ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১১ কম্পিউটার জব্দ ;###;বিস্তারিত জানতে আজ ফিলিপিন্সের সিনেটের বৈঠক

শনাক্ত তিনজন

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৫ মার্চ ২০১৬

শনাক্ত তিনজন

রহিম শেখ ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন না করলেও অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‌্যাব) অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, যা ঘটেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিং রুম’ শাখাতেই ঘটেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ১১টি কম্পিউটার জব্দ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। নজরদারিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ১২ জন কর্মকর্তা। এর মধ্যে তিনজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার পরিচালনা পর্ষদের জরুরী বৈঠক ডাকা হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপিন্সের ব্যাংক ব্যবস্থায় আসার পর ওই অর্থ কিভাবে ব্যয় হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে আজ মঙ্গলবার দেশটির সিনেট কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের কিছুটা ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে পারবে বলে দেশটির সিকিউরিটিস এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ১১টি কম্পিউটার জব্দ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। জব্দকৃত কম্পিউটারগুলোর হার্ডডিস্ক ও সংশ্লিষ্ট সার্ভারের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। জব্দকৃত কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের ফরেনসিক পরীক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে ধারণা করছেন উর্ধতন কর্মকর্তারা। এদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। মূলত তদন্ত কার্যক্রমে সমন্বয় আনতেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও প্রযুক্তিগত তথ্য উদ্ঘাটনে অনেকদূর এগিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানান, যা ঘটেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিং রুম’ শাখাতেই ঘটেছে। এ কারণে ঘটনার জন্য তিনজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়েছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজকালের মধ্যে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থার হেফাজতে নেয়া হতে পারে। সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের বার্তা বা সঙ্কেত ব্যবহার করে ৩৫টি অর্থ স্থানান্তরের পরামর্শ বা এ্যাডভাইস পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারও বাংলাদেশ ব্যাংকে দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছিলেন ৮ কর্মকর্তা। কিন্তু ওই দিন তারা কম্পিউটার খুলতে পারেননি। কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রিন্টারগুলোও অকেজো দেখতে পান। অথচ ওই ৮ কর্মকর্তার কেউই উর্ধতন মহলের কাছে বিষয়টি জানাননি। আর এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে চলে যায় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপিন্সে। এ কারণে ছুটির দিনেও দায়িত্বে থাকা ওই ৮ কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ্যাকাউন্টস এ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের অধীন ‘ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিং রুম’ শাখা ঘিরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। একজন যুগ্মপরিচালকের (জেডি) নেতৃত্বে ৮ কর্মকর্তা এ বিভাগে কাজ করেন। গোয়েন্দাদের কাছে এখন অনেকটাই স্পষ্ট যে, ‘ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিং রুম’ শাখার মাধ্যমেই অর্থ কেলেঙ্কারির এ ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দারা ১২ জনের একটি তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তিনজনকে অতি সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক স্থগিত ॥ আজ মঙ্গলবার পরিচালনা পর্ষদের জরুরী বৈঠক ডাকা হলেও স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রাজধানীর মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য এ বৈঠকে বোর্ডের দুই নতুন সদস্য যোগ দেয়ার কথা ছিল। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সভা হবে। এর আগে চলতি মাসের ৯ তারিখে একটি সভা হয়েছিল। সেখানেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কাজেই আমরা সবদিক থেকে সক্রিয় ও সজাগ আছি। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে শুভঙ্কর সাহা জানান, ফিলিপিন্সের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছেÑ যে ব্যাংকের মাধ্যমে রিজার্ভের টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে সে ব্যাংক যথাযথ নিয়ম না মেনেই এ কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে তদন্ত দল নিয়োগ দিয়েছে তারা কাজ করছে। এতে অগ্রগতিও আছে, তবে তদন্তের স্বার্থে কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। দেশে ফিরেছেন গবর্নর ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন। ৪ দিন ভারতে অবস্থানের পর তিনি দেশে ফিরলেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার তিনি দিল্লী যান। তবে বিমানবন্দরে নেমে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে চলে যান। আন্তর্জাতিক লেনদেন সীমিত ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) সিস্টেম ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভ থেকে ডলার চুরির ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেন করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আবার কোন দিক থেকে কেউ সার্ভারে ঢুকে ডলার চুরি করে ফেলেÑ এ আতঙ্কে তারা আতঙ্কিত। এ ঘটনার পর এখন তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক লেনেদেনে সাবধানতা অবলম্বন করেছে। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক দিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় সব ধরনের আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এ লেনদেন সীমিত আকারে চালু হলেও তা খুব সতর্কভাবে করছে। একই সঙ্গে বর্তমানে লেনদেনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইফট বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি টেলিফোনের মাধ্যমে পুনরায় বিষয়টি নিশ্চিত করছে। এছাড়া সবক্ষেত্রেই তারা এমন বার্তা দিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন লেনদেন কার্যকর করার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী সাইদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গত শুক্র ও শনিবার আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ ছিল। এর আগে ও পরে লেনদেন স্বাভাবিক ছিল। সব কম্পিউটারে প্রটেক্টেট সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে। আরও দুই-এক দিন লেনদেন দুই-এক ঘণ্টা দেরি হয়েছে। সুইফট সিস্টেমে আকুর বিল ৮৬০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছি। সোমবারও সরকারের কয়েকটি পেমেন্ট অন্য দেশকে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ হয়নি। সুইফটের মাধ্যমে লেনদেন করা হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে অর্থ পরিশোধের রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেমের (আরটিজিএস) সঙ্গে সুইফট কানেক্টিভ ছিল। এটি বন্ধ করা হয়েছে। ফলে তিনটি ব্যাংকে দেশের অভ্যন্তরে লেনদেন করতে সুইফট ব্যবহার করতে পারত। এখন তারা আর সুইফটের মাধ্যমে দেশে লেনদেন করতে পারছে না। টাকা চুরির ঘটনা ফিলিপিন্সের সিনেটে উঠছে আজ ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া অর্থ ফিলিপিন্সের ব্যাংক ব্যবস্থায় আসার পর ওই অর্থ কিভাবে ব্যয় হয়েছে, তা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে দেশটির সিনেট কমিটি। সোমবার সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফিলিপিন্স পার্লামেন্টের ব্যাংক ও আর্থিক বিষয়ক কমিটির প্রধান সিনেটর সার্জেই ওসমেনা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সিনেটের রিবন কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে। এন্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলসহ (এএমএলসি) ফিলিপিন্সের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ব্যাংক জালিয়াতির এ ঘটনা তদন্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়। ওই টাকার ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিটের রিজাল ব্যাংকের কয়েকটি এ্যাকাউন্টে। গত ফেব্রুয়ারির ৫ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে এ অর্থ পাঠানো হয়। সিনেটর ওসমেনা বলেন, রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ২০১৫ সালে মে মাসে ৫শ’ মার্কিন ডলার প্রাথমিক জমায় ৪ এ্যাকাউন্ট যারা খুলেছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা হচ্ছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড সানতোস ভারগারা, এনরিকো তিযোদরো ভাসকুইজ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ এ্যাকাউন্টে ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অংকের এ অর্থ স্থানান্তর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করা হবে। এ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে ফিলিপিন্সের ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে সেটাও প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে ২০১৫ সালে রিজাল ব্যাংকে খোলা ৪ এ্যাকউন্টে কিভাবে এ অর্থ বণ্টন হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে। চুরির এ অর্থ ইতোমধ্যে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে সিনেটর ওসমেনা বলেন, কমিটি সেটা নিয়ে কাজ করছে না। অর্থ কোথায় গেছে সে সম্পর্কে কমিটির কোন ধারণা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিছু অর্থ উদ্ধারের আশা ফিলিপিন্সের ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থের কিছুটা ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে পারবে। দেশটির সিকিউরিটিস এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এমন আশা প্রকাশ করেছেন। এসইসির চেয়ারম্যান তেরেসিতা হারবোসার উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে সোমবার এবিএস-সিবিএন নিউজ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তেরেসিতা হারবোসা দেশটির অর্থপাচারবিরোধী কাউন্সিলের (এএমএলসি) একজন সদস্য। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে, কোন না কোনভাবে ওই অর্থের কিছুটা উদ্ধার হবে। অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্তের বিষয়ে এসইসির ওই কর্মকর্তা কোন কথা বলেননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মঙ্গলবার সিনেটে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। আগাম কিছু বলতে চান না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশের রিজার্ভের মোট ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপিন্সে চলে যায়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় গেছে দুই কোটি ডলার। এর থেকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। ফিলিপিন্সে যাওয়া মোট ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৬৮ হাজার ডলারের হদিস মিলেছে। অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সে জব্দ হওয়া ছয়টি ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে। ফিলিপিন্সে স্থানান্তরিত অর্থের মধ্যে ৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশটির ক্যাসিনোতে ঢুকেছে বলে বলা হচ্ছে। দেশটির বিনোদন কেন্দ্র ও ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা ফিলিপিন্স এ্যামিউজমেন্ট গেমিং কর্পোরেশন (পিএজিসি) এমন তথ্য দিয়েছে।
×