ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে মুক্তিযোদ্ধার আকুতি

আর নির্বাচন করতে চাই না, বাঁচতে চাই

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৫ মার্চ ২০১৬

আর নির্বাচন করতে চাই না, বাঁচতে চাই

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ “আর নির্বাচন করতে চাই না, বাঁচতে চাই। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জীবনের নিরাপত্তা চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার এই আমার আকুতি। সারাজীবন আওয়ামী লীগ করে এবং তৃণমূলের একক মনোনয়ন পেয়েও আমি নৌকা প্রতীক পাইনি। নবাগত হাইব্রিড আ’লীগারদের কাছে আজ প্রকৃত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অসহায়...নির্বাচন তো দূরে থাক আমি এখন বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি..।” সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আহূত সংবাদ সম্মেলনে মোরেলগঞ্জের জিউধরা ইউপির পাঁচবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান কান্নাজড়িত কন্ঠে একথা বলছিলেন। তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে জিউধরা ইউপির আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তার প্রতীক ‘অটোরিক্সা’। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, হত্যা, চাঁদাবাজি, চিংড়ি ঘের লুট, দখলবাজি, মারপিট, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ থাকার পরেও আওয়ামী লীগে নবাগত জাহাঙ্গীর আলম বাদশাকে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়। নৌকা প্রতীক পেয়ে বাদশা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। একের পর এক বেপরোয়া মারপিট, হামলা, ভয়ভীতি দিচ্ছে। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, “..ইউনিয়নের ভেতরের ক্যাম্প ইনচার্জ মাহাবুবকে জানালে তিনি বলেন, পোস্টার শুধু বাদশা ভাই লাগাবে। অন্য করো পোস্টার থাকবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলায় মেয়র প্রার্থীসহ আহত-১০ স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ সোমাবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোটের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাজী সিরাজুল ইসলামসহ ১০ জন আহত করেছে। এ সময় হামলাকারীরা ইসলামী ঐক্যজোট নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাংচুর ও আশ্রয় নেয়া বাড়িতে হামলা ও অবরোধ করে রাখে। দুপুরে পৌর শহরের ভাদুঘর বড় হুজুর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাজী সিরাজুল ইসলাম ভূঞা, তার ছেলে শামস আল ইসলাম ভূঞা, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাও. নিয়াজুল করিম, ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ নোমান, আতিকুর রহমান। ইসলামী আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাও. নিয়াজুল করিম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী না দিতে বলেন ভাদুঘর জামিয়া সিরাজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. মুনিরুজ্জামান সিরাজী। এ নিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত ছিল। ভাদুঘর গ্রামের আমরা গণসংযোগে যাই। জোহর নামাজের সময় নামাজ পড়ার জন্য আমরা ভাদুঘর জামিয়া সিরাজিয়া মাদ্রাসা মসজিদে যাই। নামাজ শেষে বের হলে ইসলামী ঐক্যজোট কর্মী সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমাদের একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। তাদের হামলায় মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হয়।
×