ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে রহস্যময় দানবাক্স

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ মার্চ ২০১৬

শাহজালালে রহস্যময় দানবাক্স

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সবাইকে বোকা বানিয়ে বছরের পর বছর দানের টাকা আত্মসাত করা হচ্ছিল। সবার চোখে পড়লেও মনোযোগ দেয়নি কেউই। এক পর্যায়ে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট দানবাক্সগুলো খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। তারপরও খোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত আর্মড পুলিশের হস্তক্ষেপে খুলে ফেলা হয় সব। এক এক করে খোলা হয় ৫২টি দানবাক্স। খোলার পর দেখা যায়- কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হবার মতো অবস্থা। টাকা আর টাকা। কাড়ি কাড়ি টাকা। দু’টাকার নোট থেকে ৫ শ’ টাকার নোট। অঙ্কেও কম নয়। হাজার হাজার টাকা। টাকা দেখে সবাই হতবাক। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, এ টাকা উঠানো হচ্ছিল- পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের ইয়ারউদ্দিন খলিফার মাজারের নামে। তবে কারা এতে জড়িত সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া ওই মাজার কমিটির লোকজন জড়িত কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমবার রাতে বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো ৫২টি দানবাক্স খুলে ফেলা হয়। একটি চক্র বিভিন্নস্থানে এ দানবাক্সগুলো ঝুলায় এবং দানবাক্সের টাকা আত্মসাত করে। বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় এই দানবাক্সগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৫২টি স্থানে দানবাক্স ঝুলে থাকায় সোন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট দানবাক্সগুলো খুলে ফেলার জন্য সিভিল এভিয়েশনের চীফ সিকিউরিটি অফিসার ইফতেখার জাহানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আদেশ পালন না করায় সোমবার রাতে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেগুলো খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত দেন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ। আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, দানবাক্সগুলো ঘিরে একটি চক্র গড়ে উঠেছিল। এছাড়া এই দানবাক্সগুলোকে কেন্দ্র করে একটি চক্রের বিমানবন্দরের ভেতরে যাতায়াতের ফলে বিমানবন্দরের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিনষ্ট হওয়ায় বাক্সগুলো খুলে ফেলা হয়েছে। প্রতি রাতে একটি চক্র এসে দানবাক্সগুলো খুলে টাকা নিয়ে যেত। বিমানবন্দরে আসা দর্শনার্র্থীরা এসব দানবাক্সে মানতস্বরূপ দান করতেন।
×