার, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাদের এজেন্ট, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক (অবশ্যই পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। এর বাইরে নির্বাচনে কাজে ব্যবহৃত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এসব নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এর বাইরে জাতীয় মহাসড়ক বন্দর ও জরুরী পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনেও নিষেধজ্ঞা প্রযোজ্য হবেন না। যেসব যানবাহনের ওপর নির্বাচনের আগে ও পরে নিষেজ্ঞা দেয়ার হয়েছে এর মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেজ্ঞা থাকছে নির্বাচনের তিনদিন আগ থেকেই। এছাড়া নির্বাচনের আগের দিন রাত ১২ থেকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে বেবী টেক্সি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রেবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পোসহ অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে। এসব যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক অন্যান্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সড়ক পথের যান চলাচলের পাশাপাশি নৌপথের কতিপয় যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে নির্বাচনের দিন তার আগে বা পরে বিশেষ কয়েকটি নৌযান যথা নৌযান, লঞ্চ, স্পিডবোর্ড, ইঞ্জিন চালিত যে কোন নৌযান চলাচলের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী থাকবে। তবে সব ধরনের নৌযানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরেপ না করে শুধু লঞ্চ, স্পিডবোর্ড চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিশেষ করে ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান, বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান নিষেজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়া জনসাধারণে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সকল নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূরপাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে না। এছাড়া নির্বাচনের দিন ভোট গণনার বিবরণী সরাসরি ডাকযোগে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। ভোট গণনা শেষে প্রিসাইডিং অফিসার ডাকযোগে ভোট গণনার এর বিবরণী পাঠাবেন। এজন্য প্রিসাইডিং অফিসারকে ১টি বিশেষ খাম সরবরাহ করার জন্য রিটার্নিং কর্মবর্তাকে বলা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গণনার বিবরণী বীমাকৃত ডাকযোগে অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে কমিশনের পাঠাবেন। সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস থেকে প্রাপ্তিও সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। এজন্য ভোটগ্রহণের দিন বিকেল থেকে প্রয়োজন বোধে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাকঘর খোলা রাখার জন্য বলা হয়েছে।
×