ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৫ মার্চ ২০১৬

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মীর কাশেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপীল রায় নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপীল বিভাগে আবেদন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তবে সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তাদের ব্যাখ্যা জমা দেন। হলফনামা আকারে এ ব্যাখ্যা জমা দেয়া হয়েছে। আজ সুপ্রীমকোর্টের কার্যতালিকায় ওই দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের নয় বিচারপতির বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে। বেঞ্চের অপর আট সদস্য হলেনÑ বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ বজলুর রহমান। সেই শুনানিতে দুই মন্ত্রীর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আদালতে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা পোষণ করলেও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত হবেন না। কারণ কামরুল ইসলাম আজ বিদেশে থাকবেন। সেজন্য তিনি সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। আজ মঙ্গলবার শুনানি গ্রহণ করে আদালত আদেশ দিতে পারে। গত ৮ মার্চ প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগ দুই মন্ত্রীকে তলব করেন। ওই দিন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, দুই মন্ত্রীর মন্তব্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা স্তম্ভিত। প্রধান বিচারপতি বলেন, সম্প্রতি কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত কিছু খবর আমাদের নজরে এসেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অশোভনীয়, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অবমাননাকর। এতে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা স্তম্ভিত। এটি বিচার বিভাগের স্বধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মনে করে আপীল বিভাগ। আপীল বিভাগ বলেছে, দুই মন্ত্রীর বক্তব্য খুবই অবমাননাকর। একই সঙ্গে এটি সুপ্রীমকোর্ট তথা বিচার বিভাগ ও প্রধান বিচারপতির কর্তৃত্বকে ক্ষুণœ করার প্রচেষ্টা। দুই মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা বিচার বিভাগের মান মর্যাদা ক্ষুণœ করেছে। গত ৫ মার্চ তারা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তা বিচার প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ ও প্রধান বিচারপতি কার্যালয়ের প্রতি অবমাননা। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব রবিবার সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত, প্রধান বিচারপতি ও সব বিচারকের প্রতি তার (কামরুল) শ্রদ্ধা রয়েছে। ওই বক্তব্যের জন্য তিনি আদালতের মার্সি চেয়েছেন।’ তবে আদালতের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী ১৫ মার্চ কামরুল হাজির হতে পারছেন না জানিয়ে এই আইনজীবী বলেছেন, আবেদনে সময় চাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
×