ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইক্যাপের দ্বাদশ সম্মেলন সমাপ্ত

২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল হবে ॥ ঢাকা ঘোষণার প্রত্যয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৫ মার্চ ২০১৬

২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল হবে ॥ ঢাকা ঘোষণার প্রত্যয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল করা হবে। এমন প্রত্যয়ের মধ্যদিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন এইডস ইন এশিয়া এ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক বা আইক্যাপের দ্বাদশ সম্মেলন শেষ হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা ঘোষণায় এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এইডস বেশি পুরানো রোগ নয়। মাত্র তিন দশকের পুরানো রোগটি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূলের কথা বলা হচ্ছে। এতে করে আশার সঞ্চার করে, ৫০ বছরের মধ্যে আমরা এ ঘাতক ব্যাধিকে নির্মূল করতে পারছি। প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই এর বিস্তার রোধে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এ কারণে এ ঘাতকব্যাধি মহামারী আকার ধারণ করতে পারেনি। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এইডস প্রাদুর্ভাবের কম ঝুঁকিতে থাকলেও ভৌগলিক অবস্থান এবং বাংলাদেশী শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দেশে অবাধ যাতায়াত নতুন করে এইডস বিস্তারে ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূলের চ্যালেঞ্জে সফল হতে সম্মিলিতভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে। ঢাকা ঘোষণায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে বাদ দিয়ে আগামী ২০৩০ সালে বিশ্বব্যাপী এইডস নির্মূলের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কারণ এই অঞ্চলের ৫৬টি দেশে বিশে^র মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বাস করে। তাই বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে সুবিধার আওতায় এনে সম্মিলিতভাবে ঘাতকব্যাধী এইডস নির্মূলে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভাপতি সমাপনী অধিবেশনে জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এইএনএইডসের সিনিয়র উপদেষ্টা ও মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ড. সলিল পানাকাদান বলেন, এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এই সাফল্য বিশে^র সব অঞ্চলে সমানভাবে আসেনি। তাই অর্জিত সাফল্য নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই। এইডস নিয়ে কাজ এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ সরকার এবং পার্টনারস ইন পপুলেশন (পিপিডি) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে বিশ্বের ৫৬ দেশের প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। সম্মেলনে বিভিন্ন পর্যায়ে ৫০টি বৈজ্ঞানিক সেশনসহ ৩টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। চিকিৎসক, গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় চারশ’ বৈজ্ঞানিক ও গবেষণামূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। দেশের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র চলছে- ড. হাছান ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনা তুলে ধরে বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশের বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ জন্য সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদ। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং কিছু বুদ্ধিজীবীকে চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে, খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়াসহ বিএনপির রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ ও কিছু বুদ্ধিজীবী দেশের অগ্রগতি দেখতে পান না। এ জন্য তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন। যেসব বুদ্ধিজীবীর বুদ্ধি লোপ পেয়েছে, তাদের ডাক্তার দেখানো উচিত। হাছান মাহমুদ বলেন, তারেক রহমানের বিশেষ ভূমিকাটা কী-সন্ত্রাসী কর্মকা- না দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র? দেশের মানুষ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে তার কর্মকা- দেখেছে। লন্ডনে বসে তিনি দেশে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের দিয়ে নৈরাজ্য চালিয়েছিলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা, আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুর রহমান মানিক, সাজাহান সাজু, এম এ করিম প্রমুখ।
×