ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৬ মার্চ ২০১৬

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

(পূর্ব প্রকাশের পর) ৪। প্রতিযোগিতামূলক সাঁতার কত প্রকার ও কী কী ? মুক্ত সাঁতারের নিয়মাবলি লিখ । ভূমিকা ঃ জীবন রক্ষার তাগিদ থেকেই সাঁতারের উৎপত্তি । শুরুর দিকে সাঁতারে কোন প্রতিযোগিতা না থাকলেও সভ্যতার বিকাশ ও কালের পরিবর্তনে সাঁতার খেলাধুলায় এবং প্রতিযোগিতায় রূপ নেয়। সাতাঁরের প্রকারভেদ ঃ প্রতিযোগীতামূলক সাঁতারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন; ১। মুক্ত সাঁতার ২। চিৎ সাঁতার ৩। বুক সাঁতার ৪। প্রজাপতি সাঁতার। মুক্ত সাঁতারের নিয়মাবলি ঃ মুক্ত সাঁতারের কিছু নিয়মাবলি রয়েছে। যেমন ১। মুক্ত সাঁতার আরম্ভ ব্লকে উঠে শুরু করতে হয়। ২। মুক্ত সাতাঁর উপুর হয়ে সাঁতার কাটতে হয়। ৩। পা পানির নিচে সাধারণত ১২-১৮ ইঞ্চি পরিমাণে যায়। ৪। অন্য প্রতিযোগির লেনে গিয়ে বাধাঁর সৃষ্টি করতে পারবে না। ৫। পানির নিচে দিয়ে সাঁতার কাটা যাবে না । ৬। টার্নিংয়ের সময় শরীরে যে কোন অংশ দিয়ে টার্নিং করা যাবে। ৭। সমাপ্তি যে কোন অবস্থায় করা যাবে। ৮। হাতের কাজ পানির নিচে ঝ এর মতো হবে। পরিশেষে আমরা বলতে পারি মুক্ত সাঁতারের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতার সময় এই নিয়মগুলো না মানলে প্রতিযোগিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ৫। ডলফিন কিক কাকে বলে ? প্রজাপতি সাঁতারের কৌশল বর্ণনা কর। ডলফিন কিক ঃ ডলফিন কিক প্রজাপতি সাঁতারে ব্যবহার করা হয়। প্রজাপতি সাঁতারে পা দুটো একত্রে সোজা রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পায়ের পাতা বাহিরের দিকে রেখে ডলফিনের মত পা দ্বারা ধাক্কা মারাকে ডলফিন কিক বলে। প্রজাপতি সাঁতারের কৌশল ঃ এই সাঁতার দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মত দেখায় বলে একে প্রজাপতি সাঁতার বলে। প্রজাপতি সাঁতারের কৌশল নিন্মরূপ : দেহের অবস্থান ঃ ১। এই সাঁতারে শরীর খুব দ্রুত ওঠানামা করে। ২। পা দ্বারা যখন নিচের দিকে লাথি মারা হয় কোমর থেকে তখন ওপরের দিকে উঠে আসে। ৩।পুনরায় পানি টানার জন্য হাতকে যখন প্রস্তুত করা হয়,তখন মাথা ও ঘাড় পানির নিচে চলে যায় ৪। আবার যখন হাত দ্বারা পানি পুল করা হয় , তখন ঘাড় ও মাথা পানির ওপর দিকে জেগে ওঠে। ৫। দুই পা জোড়া করে একই সাথে হাতকে প্রসারিত করা হয়। ৬। মাথা উপরে থাকা অবস্থায় শ্বাস নিতে হয়। হাতের কাজ ঃ ১। প্রজাপতি সাঁতারে হাতের কাজ হবে একসাথে। পানির ওপরে হোক আর নিচে হোক,হাতকে আগে পরে করা যাবে না। ২। হাতের কুনইকে বাঁকা এবং উঁচু করে এবং বাহিরমুখি করে পানিতে চাপ দিতে হবে। ৩। হাত মাথা বরাবর সোজা রাখেেত হবে। ৪। বুকের দুই পাশ থেকে শরীর ঘুরিয়ে বুকের নিচে হাতকে নিয়ে আসতে হবে। ৫। পানির নিচে হাতকে কোমর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। পায়ের কাজ ঃ ১। প্রজাপতি সাঁতারে পায়ের কাজ হবে ডলফিন কিকের মত। দুই পা কোন অবস্থাতেই আগে পরে হলে চলবে না, পা একসাথে ওঠানামা করতে হবে। ২। শরীর শোয়ানো অবস্থায় পা দুটো একত্রে সোজা করে রাখতে হবে। ৩। সাঁতারুকে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় কাঁধের ওপর ভর করে ঢেউ খেলানোর পা সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঃ১। প্রজাপতি সাঁতারে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের কাজে সামনে ও পাশে ফিরে উভয় দিকে করা গেলেও বিশ্বখ্যাত সাঁতারুরা সামনের দিকেই শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে থাকে। ২। মাথাকে ওপরে তোলা অবস্থায় মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে হবে। ৩। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের সময় ঘাড় নমনীয় থাকবে। ৬। কী কী কারণে ব্যাডমিন্টন খেলায় সার্ভিস ফল্ট হয় ? ভূমিকা ঃ ১৮৭৩ সালের কাছাকাছি সময়ে সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে ব্যাডমিন্টন কøাব প্রতিষ্ঠিত হয়ে খেলা শুরু হলেও তৎপূর্বে ১৮৭০ সালে ভারতের পুনায় ব্যাডমিন্টন খেলার প্রচলন হয়। সার্ভিস ঃ একজন খেলোয়াড় নিয়ম-কানুন মেনে খেলার শুরুতে এবং প্রতি পয়েন্টের শুরুতে প্রতিপক্ষের কোর্টে শাটল কর্ক পাঠানোকে সার্ভিস বলে। সার্ভিস ফল্ট ঃ ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয় সার্ভিসের মাধ্যমে। সার্ভিস ফল্ট হলে পয়েন্ট লস হয়। যেসব কারণে সার্ভিস ফল্ট হয় । ১। শাটলটি যদি কোনাকুনি না পড়ে। ২। সার্ভিসের সময় যে কোন পা শূন্যে উঠে গেলে।
×