ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাপবি বোর্ডের গ্রাহক ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৬ মার্চ ২০১৬

বাপবি বোর্ডের গ্রাহক ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে

শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুত এই সেøাগান ধারণ করে আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর সেই লক্ষ্যে আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে প্রতি মাসে নতুন লাইন নির্মাণ এবং বিদ্যুত সংযোগের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সারাদেশে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুধু গত ফেব্রুয়ারি মাসে সমগ্র দেশে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতাধীন এলাকায় ৩ লাখ ৩ হাজার ২১৬ পরিবারকে নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩০ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার যে লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড নির্ধারণ করে তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি মাসে এভাবেই নতুন গ্রাহকদের বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে আরও ৬০ লাখ নতুন পরিবারকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর। সব মিলিয়ে বাপবিবো ফেব্রুয়ারি-’১৬ পর্যন্ত সারাদেশে ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ২১৬ পরিবারকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় এনেছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে এই বিপুলসংখ্যক পরিবারকে বিদ্যুত সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। -বিজ্ঞপ্তি নাইজেরিয়াতে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন পণ্য এবার রফতানি হচ্ছে আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ নাইজেরিয়ায়। শুরুতে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনার। পর্যায়ক্রমে যাবে অন্যান্য পণ্য। দামে সাশ্রয়ী এবং মানে সেরা হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে বাংলাদেশের ওয়ালটনকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন নাইজেরিয়ার ব্যবসায়ীরা। ওয়ালটনের লক্ষ্য নাইজেরিয়ার মাধ্যমে প্রতিবেশী অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলোতেও বাজার সম্প্রসারণ করা। ওয়ালটনের কর্মকর্তারা মনে করেন, নাইজেরিয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য রফতানির মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। ব্র্যান্ডিং হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যের। তাদের মতে, রফতানি বহুমুখীকরণে এটি একটি মাইলফলক। যা উজ্জীবিত করবে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের। এ বিষয়ে সম্প্রতি ‘জে এ্যান্ড কে ওয়ালটন টেকনোজিস নাইজেরিয়া লিমিটেড’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনসন অগবুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর তারা রাজধানীর মতিঝিলে ওয়ালটন গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের প্রধানসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নাইজেরিয়াতে ওয়ালটন পণ্য রফতানি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সূত্র মতে, বর্তমানে ১৯টি দেশে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিশ্বমানের পণ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগে আফ্রিকার সুদানে গেছে ওয়ালটন পণ্য। রফতানি তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হলো নাইজেরিয়া। নাইজেরিয়াতে ওয়ালটন পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ‘জে এ্যান্ড কে ওয়ালটন টেকনোজিস নাইজেরিয়া লিমিটেড’। নাইজেরিয়ায় পণ্য রফতানির পূর্বে সেদেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সনক্যাপ (স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন অব নাইজেরিয়া কনফরমিটির এ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম) সনদ পেয়েছে ওয়ালটন।
×