ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্য গার্মেন্টস খাত!

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৭ মার্চ ২০১৬

লক্ষ্য গার্মেন্টস খাত!

গাফফার খান চৌধুরী ॥ বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে পুরোপুরি পঙ্গু করে দিতেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে ঢাকা-যুক্তরাজ্য সরাসরি কার্গো সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। এর সঙ্গে বিশ্বের কতিপয় প্রভাবশালী দেশের যোগসূত্র থাকতে পারে। বিষয়টি স্বাভাবিক করতে সরকার নানাদিক থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে চলে এসেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আবারও গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা দীর্ঘদিন থাকলে যুক্তরাজ্যের দেখাদেখি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। স্বল্প সময়ের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে আগামী তিন মাস পর গার্মেন্টস সেক্টরে ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিতে পারে, যা হার মানাতে পারে ২০১০ সালের পরিস্থিতিকেও। এমন সুযোগটিকে কাজে লাগাতে ব্যস্ত বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে ধ্বংসের চেষ্টাকারী দেশী-বিদেশী চক্রগুলো। জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, কোনাবাড়ি, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জসহ সব মিলিয়ে সারাদেশে প্রায় পনেরো হাজার গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় অর্ধকোটি শ্রমিক কাজ করছেন। তবে শিল্প পুলিশের হিসাব মতে, সারাদেশে রেজিস্টার্ড গার্মেন্টসের সংখ্যা দশ হাজারের উপরে। রেজিস্ট্রেশনবিহীন গার্মেন্টসের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজার। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মোর্শেদী জনকণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংস্থা দ্বারা কর্মপরিবেশ পরীক্ষার পর কাজের পরিবেশ থাকা গার্মেন্টসের যে তালিকা দেয়া হয়েছে, সে তালিকা মোতাবেক গার্মেন্টসের সংখ্যা প্রায় ৩৬শ’। এসব গার্মেন্টসে প্রায় সাড়ে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪৪ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। গার্মেন্টস সেক্টর এখন একেবারেই স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। কোন প্রকার ঝামেলা নেই। অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাজ্য সরকার তাদের দেশে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো বিমান সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করায় এক ধরনের বাড়তি উদ্বেগ বিরাজ করছে। এতে গার্মেন্টস সেক্টর ছাড়াও কাঁচামাল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পচনশীল জিনিসপত্র রফতানিকারকরা মহাবিপাকে রয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো সার্ভিস বন্ধ হলেও গার্মেন্টস সেক্টরে বড় ধরনের কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। কারণ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজার বেশি বড় নয়। কিন্তু যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য হয়ে যায়। যুক্তরাজ্য কার্গো সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ অন্য দেশ দিয়ে যুক্তরাজ্য দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পাঠাতে অনেক সময় লাগবে। সেই সঙ্গে বাড়বে ব্যয়, যা গার্মেন্টস সেক্টরে নানাদিক থেকে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এজন্য যুক্তরাজ্যের এমন নিষেধাজ্ঞা বড় ধরনের আতঙ্কের কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি সমাধান করতে নানাদিক থেকে জোরালো তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের আন্তরিকতার ন্যূনতম ঘাটতি নেই। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আশা করা যাচ্ছে স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে আরও ভয়ের কারণ আছে। সেটি হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশও পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সঙ্গে নানাভাবে সর্ম্পক ছিন্ন করতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য অশনিসঙ্কেত। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, সারাদেশের গার্মেন্টস কারখানায় অন্তত ৪৪ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে নারীশ্রমিকের সংখ্যা শতকরা ৮৫ ভাগ। এসব গার্মেন্টসে এক্সেসরিজ, ওয়াশিং প্লান্ট, পলি ফ্যাক্টরি, কার্টুন ফ্যাক্টরি, ফিনিশিং, ডাইংসহ নানাভাবে সবমিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি মানুষ জড়িত। যুক্তরাজ্য কার্গো সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার ফলে গার্মেন্টস সেক্টরে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। দ্রুত সরকারের এ সমস্যার সমাধান করা দরকার। অন্যথায় গার্মেন্টস সেক্টর ভয়াবহ পরিণতির দিকে যেতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান এই খাত মুখথুবড়ে পড়তে পারে, যা দেশকে কঠিন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গার্মেন্টস সেক্টরে বর্তমানে পঞ্চম ওয়েজবোর্ড চালু আছে। ১৯৮৫ সালে প্রথম, ১৯৯৪ সালে দ্বিতীয় ও ২০০৬ সালে তৃতীয় ওয়েজবোর্ড চালু হয়। কিন্তু তাতেও তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই যায়। দেশে বিদ্যমান শ্রম আইন অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গার্মেন্টস কর্মীদের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সেদিক বিবেচনা করে সরকার ২০১০ সালের ২৯ জুলাই নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে। কাঠামো অনুযায়ী ৭টি গ্রেডে সর্বনিম্ন ৩ হাজার ও সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি সরকারীভাবে মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং অব্যাহত রাখা হয়। ২০১০ সালে ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো গার্মেন্টস মালিকদের তরফ থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিকরা ঘোষণার পর পরই তা কার্যকরের দাবি জানায়। এমন সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে ২০১০ সালে সারাদেশে তুমুল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সারাদেশে টানা প্রায় দুই মাস ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে বহু শ্রমিক, মালিক পক্ষের লোকজন, সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বহু গার্মেন্টসে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। অনেক গার্মেন্টসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় অনেক শ্রমিককে। পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। দিনের পর দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের টানা সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায় যে, শেষ পর্যন্ত সরকারকে কঠোর হতে হয়। শুরু হয় গার্মেন্টস সেক্টর অশান্ত করার পেছনের কারিগরদের গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান। সেই সময় গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি নামের একটি শ্রমিক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার ও পরিচালক বাবুল আকতার, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষসহ অনেককেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল। পাশাপাশি গার্মেন্টস সেক্টরে নাশকতার সঙ্গে জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল শ্রমিক নেতা তাহের হোসেন, রিপন হোসেন, রুবেল মিয়া, তপন মিয়া, ইদ্রিস আলী, সাগর হোসেন, বাচ্চু মিয়া, রাসেল মিয়া, আকবর হোসেন এবং শ্রমিক নেত্রী শাহনাজ ওরফে শানু, আসমা বেগম, পারুল, শাহনাজ বেগম, রুপা ও পারভীনসহ অন্তত ২৫ জনকে। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে গার্মেন্টস সেক্টরকে অশান্ত করার জন্য জামায়াত-শিবির, দেশী-বিদেশী চক্রের ইন্ধন থাকাসহ নানা বিষয়াদি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ওই সময় জামায়াত-শিবির গার্মেন্টস শ্রমিক ও তাদের সংগঠনের নেতাদের উস্কে দিয়েছিল। এখাতে মোটা অঙ্কের টাকাও ঢেলেছিল। তারা সরকারকে গদিচ্যুত করার চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল দেশের গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত দেশী-বিদেশী চক্রগুলো। তারা মোটা অঙ্কের টাকার পাশাপাশি প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সংঘর্ষ বাধিয়ে পুরো দেশকে অশান্ত করে তোলার পাঁয়তারা করছিল। যেসব গার্মেন্টসে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছিল, সেসব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের নানা কৌশলে আন্দোলন সংগ্রামে শরিক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে গাড়িচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু, গার্মেন্টসের কর্মকর্তার হাতে শ্রমিক লাঞ্ছিত, গার্মেন্টসের কর্মকর্তার কুপ্রস্তুাবে রাজি না হওয়া মহিলা শ্রমিকের চাকরিচ্যুত করা, গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়াসহ সে সময় নানা গুজব ছড়িয়ে দেয়া হতো। এমনকি গার্মেন্টসে হাঙ্গামা হওয়ার পর বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে গার্মেন্টসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হতো। যাতে মালিকপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে গার্মেন্টস বন্ধ করে দেয়। আর তাতে বিক্ষোভ প্রকট হয়। গার্মেন্টস সেক্টর অশান্ত করে রাখতে এসব ছাড়াও নানা অপপ্রচার চালানো হতো। ২০১০ সালের পর গার্মেন্টস সেক্টরে আর বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এরই মধ্যে দ্রব্রমূল্যের উর্ধগতিসহ নানা কারণে সরকার ২০১৩ সালে আরেক দফা নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করে। যেটিকে পঞ্চম ওয়েজবোর্ড হিসেবে বলা হয়। এই ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বর্তমানে গার্মেন্টসে সর্বনিম্ন বেতন হেলপারের ৫ হাজার ৩শ’ টাকা। আর অপারেটরের বেতন সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এর সঙ্গে প্রতিবছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট হিসেবে বাড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে গার্মেন্টসে ন্যূনতম কোন প্রকার ঝামেলা নেই। দু’একটি গার্মেন্টসে অভ্যন্তরীণ বিষয়াদির জের ধরে কিছু ঝামেলা রয়েছে। তবে সেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঢালাওভাবে গার্মেন্টসে কোন অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে না। অস্ট্রেলিয়ার পর যুক্তরাজ্য তাদের দেশে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করার ফলে এখন পর্যন্ত গার্মেন্টস সেক্টরে কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে এমন নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করবে। অনেক গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠন এমন নিষেধাজ্ঞাকে পুঁজি করে নানাভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত দেশী-বিদেশী চক্রগুলোও ওতপেতে রয়েছে। তারা যেকোন সময় গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সরকার বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে। কূটনৈতিক চ্যানেল ছাড়াও সরকার নানাদিক থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে ইঙ্গিতও মিলেছে। এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম জনকণ্ঠকে বলেন, কার্গো সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা শিল্প কারখানায় কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। কোন গার্মেন্টসে ন্যূনতম কোন ঝামেলা নেই। প্রতিটি গার্মেন্টসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে যেকোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে গার্মেন্টগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনসহ বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যে কার্গো বিমান সার্ভিস বন্ধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারের তরফ থেকেও তেমন ইঙ্গিতই আসছে।
×