স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির তথ্য যথাসময়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও সরকারকে অবহিত না করার সংবাদে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এই বিব্রতকর অস্বচ্ছতার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন।
ড. জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অবহিত না করার বিষয়টি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যমতে, অর্থ পাচার হবার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং অডিট কমিটির পৃথক সভা হয়েছে অথচ উভয় ক্ষেত্রেই বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদ তথা অর্থ মন্ত্রণালয়কে না জানানো দুরভিসন্ধিমূলক- এ প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া স্বাভাবিক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্যই স্বাধীনভাবে প্রভাবমুক্ত হয়ে তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু যে ঘটনার সঙ্গে দেশের প্রতিটি মানুষের স্বার্থ জড়িত তার থেকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বা মন্ত্রণালয়কে অন্ধকারে রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি উদ্বেগজনক নজির হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, কোন্ যুক্তিতে পরিচালনা পর্ষদ ও মন্ত্রণালয়ের নিকট দীর্ঘদিন বিষয়টি গোপন রাখা হলো, ব্যাংকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনতিবিলম্বে তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গকে আইনানুগ জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে।
অর্থ পাচারের বোঝা জনগণের, দায় বাংলাদেশ বাংকের। একদিকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তহবিল আদান-প্রদান কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে চলমান তদন্তের আওতায় এনে ভবিষ্যতে অনুরূপ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায় টিআইবি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: