ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ড. মো. আনোয়ার হোসেন

রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে প্রয়োজন সৎ মানুষ

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৬ মার্চ ২০১৬

রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে প্রয়োজন সৎ মানুষ

(১৫ মার্চের পর) জীবনে বহু হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটিও তেমন একটি সিদ্ধান্ত। আমার জীবন বেশ ঘটনাবহুল। আপাত দৃষ্টিতে আমার নেয়া অনেক সিদ্ধান্তকে হঠকারী বলে মনে হতে পারে। তার কিছু উদাহরণ নিচে দেব : ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ে লেখাপড়া ছেড়ে দেশ স্বাধীন করার বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি সিরাজ শিকদারের সঙ্গে। টেকনাফ অঞ্চলে সশস্ত্র যুদ্ধের ঘাঁটি অঞ্চল গড়ে তুলতে চেয়েছি। বর্মার কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। সে অভিযাত্রা সফল হয়নি। পুনরায় লেখাপড়ায় ফিরে এসেছি। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনামলে দ্বিতীয়বারের মতো লেখাপড়া ছেড়ে বান্দরবানের গহীন অরণ্যে চলে গিয়েছি একই উদ্দেশ্যে। এবার চট্টগ্রামে পাকিস্তানের কমান্ডো বাহিনীতে কর্মরত আমার অগ্রজ মেজর আবু তাহেরকে আমাদের উদ্যোগে শামিল করেছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে গোপনে আমাদের সামরিক প্রশিক্ষণদানের দুরূহ কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। কিন্তু সিরাজ শিকদারের সঙ্গে যৌথ নেতৃত্বের দর্শনে কাজ করা সম্ভব হয়নি বলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে পুনরায় লেখাপড়ায় ফিরে আসতে পারলেও পরবর্তী ব্যাচে ভর্তি হতে হয়েছে। ছাত্রজীবনে এভাবে লেখাপড়া ছেড়ে দেয়াকে হঠকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীসহ অনেকে। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত না থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদপুষ্ট ‘নিউক্লিয়াসের’ কথা আমার জানা ছিল না। তা জানা থাকলে আমার ও তাহেরের রাজনৈতিক সংযোগ যে তাদের সঙ্গে হতো তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ বাংলাদেশকে স্বাধীন করার প্রশ্নে ‘নিউক্লিয়াস’ ও সিরাজ শিকদারের রাজনৈতিক তত্ত্বে বড় রকমের পার্থক্য ছিল না। ১৯৭১-এর মার্চের পয়লা তারিখেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আমার নেতৃত্বে ‘সূর্যসেন স্কোয়াড’ গড়ে উঠেছে। এবার নিউক্লিয়াসের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রলীগের স্বাধীনতাকামী আমার বন্ধু ছাত্রকর্মীদের সঙ্গে আমি যুক্ত হলাম এই স্কোয়াডে। ততদিনে তাদের উদ্যোগের কথা আমি জেনেছি। আমরা সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে মেজর তাহেরের নেতৃত্বে ১১ নম্বর সেক্টর হেডকোয়ার্টারে স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসে আমার মাধ্যমেই কর্নেল তাহেরের সঙ্গে সিরাজুল আলম খানের ঐতিহাসিক বৈঠকটি হয়। তার আগের মাসে তাহের বঙ্গবন্ধুর কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পেশ করেছিলেন। একটি সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণে তাঁরা একমত হন। জাসদ গঠিত হলে কর্নেল তাহেরের জন্য জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির পদটি ফাঁকা রাখা হয় গণঅভ্যুত্থান সংগঠনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা পালনের কথা বিবেচনা করেই। ১৯৭৪ সালে বিপ্লবী গণবাহিনী গড়ে তোলার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ওই বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করা হয় তাঁকে। দলের সভাপতি মেজর জলিল তখন কারাগারে। ১৯৭৫ সালের পয়লা জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগে আমি প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতায় যোগ দেই। তার আগে ১৯৭৪ সালের শেষে আমি সাংগঠনিকভাবে জাসদের সঙ্গে যুক্ত হই। আমাকে ঢাকা শহর গণবাহিনীর অধিনায়ক করা হয়। যেখানে শিক্ষকতায় যোগ দেব সেখানে শহর গণবাহিনীর অধিনায়ক হওয়া হঠকারী বৈকি! ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বরের সিপাহী অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর কর্নেল তাহের ও গণবাহিনীর সহঅধিনায়ক হাসানুল হক ইনুসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার পর ২৬ নবেম্বর তারিখে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেনকে জিম্মি করে নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও সিপাহী অভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতা বেতার ও টিভিতে দেশবাসীকে জানাবার জন্য এক অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানটি সফল হয়নি। আমাদের চারজন সাথী শহীদ হয় এবং দু’জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার হয়। নিহতদের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন বাহার বীরপ্রতীক ও আহতদের মধ্যে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতীক ছিল আমার অনুজ। যদিও বিশেষ পরিস্থিতিতে এমন বিপ্লবী অভিযানের পরিকল্পনা পূর্ব নির্ধারিত ছিল, তথাপি আমার উপরস্থ হাসানুল হক ইনু এবং কর্নেল তাহের কারাগারে থাকায় ঢাকা শহর গণবাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে এই ব্যর্থ অভিযানের সকল দায়-দায়িত্ব আমি নিজে গ্রহণ করি। এ কারণে বহু জনের কাছে আমি হঠকারী হিসেবে চিত্রিত হয়েছি। ১৯৭৫-এর নবেম্বর অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার এড়াতে আমাকে আত্মগোপনে যেতে হয়। আমি শিক্ষকতার পদে ইস্তফা দেই, যদিও তার জন্য আমার ওপর কোন বাধ্যবাধকতা ছিল না। তথাপি আমি শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনে অপারগ হচ্ছিলাম বলে ইস্তফা দেয়াকেই নৈতিক মানদণ্ডে বিবেচনা করেছি। যদিও আমার শিক্ষক সহকর্মীগণ এটাকে হঠকারী হিসেবেই দেখেছেন। প্রচলিত অর্থে তাঁরা সঠিকও ছিলেন। তখন ইস্তফা না দিলে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষক জীবন থেকে ৫ বছর বাদ পড়ে যেত না। প্রায় পাঁচ বছর কারাবাসের পর মুক্ত হয়ে পুনরায় শিক্ষকতায় যোগ দেই। তা সম্ভব হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ফসল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত শাসনের রক্ষাকবজ ১৯৭৩ আইনের কারণে। কারাগার থেকে মুক্তির পর আমার উদ্যোগে ‘কর্নেল তাহের সংসদ’ গড়ে ওঠে। ১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাসে জাপানের বিখ্যাত কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় যোগ দেই। তিন বছরে তা সম্পন্ন করার পর আমেরিকায় আইভি লীগের সদস্য ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ব্যারি অসমণ্ডের সঙ্গে গবেষণার প্রস্তাব আসে। একজন বিজ্ঞানীর জীবনে এমন সুযোগ খুব বেশি আসে না। সে সুযোগ গ্রহণ না করে আমি বাংলাদেশে ফেরত আসি। এই সিদ্ধান্তকে আমার সহকর্মীরা হঠকারী হিসেবে মনে করলেও আমার সে সময় মনে হয়েছিল দেশে ফেরা প্রয়োজন আমার ছাত্রদের কাছে। দ্বিতীয়বারের মতো শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার পরও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বর্তমান জাসদের মূল ধারাটির সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্কটি অটুট ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৩ আইন বলবত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকগণ নীল দলে এবং বাম চিন্তার শিক্ষকগণ গোলাপী দলে বিভক্ত ছিলেন বিভিন্ন নির্বাচনে প্যানেল দেয়ার সুবিধার্থে। আমি কোন শিক্ষক মোর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না যদিও উভয় মোর্চায় আমার ঘনিষ্ঠ শিক্ষকরা ছিলেন। স্বৈর সামরিক শাসক এরশাদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় নীল দলভুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক শামসুল হকের স্থলে বাম গোলাপী মোর্চার অধ্যাপক আবদুল মান্নান উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর ইংরেজীর অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ভূগোলের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, সমাজবিদ্যার অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হারুনর রশিদ, দর্শনের অধ্যাপক হাসনা বেগম, বাংলার অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ প্রমুখ শিক্ষকদের উদ্যোগে সাদা দল গঠিত হলে আমি এই মোর্চায় যোগ দেই। সংবিধানের চার মূল নীতিতে আস্থা আছে এমন শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত এই মোর্চা কোন রাজনৈতিক দলের অনুসারী হবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়। সে কারণেই মোর্চার নাম সাদা দল রাখা হয়। বলা হয় শিক্ষকদের মূল কাজ হবে একাডেমিক, তবে রাজনৈতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির ব্যাপারে তাঁরা হবেন সচেতন। খুব দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দল গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদসহ বহু মেধাবী শিক্ষক সাদার মোর্চায় যোগদান করেছিলেন বলেই তা সম্ভব হয়েছিল। উপরে বর্ণিত শিক্ষকরা সে সময় বাম চিন্তা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী বলে পরিচিত ছিলেন। জামায়াতভুক্ত শিক্ষক যারা গোপন ফোরাম নামের সংগঠনে থেকে কাজ করতেন তারা বিভিন্ন নির্বাচনে নীল দলের সঙ্গে প্যানেলভুক্ত হতেন। সাদা দলভুক্ত শিক্ষকগণ এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এরশাদ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে আমি প্রধান বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করি। আমার সঙ্গে সাদা দলের শিক্ষক সাইদ-উর রহমান এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদভুক্ত সকল ছাত্র সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক সহ-বাদী হয়েছিলেন। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রথিতযশা আইনজীবীরা আমাদের পক্ষে আইনী লড়াই চালিয়েছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে এই লড়াই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর অপ্রত্যাশিতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করলে সাদা দলের কয়েকজন শীর্ষনেতাসহ অনেক শিক্ষক সরকার সমর্থক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর প্রতিবাদে সর্বপ্রথম আমি সাদা দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। পরে উপরে বর্ণিত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকজন সাদা দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি। সাদা দলের শুরুতে আমার সেখানে যোগদানকে কেউ কেউ অনৈতিক ও হঠকারী বলেন। এ নিয়ে অপপ্রচারও চলছে ‘গবেষণা’র নামে। তার জন্যই এ বিষয়ে একটু দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। ১৯৯১ সালের শুরুতে আমি আমেরিকার পারড়ু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রকিফেলার ফেলো’ হিসেবে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী জে সি আর্থার ডিস্টিংগুইশট প্রফেসর থমাস কে হজেসের অধীনে বন্যা-সহনশীল ধান উদ্ভাবন গবেষণায় যোগ দেই। কি বিষয়ে গবেষণা করব তা নির্ধারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তাই ছিল আমার কাছে মুখ্য। ’৯৪ সালে যখন দেশে ফিরে আসি, ততদিনে সাদা দল বিএনপি ও জামায়েতভুক্ত শিক্ষকদের দলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে বাম চিন্তার শিক্ষকদের অনেকে যুক্ত হয়েছেন নীল দলে। আমি নীল দলে যুক্ত হই কারণ তখন আমার রাজনৈতিক বিশ্বাসের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করছিল এই মোর্চার অধীনে সংগঠিত হওয়া শিক্ষকরা। বেগম খালেদা জিয়ার জনবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নীল দল থেকে সক্রিয় থাকার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আমার ফ্ল্যাটে গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে, গুলি চালায়। ২০০২ সালে রাতের অন্ধকারে শামসুননাহার হলের ছাত্রীদের উপর পুলিশের হামলা ও ১৮ জন ছাত্রীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের পাশে আমি দাঁড়িয়েছি আরও শিক্ষকদের সঙ্গে। পুলিশের লাঠির আঘাতে আমার হাঁটু ভেঙ্গে যায়। সাড়ে তিনমাস আমি শয্যাশায়ী থাকি। এভাবে বিপন্ন ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোকে হঠকারী মন্তব্য করেছেন অনেকে। ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ছাত্র ও সেনা সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তাল ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করেছি, বিপন্ন ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এর আগে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছি। সমিতির মুখপত্র হিসেবে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছি। অনেকের চোখে তা ছিল হঠকারী। (বাকী অংশ আগামী শুক্রবার) লেখক : অধ্যাপক, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
×