নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৪ মার্চ ॥ হঠাৎ করেই মেঘনার পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ফেরিঘাট বিধ্বস্ত হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে ভোলার ইলিশা ও লক্ষ্মীপুরের মৌজু চৌধুরী ঘাটে শত শত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী পরিবহন আটকা পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকেল থেকে মেঘনার পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশা ফেরিঘাটের র্যামের নিচের পাইলিংয়ের মাটি সরে যায়। এতে করে ফেরিতে বাস ট্রাক ওঠানামা করতে চরম হুমকির মধ্যে পড়ে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার সকাল থেকে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে যানবাহন ফেরিতে ওঠানামা বন্ধ করে দিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। এতে করে দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে এসে চরম দুর্ভোগে পড়ে। এছাড়া পণ্যবাহী শত শত পরিবহন আটক পড়ে বিপাকের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে কাঁচামালবাহী ট্রাকের মালামাল নিয়ে তারা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলী এজেড এম শাহে নেওয়াজ কবির জানান, ইলিশা ফেরিঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতিনিধি দল এখন নড়াইলে
নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ১৪ মার্চ ॥ মুক্তিযুদ্ধকালীন নড়াইলে সংঘটিত বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কে তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল নড়াইলের চিত্রা নদীর পাড়ের বধ্যভূমি, পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বরের গণকবরসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। এর আগে তদন্তকারী দল নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে দেশব্যাপী পরিচালিত সফরের অংশ হিসেবে সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি নড়াইলের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনসহ প্রতিনিধি দলটি ১৬ মার্চ পর্যন্ত নড়াইলে অবস্থান করবেন।
তিন বছরেও জমির দখল পাননি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৪ মার্চ ॥ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হেমায়েত উদ্দিন হাওলাদারের কর্মজীবী সন্তান মিলন হাওলাদারকে খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়ার তিন বছর পরও মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। মিলন হাওলাদার ভূমি অফিসে আবেদন করে তিন মাস ধরে ঘুরছেন। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে দুই পা হারিয়ে চরম মানবেতর অবস্থায় জীবন কেটেছে তার বাবার।
এর বদৌলতে সরকারীভাবে শিববাড়িয়া মৌজার ৪৮৪ নম্বর খতিয়ানের ১১১১/৫ নম্বর দাগ থেকে এক একর খাসজমি বন্দোবস্ত পায় মিলন হাওলাদার ও মাকসুদা বেগম দম্পতি। যার দলিল নম্বর-৬১৬৭/২০১২। তারিখ ২২-১১-১২। যার বন্দোবস্ত কেস নম্বর ১৩৬-কে/২০১১-২০১২। এ জমির কবুলিয়ত নতুন খতিয়ান খুলে খাজনা পর্যন্ত দিচ্ছেন মিলন হাওলাদার। মিলনের বাড়ি মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে।